
উবার অ্যাপে যুক্ত হল ন্যাশনাল ইমারজেন্সি হেল্প লাইন নম্বর
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার ন্যাশনাল ইমারজেন্সি নম্বর ৯৯৯ তাদের রাইডার অ্যাপে সংযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়বে।
যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে উবারের ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতি ও প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে রাইডার অ্যাপে এই হেল্পলাইন নম্বর সংযুক্ত করার ফলে জরুরী প্রয়োজনে যাত্রীরা ৯৯৯ নম্বরটি ডায়াল করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এটি কিভাবে কাজ করবে?
উবারের গাড়িতে ভ্রমণ করার সময় কোনো জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হলে যাত্রীরা অ্যাপের ভেতর ‘কল নাউ’ প্রেস করে বিনামূল্যে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ পরিচালিত জাতীয় হেল্প ডেস্কের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বাটনটি একবার প্রেস করার সাথে সাথে যাত্রীদের ফোনের ডায়ালে ৯৯৯ নম্বরটি চলে আসবে।
৯৯৯ নম্বরে কল করলে যাত্রীরা সরকারি কনট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। এরপর জরুরী অবস্থার প্রকৃতি বুঝে যাত্রীরা ১ প্রেস করে অ্যাম্বুলেন্স, ২ প্রেস করে ফায়ার সার্ভিস, ৩ প্রেস করে পুলিশের সহযোগিতা পেতে পারেন বা ০ প্রেস করে সরাসরি সরকারি প্রতিনিধির সাথে কথা বলতে পারেন।
উবার ঢাকা
জরুরী মুহূর্তে সাহায্য দরকার?
কল কর ৯৯৯ নম্বরে ঢাকায় জরুরী সার্ভিস পেতে ডায়াল কর ৯৯৯, যেটি ২৪/৭ চালু আছে যেসব সার্ভিস পাওয়া যাবে:
১. অ্যাম্বুলেন্স
২. ফায়ার ব্রিগেড
৩. পুলিশ স্টেশন
৪. হেল্পলাইনের প্রতিনিধি
এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে উবার ঢাকার জিএম অর্পিত মুন্ড্রা বলেন,‘যাত্রীদের নিরাপত্তাকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রীদের যতোটা সম্ভব নিরাপদ রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। উবারের সাথে ইমার্জেন্সি নম্বর ৯৯৯ সংযুক্ত করার পদক্ষেপটি যাত্রার পূর্বে, যাত্রার সময় ও যাত্রার পরে অর্থাৎ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের প্রতিজ্ঞাকে প্রতিফলিত করে।’
উবার অ্যাপে থাকা ইন-বিল্ট সেফটি ফিচারগুলির সাথে উক্ত ফিচারটি যুক্ত হয়ে একটি নতুন মাত্রা প্রদান করেছে। যাত্রার পূর্বে, যাত্রার সময় এবং যাত্রার পরে যাত্রী ও চালকের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে উবারের মতো প্রযুক্তি নতুন ও উদ্ভাবনী এক পন্থা প্রদান করেছে।
যাত্রার পূর্বে: ‘এ’ থেকে ‘বি’ স্থানে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সুবিধাজনকভাবে যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য উবার অ্যাপ আপনাকে আগে থেকেই চালকের নাম, ছবি, গাড়ির ধরন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখার সুযোগ দিচ্ছে।
যাত্রার সময়: উবারে যাত্রার সময় যাত্রীরা জিপিএস ট্র্যাকিং চালু করতে পারেন, এবং ‘শেয়ার মাই স্ট্যাটাস’ অপশন ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রার যাবতীয় তথ্য ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের ফোনবুকে থাকা ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এর ফলে যারা অ্যাপের মাধ্যমে বার্তা পাবে তারা যাত্রা চলাকালে যে কোনো সময়ে গাড়ি কোন রাস্তা ও স্থানে আছে তা দ্রুত নির্ণয় করতে পারবেন। যে কোনো জরুরী অবস্থায় এখন অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা ৯৯৯ হেল্পলাইনে সরকারি প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
যাত্রার পরে: একটি ট্রিপ শেষ হওয়ার পর সেটিতে রেটিং দেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীরা অ্যাপের ‘পাস্ট ট্রিপ’ অংশে গিয়ে যাত্রার ব্যাপারে তাদের ফিডব্যাক প্রদান করতে পারবেন। ২৪ ঘন্টা চালু থাকা ‘কাস্টমার সাপোর্ট’ অ্যাপে সংযুক্ত করা হয়েছে আমাদের সেবা ও কার্যক্রম উন্নততর করার জন্য। জরুরী যেসব অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেসব ক্ষেত্রে এখন আমরা আরও সক্ষম।
এছাড়া, আমাদের নিয়োগকৃত চালকদের বৈধ কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করে দেখার ব্যাপারে আমরা সতর্ক। একটি বাধ্যতামূলক সফট স্কিল্স ট্রেনিং চালকদেরকে যাত্রীদের উপভোগ্য যাত্রার অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম করে তোলে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ঢাকায় উবার চালু হয়, এবং বাংলাদেশে চালক ও যাত্রী উভয়ের কাছ থেকে এটি দারুন সাড়া পেয়েছে। এখন প্রযুক্তির ব্যবহার উবারকে সার্ভিসের প্রথম থেকে শেষ অব্দি নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষম করেছে। গাড়িতে ওঠার আগে, গাড়িতে যাত্রার সময় এবং গন্তব্যে যাওয়ার পরও যাত্রীরা নিরাপত্তা পাবেন।
উবার
উবার -এর লক্ষ্য সব জায়গায়, সবার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করা। আপনি কীভাবে বাটনের এক চাপে যাতায়াতের জন্য একটি গাড়ি পেতে পারেন? এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে আমাদের শুরুটা হয় ২০১০ সালে। ৬ বছর পর এবং ৫ বিলিয়ন ট্রিপ শেষে এখন আমরা বৃহত্তর একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ শুরু করেছি, সেটি হচ্ছে অল্প গাড়িতে বেশি মানুষ যাতায়াতের ব্যবস্থা করে শহরে যানজট এবং দূষণ কমানো।
আরো পড়ুন: