
অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জ্ঞানার্জনের সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগান।
অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অস্ট্রেলিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সিডনির প্যারাম্যাটায় ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির সাউথ ক্যাম্পাস পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখানে যারা পড়তে আসে, এখান থেকে শুধু ডিগ্রি নিয়ে যাওয়া নয়, এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থাপিত বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাও জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা।
ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির সাউথ ক্যাম্পাসে ইন্সটিটিউট অফ ওসন গভার্নেন্সের সামনে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর এই আবক্ষ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সমুদ্রসীমা নির্ধারণে ১৯৭৪ সালে সংসদে আইন করায় ইন্সটিটিউট অফ ওসন গভার্নেন্সের সামনে বাংলাদেশের জাতির জনকের আবক্ষ ভাস্কর্যটি স্থাপন সঠিক বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জাতির জনক আমাদের সংসদে ১৯৭৪ সালে এই আইনটি করে। আর সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে ১৯৮২ সালে জাতিসংঘ আইন করে।
ভিনদেশি এই মুক্তিযোদ্ধাকে বীর প্রতীক খেতাব দিয়েছে বাংলাদেশ; বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা সম্মাননায় ভূষিত করা হয় তাকে।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া একটি প্রিয় গন্তব্য হিসাবেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের দক্ষতা বাড়াতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোনগ্রাফি বিভাগের প্রশিক্ষণে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমিতে সব মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং এতে অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের কথাও বলেন তিনি।
উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়ার উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তাও চান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের পরবর্তী স্তরে যাচ্ছে, তখন আমাদের মানব সম্পদের আরও দক্ষতা প্রয়োজন। যে ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি শিক্ষায় সহায়তা করতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক বার্নি গ্লোভার।
পরে আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির উপ উপাচার্য অধ্যাপক জেফরি স্ট্রোকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিডনি হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।