
পরীক্ষা খাতায় লেখার কিছু টিপস
১। পরীক্ষার প্রশ্নেই উত্তর লিখতে হবে; কোন প্রকার খাতা বা রাফশিট দেয়া হবে না। ৩০ মিনিট সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর করাটা কঠিন কাজ, তাই ঘড়ি নিয়ে যাবে। একটি পাতায় প্রশ্ন করা হয়। প্রথম পৃষ্ঠায় থাকবে সকল প্রশ্ন আর দ্বিতীয় পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকবে। প্রথম পৃষ্ঠায় প্রশ্নের পাশে ফাঁকাস্থানে উত্তর লিখতে হবে। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইংরেজী-এর এমসিকিউ অংশের উত্তর এক শব্দে দেয়া যায়। তাই এই বিষয়গুলোর উত্তর করতে কোন সমস্যা হবে না। গণিত অংশের উত্তর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারো।
২। গণিত অংশে বিগত বছরগুলোতে মোট ৪টি অংক দেয়া হয়েছে। প্রতি অংকের মাঝে দুই আঙ্গুলের মত ফাঁকা জায়গা পাবে। এতো ছোট জায়গায় কিভাবে উত্তর করতে হয় সেটা জানা খুব জরুরী। উপরে একবার উল্লেখ করেছি, দ্বিতীয় পৃষ্ঠা খালি থাকে। এই খালি পৃষ্ঠাকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ তোমাকে কোন রাফ কাগজ দেয়া হবে না। কৌশলটা হল- পেন্সিল আর স্কেল দিয়ে শুরুতেই সমান চারভাগ করে নিবে এই সাদা পৃষ্ঠা। এরপর এখানে ৪টি অংশে পেন্সিল দিয়ে চারটি অংক করবে। পেন্সিল দিয়ে অংকগুলো রাফ করবে, তারপর প্রথম পৃষ্ঠায় চলে যাবে। অংকটি খুব দ্রুত, ছোট করে এবং স্পষ্টভাবে সমাধান করে দিবে।
নটরডেম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সাজেশন দেখে নাও এখান থেকে
৩। পরীক্ষার শুরুতে অংক প্রশ্নগুলো দেখবে। যদি পারো অংকগুলো করে ফেলবে; না পারলে অন্য প্রশ্নগুলো উত্তর করবে। উত্তর করতে করতে অংকের সমাধান মাথায় কাজ করলে তো কেল্লাফতে। একটি অংক না পারলে সেটার পেছনে একদম সময় নষ্ট করবে না। পরের উত্তরগুলো করতে থাকবে। শেষে দেখবে তোমার সকল উত্তর করা শেষ তবে হাতে ৯-১০ মিনিট সময় আছে। তখন চিন্তা করে বাকি অংকের সমাধান করতে পারবে।
৪। উত্তরে যথাসম্ভব চেষ্টা করবে সঠিক উত্তর লিখার। অবান্তর কোন কিছু লিখে আসবে না।
৫। নটর ডেমে পড়ে এমন কোন বড় ভাইয়া থাকলে তার সাথেও কথা বলতে পারো। আর যে কোন প্রশ্নের জন্য কমেন্ট সেকশন তো খোলা আছেই।
যারা কলেজে পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য রইল শুভকামনা।