মাত্র ৬০ সেকেন্ডে স্ট্রেসকে বলে দিন চিরবিদায়

‘স্ট্রেস’ একটি ছোট শব্দ। কিন্তু এই স্ট্রেস বা মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যায়নি এমন মানুষ একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানসিক চাপ কার নেই বলুন? কিন্তু সবাই এই স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে পারেন না। আর এর প্রভাবে শরীরে দেখা যায় নানা রোগ। পরিবার, কর্মক্ষেত্র, সম্পর্ক নানা কারণে মানুষ মানসিক চাপে থাকে। সঠিক সময়ে এই মানসিক চাপ কমাতে না পারলে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। মেডিটেশন, ইয়োগা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দিলেও অনেক সময় তা করা হয়ে উঠে না। স্ট্রেস কমানোর কিছু উপায় পাওয়া যায় .indiatimes., .boldsky এবং health থেকে।

১। সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালানো

কর্মব্যস্ত দিনের পর বাসায় যখন ফিরবেন সুবাসিত মোমের গন্ধ আপনার মনকে উজ্জবিত করে দিবে। ঘরে কোনে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দের কোন ফুলের এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে অ্যারোমাথেরাপি অনেক বেশ কার্যকর।

২। সবুজ চা পান কর

সবুজ চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান হরমোনের স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে থাকে। যে গ্লুকোজের সাহায্য ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা শরীরে পরিবহন করছে সবুজ চা তা কমিয়ে স্ট্রেস হ্রাস করে থাকে। সারাদিনের ব্যস্ততার পর এক কাপ সবুজ চা পান কর এটি আপনার স্ট্রেস সেকেন্ডে দূর করে দিবে।

৩। ছোট একটি কৌশল অবলম্বন কর

কোন মিটিং বা প্রেজেন্টেশনের আগে নার্ভাস মনে হলে কাঁধ দ্রুত ম্যাসাজ করে নিন। এটি আপনাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিবে। সোজা দাঁড়ান হাত দুটো কানের কাছে নিয়ে যান তার সাথে নাক দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিন। মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে দিন। এবার হাত দুটি দিয়ে কানের কাছ থেকে ঝাড়া দিয়ে নামিয়ে রাখুন। এভাবে ৫ বার কর দেখবেন সেকেন্ডের মধ্যে আপনার স্ট্রেস অনেক কমে গেছে।

৪। কুসুম গরম পানি পান কর

কসুম গরম পানি আপনার নার্ভকে শান্ত করতে সাহায্য করে থাকে। এটি আপনার হার্ট বিটকে কমিয়ে থাকে। যেটি স্ট্রেসে কারণে হার্ট অ্যাটাক রোধ করে থাকে।

৫। সিলিং এর দিকে তাকান

সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকুন এবং সংখ্যা গণনা কর এটি আপনার  প্যারাসিমপ্যাথিক নার্ভকে উজ্জবিত করে থাকে, যেটি রক্ত চাপ কমিয়ে থাকে। ইচ্ছাকৃত সংখ্যা গণনা আপনার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে থাকে।
অতিরিক্ত স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্টোকও হতে পারে। মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে আমাদের দেহের কিছু হরমোন যেমন কর্টিসোল ওঅ্যাড্রিনালিন প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত হয়। যার কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়, বেড়ে যায় নাড়ির গতি এমনকি শ্বাস প্রশ্বাসেরও গতি বেড়ে যায়। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা কর যদি এই সমস্যা প্রায় দেখা দেয় তবে অতিসত্বর মানসিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline