মৃত্যুশয্যায় যে ৫ টি আক্ষেপ মানুষকে বেশি কাঁদায়

মানুষের জীবনটা খুব বেশি বড় নয়। আর তাই এই ছোট্ট জীবন পার করে দিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার সময়টা এসে পড়লেই অত্যন্ত সফল কিংবা একেবারেই ব্যর্থ- প্রতিটি মানুষের মনেই জেগে ওঠে কিছু অপ্রাপ্তির কথা। কিছু না পাওয়ার কষ্ট। কিছু না করতে পারার অনুশোচনা। এই অনুশোচনার ক্ষেত্রগুলো প্রত্যেকটি মানুষের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা হলেও, অনেক সময় সেটা মিলে যায় একে অন্যের সাথে। কি মনে হয় আপনার? মৃত্যুর আগে কোন অনুশোচনাটা সবচাইতে বেশি সংখ্যাক মানুষ করে থাকে? আসুন জেনে নিই মৃত্যুর আগে মানুষের সবচাইতে বেশি করা অনুশোচনাগুলোর ভেতরে প্রথম পাঁচটির কথা।
১. যদি নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারতাম!
এ অনুশোচনাটি কেবল এক কিংবা দুজনের নয়। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের মৃত্যুর সময়কার অনুশোচনা থাকে এটি। যখন তারা বুঝতে পারে যে জীবন শেষের পথে আর পেছনে ফিরে স্পষ্টভাবে দেখতে পায় যে ঠিক কত কত স্বপ্ন পূরণ করা হয়নি জীবনে। নিজেদের সিদ্ধান্তের কারণেই নিজেদের স্বপ্নকে বেশিরভাগ মানুষই অর্ধেকটার বেশিই ছেড়ে দিয়ে বসে ( দি গার্ডিয়ান )। আর সেটা বুঝতেও পারেনা যতদিন না নিজের শরীর তাকে ধাক্কা দেয় আর বোঝায় যে সময় আর খুব বেশি বাকি নেই।
২. যদি এতটা কাজ না করতাম!
সাধারনত এই অনুশোচনাটি পুরুষদের ভেতরেই বেশি কাজ করে ( বিজনেস ইনসাইডার )। সারাটা জীবন কঠোর পরিশ্রম করে আসার ফলে তাদের শরীর খুব দ্রুতই ভেঙে পড়ে আর মৃত্যুর আগে এমনটা বলা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকেনা। তবে বর্তমানে নারীদের মুখেও এমনটা শোনা যায় প্রায়ই। যদিও সেটার পরিমাণ অতীতে অনেকটাই কম ছিল।
৩. যদি নিজেকে খুশি রাখতাম!
অবাক করা হলেও সত্যি যে মৃত্যুর কাছাকাছি যাওয়ার আগে অনেকে বুঝতেই পারেনা যে খুশি থাকা কিংবা ভালো থাকা পুরোপুরিই নিজের ইচ্ছা ( বিজনেস ইনসাইডার )। যেটা হয়ে আসছে সেটাই করে যাওয়া, বাধ্য হয়ে কিছু করা বা ভালো লাগা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা- এর পুরোটাই নির্ভর করে মানুষের নিজস্ব পছন্দের ওপরে। কিন্তু সমাজ কিংবা মানুষের কথা ভেবে অনেকেই নিজের পছন্দকে এড়িয়ে যায় আর পরবর্তীতে অনুশোচনায় ভোগে।
৪. যদি সব বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতাম!
অনেকেই বিছানায় পড়ে যাওয়া না অব্দি এটাই বুঝতে পারেননা যে বন্ধুরা জীবনের কতটা দরকারী মানুষ আর তাদের সবার সাথে যোগাযোগ রাখাটা কতটা আনন্দের। এমনিতে সবসময় নিজেদের জীবনের ব্যস্ততা নিয়ে মেতে থাকেন সবাই আর হারিয়ে ফেলেন বন্ধু আর বন্ধুত্বকে। কিন্তু মৃত্যুর সময় বন্ধুদেরকে অনেক বেশি অনুভব করেন তারা ( দি গার্ডিয়ান )।
৫. যদি নিজের ইচ্ছেগুলো বলতে পারতাম!
অন্যের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্যেই অনেকসময় মানুষ নিজের কথা প্রকাশ করেনা (টপ ইনফো পোস্ট )। নিজের ভেতরে রেখে দেয়। আর সারাটা জীবন বয়ে বেড়ানোর পরে সেটা হয়ে পড়ে তার অসুস্থতার কারণ। মৃত্যুর সময় তাই এটা নিয়েও কম অনুতাপ করেননা শয্যাশায়ীরা। কে জানে! সত্যিই হয়তো নিজের অনুভূতিকে প্রকাশ করলে তার জীবনটা একেবারেই অন্যরকম হয়ে উঠতো!

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline