আঠারো বছর বয়স
সুকান্ত ভট্টাচার্য
কাব্যগ্রন্থ- ছাড়পত্র (১৯৪৮)
ছন্দ- মাত্রাবৃত্ত; ৬ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত; প্রতি চরণে মাত্রাসংখ্যা ১৪ (৬+৬+২)
স্তবক- ৮টি (প্রতি স্তবকে ৪টি করে পংক্তি)
ধারণা করা হয়, আঠারো বছরে পদার্পণের আগেই কিংবা আঠারো বছর বয়সে কবি এই কবিতাটি রচনা করেন।
কবিতাটিতে ‘আঠারো’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে- ৯ বার
কবিতাটিতে ‘আঠারো বছর বয়স’ শব্দবন্ধটি ব্যবহৃত হয়েছে- ৭ বার
গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ/ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।
আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়/ পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,
এ বয়স জানে রক্তদানের পূণ্য/ বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে
তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা
এ কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে/ এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।
এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।
লেখক পরিচিতি
জন্ম : ১৯২৬, কলকাতায়
মৃত্যু : ১৯৪৭ (মাত্র ২১ বছর বয়সে)
গ্রন্থ-
কাব্যগ্রন্থ- ছাড়পত্র(১ম কাব্যগ্রন্থ), ঘুম নেই, পূর্বাভাস
অন্যান্য- মিঠেকড়া, অভিযান, হরতাল
সম্পাদিত গ্রন্থ- আকাল(ফ্যাসিবিরোধী শিল্পী সংঘের কাব্যগ্রন্থ)
মূলভাব
আঠারো বছর বয়স দুঃসহ কারণ এ বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ঝুঁকি নিতে হয়। এ বয়সে নেই ভয় কারণ এ বয়স সকল বাধা ভাঙতে পারে। দুরন্ত সাহস নিয়ে পদাঘাতে বাধা ভেঙে ফেলে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়ায় সমস্ত বিপদ মোকাবেলায় কারণ এ বয়সের মানুষ রক্তদানের মহত্ব জানে। এরা দেশগড়ার শপথে নিজের আত্মাকে সমর্পণ করে দেয় কারণ এরা স্বপ্ন দেখে নতুন জীবনে অগ্রগতি সাধনের।
পোস্ট টা পড়ার সময় বোর্ড বইটা সাথে পড়ে নিও।।আর শব্দার্থ ও টীকাসমূহ তোমরা সবাই নিজ দায়িত্বে পড়ে নিও।। প্রবন্ধ ও কবিতার সবকিছু আলোচনা করা সম্ভব না তাই আমি যতটুকু সম্ভব আলোচনা করার চেষ্ঠা করলাম।
আরো পড়ুন: