জেনে নিন পেয়ারা উৎপাদন প্রযুক্তি

পেয়ারা একটি দ্রুত বর্ধনশীল গ্রীষ্মকালীন ফল । বাংলাদেশের সর্বত্র কম বেশি এ ফল জন্মে থাকে। তবে বানিজ্যিকভাবে বরিশাল, পিরোজপুর, স্বরুপকাঠি, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা প্রর্ভতি এলাকায় এর চাষ হয়ে থাকে।
চারা রোপন
পেয়ারার চারা প্রধানত মধ্য-জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য-আশ্বিন (জুন-সেপ্টেম্বর) মাসে রোপন করা হয়।
গর্তের আকার ৫০*৫০*৫০ সেমি, চারা থেকে চারার দূরত্ব ৪*৪ মি। সার প্রয়োগের সময় মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-বৈশাখ এবং মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-কার্তিক (সেপ্টম্ভর-অক্টোবর)।
সারের পরিমান
পেয়ারা ফসল থেকে উচ্চ ফলন অব্যাহত রাখতে হলে নিয়মিত নিম্নরুপ হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।
সার                       গর্তে প্রয়োগ            ৫ বছরের নিচে           ৫ বছরের উপরে
গোবর                   ১৫-২০ কেজি        ২০-২৫ কেজি            ২৫-৩০ কেজি
পচা খৈল              ১-২ কেজি                        –                                –
ইউরিয়া                        –                  ৩০০-৪০০ গ্রাম          ৫০০-৭০০ গ্রাম
টিএসপি               ১৫০-২০০ গ্রাম     ৩০০-৪০০ গ্রাম          ৪৫০-৫৫০ গ্রাম
এমওপি             ৭৫-১০০ গ্রাম       ৩০০-৪০০ গ্রাম          ৪৫০-৫৫০ গ্রাম
শাখা ছাটাই
পেয়ারা সংগ্রহের পর ভাংগা, রোগাক্রান্ত ও মরা শাখা প্রশাখা ছাটাই করে ফেলতে হবে । তাতে গাছে আবার নতুন নতুন কুড়ি জন্মাবে।
ফল ছাটাই
পেয়ারা গাছ প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ফল দিয়ে থাকে । গাছের পক্ষে সব ফল ধারন করা অসম্ভব । তাই মর্বেল আকৃতি হলেই ঘন সন্নিবিশিষ্ট কিছু ফল ছাটাই করতে হবে।
পানি সেচ
খরার সময় ২-৩ বার পানি সেচ দিতে হবে।

 

আরও পড়ুনঃ

জেনে নিন আলুর আগাম ধ্বসা বা আর্লি রোগ দমন

জেনে নিন চীনাবাদামের পাতার দাগ রোগ দমন

জেনে নিন তিলের কান্ড পচা রোগ দমন

জেনে নিন সরিষার জাব পোকা দমন

 

 

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline