অসাবধানতাবশত যেকোনো সময় ‘ব্লক’ হতে পারে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। আর হারিয়ে যেতে পারে আপনার সংগ্রহে রাখা অনেক মুল্যবান ছবি, ভিডিও কিংবা বন্ধুগণ। অনেকেই ফেসবুক মেসেজ, গ্রুপ, ইভেন্ট এবং ফ্যানপেইজে অনেক মুল্যবান তথ্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন। ফেসবুকের মতো সোশ্যাল সাইটে নিজের প্রোফাইলটিকে নিরাপদ রাখার কয়েকটি সহজ উপায় ইশিখন সদস্যদের জন্য দেওয়া হলো , এর বাইরে কারো কোন সমস্যায় ফেসবুক বন্ধ হলে কমেন্ট করে জানাবেন।
১. স্ট্যাটাস দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্ট্যাটাস কিংবা মেসেজে আক্রমাত্মক ভাষা ব্যবহার করা হলে এবং এ ক্ষেত্রে আপনার নামে কেউ রিপোর্ট করলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হতে পারে। তাই ভুলেও কাউকে হুমকি দেওয়ার জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করবেন না।
২. বন্ধুদের প্রোফাইলে, ইনবক্সে কিংবা কোনো গ্রুপ বা পেজে প্রতিদিন অনেক বেশি মেসেজ পোস্ট করতে থাকলে, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একই মেসেজ বার বার দিতে চাইলে তার ‘কনটেন্ট বডি’তে খানিকটা পরিবর্তন করে দিতে হবে।
৩. এই কাজটা সাধারণত নতুন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বেশি করে থাকেন। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেই বন্ধুর সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে অধিক সংখ্যক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। ফেসবুকে বন্ধুত্বের জন্য একদিনেই অতিরিক্ত সংখ্যক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো নিয়মবর্হিভূত। আবার আপনার ফেন্ড্রস অব ফেন্ড্রস-এর তালিকায় নেই এমন অপরিচিত কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোও উচিত নয়। আপনার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করছে না, এমন সংখ্যা বেশি হলেও বিপদ অনিবার্য। বেশি সংখ্যক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে ফেসবুক আপনাকে সতর্ক করবে, আর তারপরও পাঠালে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি।
৪. পর্নোগ্রাফি ছবি কিংবা আপত্তিকর ভিডিও আপলোড করাটাও এর অন্যতম কারণ হতে পারে।
৫. নিজের ফেসবুক ওয়ালেও একই পোস্ট বার বার করা হলে, সেটি স্প্যাম হিসেবে বিবেচিত হয়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি।
৬. আপনি যদি নিজের নামের পরিবর্তে সেলিব্রিটি বা অন্য কারো নাম ব্যবহার করেন, তাহলে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে।
৭. সেলিব্রিটিদের আপডেট জানার ইচ্ছা বা আগ্রহ কার না আছে। এ জন্য সবাই তাদের পছন্দের তারকাদের পেজে লাইক দেন। প্রতিদিন অসংখ্য পরিমাণ ফ্যান পেজে লাইক দিতে থাকলে, সতর্ক করার পর বন্ধ করে দেয়া হতে পারে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
৮. ফেসবুক কখনই ‘ফেক অ্যাকাউন্ট’ বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তৈরি আইডি সমর্থন করে না। ফেসবুক ফেক আইডি শনাক্ত করতে পারলেই তা বন্ধ করে দেয়।
৯. কুকুর, বিড়াল বা কোনো জীবজন্তুর নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হলে, বন্ধ করে দেওয়া হবে সেই অ্যাকাউন্টটি।
১০. শুধুই বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যক্তিগত প্রোফাইলটিকে ব্যবহার করা হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সেই অ্যাকাউন্টটি।
১১. বিভিন্ন আপনার ছবিতে অধিক সংখ্যক এবং অপ্রয়োজনীয় বন্ধুদের ট্যাগ করলে।
১২. ইমেইল ভ্যারিফাইড না করলে কিংবা মোবাইল ভ্যারিফিকেশন না করলে।
১৩. আপনার কোন পোস্টের মাধ্যমে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা কোন জাতি, সম্প্রদায়কে হেয় প্রতিপন্ন করে ইত্যাদি উস্কানীমুল পোস্ট করলে।
উপরোক্ত কারণ ছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে, এখানে প্রধান কারণগুলো আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলো কারণ এবং ফেসবুকের নীতিমালা সমুহ দেখতে এখানে যান:
বি:দ্র: কোন পোস্টে ধর্মীয় অবমাননা তথা নাস্তিক ও এন্টি ইসলামিস্ট জাতীয় কোন ফেসবুক একাউন্ট পেলে কমেন্ট না করে সোজা উক্ত একাউন্ট নিয়ে ফেসবুকে রিপোর্ট কর কারণ কমেন্ট করা হলে উনার স্ট্যাটাস আরো বেশি অডিয়েন্স বা পাবলিসিটি পায়। আর রিপোর্ট করলে একাউন্টটি বাতিল করে দেয়া হয়।
উপরোক্ত কারণের বাইরে আপনাদের আর কোন কারণ বা মতামত থাকলে মন্তব্য করে জানাবেন।