IELTS Course | আইইএলটিএস প্রস্তুতি

IELTS

আইইএলটিএস (IELTS) কি?

”আইইএলটিএ ” হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। IELTS (The International English Language Testing System)। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষা কিংবা ভিসার আবেদন করতে ভালো আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হয়। এই পোস্টে আমরা আইইএলটিএস নিয়ে আলোচনা করবো। আইইএলটিএস পরীক্ষাপদ্ধতি দুই ধরনের, ‘একাডেমিক’ এবং ‘জেনারেল’। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক আইইএলটিএস টেস্টে অংশ নিতে হয়। পড়াশোনা ভিন্ন অন্য কোন উদ্দেশ্যে, যেমন: ইমিগ্রেশন, চাকরি, ইত্যাদির জন্য লাগবে জেনারেল আইইএলটিএস। যে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এ জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।

আইইএলটিএস পরিচালনাকারী সংস্থাঃ

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে পরিচালনা করে আইইএলটিএস পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় নীতি নির্ধারক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্বব্যাপী পরীক্ষা পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের কাছে তথ্য পৌছে দেওয়ার মূল ভূমিকা পালন করছে বিট্রিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া। সারা বিশ্বে একই প্রশ্নপত্র ও অভিন্ন নিয়মে পরিচালিত হয়।

টেস্ট ফরম্যাট:

একাডেমিক এবং জেনারেল দুই মডিউলেই মোট চারটি বিষয়ে দক্ষতা যাচাই করা হয়- লিসেনিং, রাইটিং, রিডিং এবং স্পিকিং। লিসেনিং, রাইটিং এবং রিডিং পরীক্ষা হবে একইদিনে কোনোরকম বিরতি ছাড়া। তবে স্পিকিং পরীক্ষা হবে এক সপ্তাহ আগে অথবা পরে। পরীক্ষার আগে দিন-তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। মানে আপনাকে দুদিন পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার সময়সীমা মোট ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।

রাইটিং (Writing)

সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট
রাইটিং এ সাধারণত যাচাই করা হয় আপনি কতটুকু কল্পনা শক্তি খাটাতে পারেন। এক ঘণ্টার মাঝে আপনাকে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রথম প্রশ্নে একটি গ্রাফ, চার্ট, ডায়াগ্রাম অথবা ম্যাপ দেয়া থাকবে। সেটি দেখে আপনাকে বিশ্লেষণ করতে হবে। আর দ্বিতীয় প্রশ্নে একটি আর্গুমেন্ট অথবা স্টেটমেন্ট দেয়া থাকে যেটির পক্ষে বা বিপক্ষে আপনাকে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। বলে রাখা ভালো, দ্বিতীয় প্রশ্নে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ নাম্বার থাকে। তাই এ প্রশ্নের উত্তর আগে দেয়াই ভালো।

প্রথম প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন। প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ১৫০ শব্দের মাঝে। অপরদিকে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ২৫০ শব্দের ভিতরে। আপনি চাইলে শব্দসীমার বাইরেও কিছু লিখতে পারেন, তবে কোনোভাবেই কম লেখা যাবে না। তাহলে নাম্বার কাটা যাবে। একাডেমিক এবং জেনারেল ট্রেনিং-এর রাইটিং এ প্রথম প্রশ্নে একটু পার্থক্য আছে। জেনারেলের ক্ষেত্রে ডায়াগ্রাম, চার্ট ইত্যাদির জায়গায় একটি চিঠি লিখতে হয়; সেটি ফরমাল, ইনফরমাল অথবা পার্সোনাল হতে পারে। দ্বিতীয় প্রশ্ন দুই মডিউলেই একই।

স্পিকিং (Speaking)

সময়সীমাঃ ১০-১৫ মিনিট আপনি কতটুকু গুছিয়ে আর কতটা সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন, এই টেস্টের মাধ্যমে সেটিই যাচাই করা হয়। একজন ট্রেইনারের সাথে আপনার কথোপকথন করতে হবে। এই পরীক্ষাটি ৩টি অংশে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশে আপনার ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে জানতে চাইবে। যেমন: আপনি থাকেন কোথায়, আপনার পছন্দের রঙ কোনটি, আপনার শহরের বিবরণ অথবা কিভাবে আপনি বাসা থেকে পরীক্ষার হলে পৌঁছেছেন। অর্থাৎ খুব সাধারণ কিছু প্রশ্ন করবে। তারপর দ্বিতীয় অংশে আপনাকে কাগজ কলম দিবে আর একটি টপিক ঠিক করে দিবে যেটি নিয়ে আপনাকে কিছু বলতে হবে। টপিক দেয়ার পর আপনাকে এক-দেড় মিনিটের মতো সময় দিবে কাগজে নোট নেয়ার জন্য। তারপর আপনাকে টপিকের উপর মোটামুটি দুই মিনিটের মতো বলতে হবে। মনে রাখবেন, ২ মিনিট শেষ হয়ে গেলেও ট্রেইনার আপনাকে না থামতে বলার আগে না থামাই ভালো।

এরপর তৃতীয় এপিসোডে আপনাকে যে টপিক দিয়েছিলো, সেটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করবে আর সেগুলোর উত্তর দিতে হবে।

লিসেনিং (Listening)

সময়সীমাঃ ৩০ মিনিট
লিসেনিং এ আপনাকে মোট ৪টি রেকর্ডিং শোনানো হবে। উল্লেখ্য, রেকর্ডিং এ কনভারসেশন থাকবে ব্রিটিশ উচ্চারণে। এই চারটি রেকর্ডিং শোনার পর আপনাকে আলাদা একটি উত্তরপত্রে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একটি রেকর্ড একবারই বাজিয়ে শোনানো হবে।

রেকর্ডিং ১ :- এক নাম্বার রেকর্ডিং এ থাকবে দুজন ব্যক্তির মাঝে দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যবহার করা হয় এমন একটি বিষয়ে কথোপকথন।

রেকর্ডিং ২ :- এই রেকর্ডে আপনাকে সোশ্যাল কন্টেক্সটে একটি মনোলোগ শোনানো হবে; যেমন- স্থানীয় সোশ্যাল ফ্যাসিলিটি নিয়ে একটি স্পিচ।

রেকর্ডিং ৩ :- এখানে সর্বোচ্চ ৪ জন ব্যক্তির মাঝে হচ্ছে এমন একটি কথোপকথন আপনাকে শোনানো হবে, সেটি কোনো ট্রেনিং অথবা শিক্ষা বিষয়ে হতে পারে। যেমনঃ ৩ জন ছাত্র শিক্ষকের সাথে একটি অ্যাসাইনমেন্ট অথবা প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করছে এমন।

রিডিং (Reading)

সময়সীমাঃ ৬০ মিনিট
রিডিং এ মোট ৪০টি প্রশ্ন থাকবে। এই প্রশ্নগুলো দিয়ে তারা আপনার মেধা যাচাই করার চেষ্টা করবে যে আপনি একটি আর্টিকেল পড়ে মূল বিষয়টি ধরতে পারছেন কিনা, কোনো একটি বিষয়ে আপনি কতটুকু বুঝেছেন, লজিকাল আর্গুমেন্ট, স্কিমিং, লেখকের লেখার উদ্দেশ্য এবং মতামত বুঝতে পারছেন কিনা ইত্যাদি যাচাই করবে।

রিডিং টেস্টে একাডেমিক এবং জেনারেল টেস্টে একটু পার্থক্য আছে। তাই আলাদাভাবে আলোচনা করা হলো।

একাডেমিকে আপনাকে মোট ৩টি লম্বা আর্টিকেল তুলে দিবে জার্নাল, ম্যাগাজিন, বই অথবা পত্রিকা থেকে। এই আর্টিকেলগুলো বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা অথবা জার্নাল হতে পারে। জার্নালগুলো এমন হবে যাতে সাধারণ ছাত্ররা পড়ে বুঝতে পারে। তাই হতাশ হবার কিছু নেই।

জেনারেলের রিডিং একাডেমিক থেকে তুলনামূলক সহজ। এখানেও ম্যাগাজিন, পত্রিকা, বই, বিজ্ঞাপন অথবা যে কোনো একটি ব্লগ থেকে লেখা তুলে দিবে। তবে জেনারেলে একাডেমিকের মতো গবেষণা অথবা বিজ্ঞান বিষয়ক না, বরং দৈনন্দিন জীবনে মানুষ মুখোমুখি হবেন এমন বিষয় গুলোই থাকবে।

গ্রেডিং সিস্টেম কি?

আইইইএলটিএস এ কোনো পাশ নাম্বার নেই। তার বদলে দেয়া হয় ব্যান্ড স্কোর। আপনি কত নাম্বার পেয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ৯ এর মাঝে আপনাকে একটি স্কোর দেয়া হবে। আইইইএলটিএস এর চারটি মডিউল আছে। যথা: রাইটিং, রিডিং, স্পিকিং এবং লিসেনিং। এই চার মডিউলে আপনি যত পাবেন তার গড় হচ্ছে আপনার ওভারঅল ব্যান্ড স্কোর। সাধারণত ৬ বা তার উপরের স্কোর করতে পারলে সেটিকে ভালো ব্যান্ড স্কোর ধরা হয়।

প্রস্তুতি কোথায় থেকে নিলে ভালো হবে।
এটি পুরোটাই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনার যদি কমিটমেন্ট থাকে, তাহলে ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েই প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। কোচিং সেন্টারে শুধু কিছু টেকনিক শিখিয়ে দেয়, বাকিটা আপনার নিজের কাছে।

নিজে নিজে পড়া শুনার পাশাপাশি যে কোনো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করা আপনার জন্য ভালো হবে। কোর্স করলে আপনি সকল বিষয় গুলো ভালো ভাবে জানতে পারবেন। আপনি চাইলে আমাদের ইশিখন.কম থেকে কোর্স করতে পারবেন। আমাদের কোর্স ঘরে বসে করতে পারবেন।

কোথায় এবং কিভাবে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করবো?

ব্রিটিশ কাউন্সিল যেকোনো একটির অধীনে পরীক্ষা দিতে পারেন। ঢাকায় ধানমন্ডি, উত্তরা সহ মোট ৫টি জায়গায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের টেস্ট সেন্টার আছে। তাছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট এবং রাজশাহীতেও ব্রিটিশ কাউন্সিলের টেস্ট সেন্টার আছে। অনলাইন এবং টেস্ট সেন্টারে গিয়ে দু’ভাবেই পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যায়। বিস্তারিত জানার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

IELTS অনেক সহজ একটি পরীক্ষা। তাই এটি নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ পরীক্ষায় অল্প সময়ে ভালো করার কোনো সুযোগ নেই যদি আপনি ইংরেজি চর্চার মাঝে না থাকেন। তবে যাদের বেসিক ভালো, তারা অল্প কিছুদিনের চেষ্টায় শুধু টেকনিক শিখেই ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। ইংরেজি মুভি দেখুন, পত্রিকা পড়ুন, খবর দেখুন টিভিতে আর কয়েক বন্ধু মিলে স্পিকিং প্র্যাক্টিস করুন। সোজা কথায় আপনাকে এর পেছনে সময় ব্যয় করতে হবে। এ পরীক্ষায় ভালো করার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই।

আইইএলটিএস প্রস্তুতি:

আইইএলটিএস পরীক্ষা নিয়ে উত্কণ্ঠার কিছু নেই। নিয়মিত প্রস্তুতি নিয়ে যথেষ্ট ভালো স্কোর করা সম্ভব। শুরুতেই আপনার লক্ষ্য ঠিক করে নিন। তবে ইংরেজিতে আপনার এত দিনকার যা দক্ষতা, সে অনুযায়ীই লক্ষ্য ঠিক করবেন। রাতারাতি ভালো স্কোর করা সম্ভব নয়। আবার ইংরেজিতে আপনি যথেষ্ট দক্ষ হলেও কোনো প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর করা সম্ভব নয়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন এ জন্য। কত দিন ধরে প্রস্তুতি নেবেন, এটা আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। অন্তত তিন মাস সময় হাতে রাখা ভালো। প্রশ্নপত্র সমাধান করাটা প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘড়ি ধরে প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। সম্ভব হলে পরীক্ষার পরিবেশে একসঙ্গে সব অংশের পরীক্ষা দিন।

 

আইইইএলটিএস এর জন্য বই:

লিসেনিং-এর জন্য Cambridge এর সিরিজ আছে। যা খুব ভালো মানের। তবে প্রথম দুটো (মানে 1 এবং 2 খুব সাধারণ মানের)। ভালো কিছু শেখা যাবে 3 থেকে 9 এই বইগুলো থেকে। এই বইগুলো CD-সহ কিনতে হবে। অথবা কারো থেকে পেনড্রাইভে সফ্‌ট কপিও সংগ্রহ করে নিতে পারেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে রিডিং-এর জন্য Saifur’s-এর বইটা সহজ এবং বোধগম্য। রাইটিং-এর জন্য ভালো বই হচ্ছে Moniruzzaman’s IELTS Writing বইটি। স্পীকিং-এর জন্য Khan’s Cue-Card 1 ও 2 বেশ কার্যকরী।

স্কোরএক থেকে নয়-এর স্কেলে আইইএলটিএসের স্কোর দেওয়া হয়। চারটি অংশে আলাদাভাবে ব্যান্ড স্কোর দেওয়া হয়। এগুলোর গড় করে সম্পূর্ণ একটি স্কোরও দেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় কৃতকার্য বা অকৃতকার্য হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আপনার প্রয়োজনীয় স্কোর করতে পারলেই পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হবে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত পেতে হয়। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যান্ড স্কোরও আলাদাভাবে ভালো করতে হয়। সম্পূর্ণ স্কোর যত ভালোই হোক না কেন, একটি বিভাগে স্কোর কমে গেলে ভর্তির সুযোগ না-ও পেতে পারেন। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই জেনে নিন ন্যূনতম কত স্কোর প্রয়োজন। আইইএলটিএস স্কোরের মেয়াদ থাকবে দুই (২) বছর।

আইইএলটিএস স্কোর স্কেল:

আইইএলটিএস স্কোরসমূহের শুরু ১ থেকে ৯ পর্যন্ত। স্কোরগুলোর স্বীকৃতিস্বরুপ হচ্ছে –
ব্যান্ড ৯ দক্ষ ব্যবহারকারীব্যান্ড ৮ খুব ভালো ব্যবহারকারীব্যান্ড ৭ ভালো ব্যবহারকারীব্যান্ড ৬ পর্যাপ্ত ব্যবহারকারীব্যান্ড ৫ পরিমিত ব্যবহারকারীব্যান্ড ৪ সীমিত ব্যবহারকারীব্যান্ড ৩ অতিরিক্তমাত্রায় সীমিত ব্যবহারকারীব্যান্ড ২ ব্যবহারকারী নয়ব্যান্ড ১ যারা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছে বা যারা communicate ব্যর্থ হয়েছেব্যান্ড ০ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি / উত্তর দেয়নি

আইইএলটিএস প্রস্তুতি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য:

শুরুতেই একটি মডেল টেস্ট দিন এতে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।কত নম্বর পেলে স্কোর কেমন হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে পারেন।ভুল বানানের জন্য নম্বর কমে যায় তাই বানানে সতর্ক হোন। যে কয় শব্দে উত্তর দিতে বলা হয়, সে কয় শব্দই লিখতে হবে। দুটি শব্দের মধ্যে উত্তর লিখতে বললে আপনি এক বা দুই শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু দুইয়ের বেশি শব্দ হলে নম্বর পাবেন না। ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা যায় না। কাজেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করুন। স্পিকিংয়ে (speaking) ভালো করতে হলে বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন। অনেকে খুব ভালো ইংরেজি জানেন। কিন্তু বলতে অসুবিধা বোধ করেন। এ পরীক্ষার জন্যই নিয়মিত প্রস্তুতি নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।প্রশ্নপত্র সমাধান করে আপনি নিজেই অনেকখানি মূল্যায়ন করতে পারবেন। তবে আরও নির্ভরযোগ্যতার জন্য মক টেস্ট (Mock Test) দিতে পারেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল, উইংসসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টার যেমন সাইফুরস, মেন্টরস, গেটওয়েতে নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে মকটেস্ট দেওয়া যায়।পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিন।

আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:

পরীক্ষার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঢাকা, চট্টগ্রাম অথবা সিলেট শাখায়। তাদের অনুমোদিত ‘রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট’ সাইফুর’স, গেটওয়ে ও মেনটরস থেকেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। পরীক্ষার তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই রেজিস্ট্রেশন করা ভালো।পরীক্ষার্থীরা অনলাইনেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ফি পরিশোধ-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা অনলাইনেই পাওয়া যাবে।ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিশিয়াল সাইটের ‘রেজিস্ট্রার ফর আইইএলটিএস’ থেকে ‘রেজিস্ট্রার অনলাইন’ ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য এন্ট্রির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা সহজেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ পড়বে ১৬৫০০ টাকা। বি.দ্র: রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। রেজিস্ট্রেশনের সময় পাসপোর্টের ১ম ৪ পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিতে হবে। ৩ কপি সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট আকারের সদ্য তোলা ছবি এবং রেজিস্ট্রেশন ফরমে চশমা পরিহিত ছবি গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার নিবন্ধন ফর্ম কাছের কোন ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিস অথবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ব্রাঞ্চের বুথে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে জমা দিন। আপনি আপনার পরীক্ষা খরচ ব্যাংক ড্রাফট অথবা নগদ অর্থের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট অথবা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিপোজিট স্লিপ পূরন করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখাগুলোতে জমা দিতে পারেন। বিস্তারিত তথ্য জানতে ব্রিটিশ কাউন্সিল এ যোগাযোগ করুন।

 

আইইএলটিএস পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ:

ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে তিনবার করে বছরে ৩৬ বার আইইএলটিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগে, কোনো পরীক্ষার্থী আশানুরূপ না পেলে পরে পরীক্ষা দিতে হতো প্রথম পরীক্ষার অন্তত তিন মাস পর। এখন নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত স্কোর পাওয়ার আগ পর্যন্ত যতবার খুশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
সাধারণত আইইএলটিএস ফল প্রকাশিত হয় পরীক্ষার ১৩ দিন পর। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিল এর ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার্থীর নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ, পরীক্ষা প্রদানের তারিখ এন্ট্রি করে সহজেই জেনে নিতে পারবেন আইইএলটিএস পরীক্ষার ফলাফল। যদি আপনার পরীক্ষার ফলের ওপর কোন সন্দেহ থাকে তবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ‘এনকুয়ারি অন রেজাল্ট’-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, ফলাফলে ভুল ধরা পড়লে অবশ্যই আপনি ওই টাকা ফেরত পাবেন। ছয় থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার পুনঃনম্বরকৃত ফলাফল ফিরে পাবে এবং তখন ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

আইইএলটিএস পরীক্ষা কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে:

মেয়াদ আছে এমন একটি আসল পাসপোর্টকলম, পেন্সিল এবং রাবার (চাইলে সাপ্নারও নিতে পারেন)মোবাইল ফোন এবং অনান্য জিনিষ অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে এবং সাথে যা যা ( ব্যাগ, বই ইত্যাদি) ব্যাক্তিগত জিনিসপত্র নির্দিষ্ট দ্বায়িতে থাকা ব্যাক্তির কাছে জমা রাখতে হবে।

আইইএলটিএস ও টোফেল এর পার্থক্যঃ

আইইএলটিএসে রাইটিং অংশটি ম্যানুয়ালি যাচাই করা হয় কিন্তু টোফেল সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। তাই আইইএলটিএসে রাইটিংয়ের দক্ষতা ভালভাবে যাচাই হয়। মজার বিষয় হলো, এখন আইইএলটিএস যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়ও গ্রহণ করা হচ্ছে, আগে সেখানে শুধু টোফেল স্কোর গ্রহণ করা হতো।

আইইএলটিএস পরীক্ষার মানদণ্ডআইইএলটিএসে পাস-ফেলের ব্যাপার নেই। এখানে নয় ব্র্যান্ডের একটি স্কোরিং পদ্ধতি চালু আছে। প্রতিটি পৃথক সেকশনের ব্র্যান্ডের দ্বারা সামগ্রিক ব্র্যান্ডের মান যাচাই করা হয়। এখানে নয় স্কোর করার মানে হলো, ইংরেজীতে আপনি দারুণ এক্সপার্টর্ট, ইংরেজীর ওপর আপনার সম্পূর্ণ দক্ষতা আছে। আট মানে হলো, প্রায় সম্পূর্ণ দক্ষতা থাকলেও কালেভদ্রে কোন বিশেষ সেকশনে আপনার সমস্যা হয়ে থাকে। সাত স্কোর মানে আপনি চলনসই। এভাবেই ব্র্যান্ডগুলোর বিন্যাস করা হয়েছে। আইইএলটিএসে বর্তমানে সাত বা তার বেশি স্কোর না করলে কোন ভাল বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউকে গ্রহণ করা হয় না।

আইইএলটিএসের প্রস্তুতি অনলাইনে:

এই এক্সাম যতটা কঠিন ভাবা হয়, ততটা কঠিন আসলে মোটেও না। বেশিরভাগ মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্কোর করতে পারেন না কারণ তারা ভুল স্ট্র্যাটেজি আর মাইন্ডসেট নিয়ে প্রিপারেশন নেন বা প্র্যাকটিস করেন। সঠিক স্ট্র্যাটেজি, এপ্রোচ আর গাইডলাইনের অভাবে ভুলভাবে প্র্যাকটিস করার কারণে প্রচুর প্র্যাকটিস করেও অনেকে ভালো রেজাল্ট করতে পারেন না। আবার যারা বিভিন্ন কাজ, চাকুরী বা পড়াশোনার পাশাপাশি IELTS দেয়ার কথা চিন্তা করেন, তারা অনেকেই নিজ থেকে সঠিক স্ট্র্যাটেজি ডেভেলপ করার মত সময় পান না; অনেকেই অল্প সময়ের প্রিপারেশনে এক্সাম দেন।

 

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline