
৯.কোলন ( : )
বাংলায় কোলন চিহ্নের ব্যবহার খুব বেশি দিনের নয়, বড়জোর
৫০-৬০ বছরের। আগে যে সব ক্ষেত্রে ড্যাশ বা কোলন ড্যাশ দেওয়া হত , আজকাল সে-সব ক্ষেত্রে কোলন ব্যবহৃত হয়। লক্ষ করা দরকার, কোলন কখনোই দেখতে বিসর্গ (ঃ)-এর
মত নয়; কোলনের মাঝখানে কোনো ফাঁক নেই।
*বাক্যে কোনো প্রসঙ্গ অবতারণার আগে কোলন বসে। যেমন- শপথ নিলাম: জয় করবো ।
*কোনো বিবৃতিকে সম্পুর্ণ করতে দৃষ্টান্ত দিতে হলে কোল ব্যবহার করা হয় । যেমন- পদ পাঁচ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয়, ও ক্রিয়া ।
*উদাহরণ, তালিকা , ব্যাখ্যা , বিশদ মন্তব্যর আগে কোলন বসে। যেমন – বাড়িতে যে সব জিনিস নিতে হবে : আম, চাল, ডাল , তেল ও দুই গজ সাদা সুতি কাপড়।
*কটা বেজে কত মিনিট তা সংখ্যায় প্রকাশ করতে – ৮:২০; ১১:৪৫ …
*চিঠিপত্র ও বিভিন্ন রকমের ফরমে ভুক্তি, উপভুক্তির পরে কোলন বসে। যেমন – নাম: , পিতার নাম: , বিষয়:, ঠিকানা: ,
তারিখ …
*গণিতে অনুপাত বোঝাতে কোলন বসে । যেমন- ফেলের হার ৩:৮৯।
*প্রশ্ন রচনায় কোলন বসে। যেমন –
টীকা লেখ: । ব্যাখ্যা লেখ:।
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর