ঠিক কতটা আলাপ হলে তবে মানুষ চেনা যায়? যদি বলি প্রথম আলাপেই? একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল? চোখ, কান খোলা রেখে কিছু বডি ল্যাঙ্গোয়েজ খেয়াল করলে কিন্তু চরিত্রের আভাস পাওয়া যায়। যেমন প্রথম আলাপের হ্যান্ডশেক আপনাকে বলে দিতে পারে কেমন হতে পারেন মানুষটা। বিশেষ করে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের ক্ষেত্রে কম আলাপে মানুষ চিনতে ভরসা রাখতে পারেন করমর্দনের উপর।
হ্যান্ড হাগ– দু’হাত দিয়ে যখন কেউ আপনার হাত জড়িয়ে নেবে তখন বুঝতে হবে মানুষটা উষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ, সত্ ও বিশ্বাসযোগ্যতার সম্পর্ক চাইছেন। প্রথম আলাপে এই ধরনের হ্যান্ডশেক বোঝায় মানুষটা ভরসা যোগ্য, আবেগপ্রবণও বটে।
ডমিনেটর– যখন কেউ হাত উপুর করে হ্যান্ডশেক করেন বা, আপনার বাড়ানো হাত ধরে এমন ভাবে উল্টে দেন যাতে আপনার খোলা চেটোর ওপর থাকবে তাঁর হাত তবে বুঝতে হবে এই মানুষ অন্যের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে ভালবাসেন।
ঠান্ডা ও আবেগহীন– হ্যান্ডশেকের করার সময় হাত যদি ঠান্ডা হয়ে যায়, ঘামতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে মানুষটা দুর্বল চরিত্রের অধিকারী। প্রথম আলাপে এমন হ্যান্ডশেক নার্ভাসনেসও বোঝায়।
ক্রাশার- যাঁরা এই ধরনের হ্যান্ডশেক করেন তাঁরা নিজেদের আত্মবিশ্বাসী ও ক্ষমতাবান বোঝাতে পছন্দ করেন। এঁরা হ্যান্ডশেকের সময় এমন ভাবে শক্ত করে অন্যের হাত ধরেন যে ছাড়িয়ে নিতে ইচ্ছে হয়। ছেড়ে দেওয়ার পর হাতে ব্যথাও হয়। এই করমর্দন আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় দে। অনেক সময় শারীরিক দুর্বলতা ঢাকতেও অনেকে এ ভাবে হ্যান্ডশেক করে থাকেন।
কুইনস ফিঙ্গারটিপস– এই ধরনের হ্যান্ডশেক সাধারণত মহিলারা করে থাকেন। নতুন মানুষটির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে এমন ভাবে হাত এগিয়ে দেন যাতে শুধু আঙুলের মাথা ধরে হ্যান্ডশেক করা যায়। সামনের মানুষটার তুলনায় নিজের সুপিরওরিটি বোঝাতে এই ভাবে হ্যান্ডশেক করেন অনেকে। রানিরা নিজেদের সুপিরিওরিটি বোঝাতে সামান্য ঝুঁকে এই ভাবে হ্যান্ডশেক করে থাকেন।
কিপ ব্যাক– কিছু মানুষ হ্যান্ডশেক করার সময় দূরত্ব বজায় রাখেন। হাত এগিয়ে দেন কিন্তু সামনের মানুষটার থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পা দিয়ে ব্যালান্স করেন। এঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত পরিসরে কাউকে ঢুকতে দিতে চান না।
ইয়াঙ্ক অ্যান্ড পুল– এই হ্যান্ডশেক আসলে পাওয়ার প্লে। এখানে এক জন অন্য জনকে হাত ধরে যতটা সম্ভব নিজের কাছে টেনে নে। এই ধরনের আচরণের তিনটে কারণ হতে পারে। প্রথমত, মানুষটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই আপনাকে কাছে টেনে ভরসা পেতে চাইছেন। দ্বিতীয়ত, তিনি এমন কোনও পরিবার বা সংস্কৃতিতে বড় হয়েছেন যেখানে ব্যক্তিগত পরিসর কম দেওয়া হয়। তৃতীয়ত, ইনি আপনাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে আপনার ব্যালান্স নষ্ট করতে চাইছেন। কারণ যাই হোক না কেন এঁরা কিন্তু পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভালবাসেন।
আদর্শ হ্যান্ডশেক– যখন দুজনের হাত লম্বালম্বি থাকে, বু়ড়ো আঙুল একে অপরে জড়িয়ে থাকে এবং দু’জনের হাতের চাপে সাম্য বাজায় থাকে। এই ধরনের হ্যান্ডশেক তিন থেকে ছয় সেকেন্ডের হওয়া উচিত্।
0 responses on "হ্যান্ডশেক-এর ধরন দেখে মানুষ চিনুন"