
চাকরি আছে বেতন নেই, ঘর আছেতো বেড়া নেই। সরকারি সহায়তা বলতে বিনামূল্যের বই ছাড়া কিছুই নেই। বিষয়টি ভাবতে অবাক লাগলেও গৌরনদীর নলচিড়া ইউনিয়নের কুতুবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এটাই বাস্তব চিত্র।
দেখা গেছে, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। সম্পূর্ণ খোলা জায়গায় একটি চৌচালা টিনের ঘরে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলছে। ঘরের সামনের ও পিছনের বেড়া এবং জানালা-দরজাগুলো ভাঙা। ঝড়-বৃষ্টির দিন দুর্ভোগ বাড়ে। এদিকে বিদ্যুত্ ব্যবস্থা না থাকায় গরমের সময় শিক্ষার্থীদের কষ্টের সীমা থাকে না।
স্থানীয়রা জানান, কুতুবপুর গ্রামে কোনো স্কুল ছিল না। তাই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল এ এলাকার মানুষ। এ কথা ভেবে কুতুবপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী গগন খান স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ৩৩ শতক জমি দান করেন। এখানে চারজন শিক্ষিকা পাঠদান করছেন, শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫৮ জন। দীর্ঘ আট বছর যাবত্ বিনা বেতনে কাজ করছেন ওই চার নারী শিক্ষিকা।
প্রধান শিক্ষিকা খুকুমনি জানান, স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা কষ্টের মধ্যে আছি। বেতন পাচ্ছি না, তারপরেও আশা ছাড়িনি। তিনি স্কুলটি দ্রুত সরকারিকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গৌরনদী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফয়সল জামিল জানান, ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের তৃতীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে খসড়া গেজেট প্রকাশিত হয়। চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হলেই সরকারিভাবে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ভবন নির্মাণসহ স্কুলের যাবতীয় সমস্যা লাঘব করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
আরো পড়ুন: