
(বাংলা ব্যাকরণ থেকে BCS প্রিলিমিনারিতে সর্বোচ্চ ১৫ নম্বর থাকবে ।)
বিপরীতার্থক শব্দ/ বিপরীত শব্দ:
একটি শব্দের বিপরীত অর্থবাচক শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ বলে ।
- সাধারণত শব্দের শুরুতে অ, অন, অনা, অপ, অব, দূর, ন, না, নি, নির প্রভৃতি উপসর্গগুলো যুক্ত করলে শব্দের অর্থ না-বাচক বা নিষেধবোধক অর্থে রূপান্তরিত হয় । তাই শব্দের বিপরীত শব্দ তৈরিতেও এই উপসর্গগুলো ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ।
যেমন- আগত – শব্দটির শুরুতে অন- উপসর্গটি যুক্ত হয়ে বিপরীত শব্দ হল- অনাগত ।
- আবার যে সব শব্দের শুরুতে হ্যাঁ-বোধক উপসর্গ থাকে, তাদের শুরুর সেই উপসর্গের বদলে না-বোধক উপসর্গও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ।
যেমন- অনুরাগ- শব্দটি রাগ- শব্দমূলের পূর্বে অনু- উপসর্গ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে, যেখানে অনু- উপসর্গটি ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করেছে । এখন অনু-র পরিবর্তে বি- উপসর্গ ব্যবহার করলে, বিরাগ- শব্দে বি-উপসর্গটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে, এবং শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ উল্টে যায় । অর্থাৎ, ইতিবাচক অনু- উপসর্গের বদলে নেতিবাচক বি-উপসর্গের ব্যবহারে বিপরীত শব্দ গঠিত হল ।
- তবে সাধারণত, শব্দের বিপরীত শব্দগুলো অর্থের দিক থেকে বিপরীত অর্থবোধক হয়; না-বোধক বা নেতিবাচক হয় না । তাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরকম কোন নিয়ম খাটে না । বরং অর্থের দিক থেকে যথাযথ বিপরীত শব্দটিই গৃহীত হয় ।
যেমন- আজ – কাল, অতীত- ভবিষ্যত, অধম- উত্তম, ইত্যাদি ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ:
অ
মুল শব্দ-বিপরীত শব্দ মুল শব্দ-বিপরীত শব্দ
অকর্মক | সকর্মক | অজ্ঞ | প্রাজ্ঞ | অধিত্যকা | উপত্যকা |
অক্ষম | সক্ষম | অতিকায় | ক্ষুদ্রকায় | অনন্ত | সান্ত |
অগ্র | পশ্চাৎ | অতিবৃষ্টি | অনাবৃষ্টি | অনুকূল | প্রতিকূল |
অগ্রজ | অনুজ | অতীত | ভবিষ্যত | অনুগ্রহ | নিগ্রহ |
অণু | বৃহৎ | অদ্য | কল্য | অগ্রজ | অনুজ |
অচল | সচল | অধঃ | ঊর্ধ্ব | অনুরক্ত | বিরক্ত |
অচলায়তন | সচলায়তন | অধম | উত্তম | অনুরাগ | বিরাগ |
অচেতন | সচেতন | অধমর্ণ | উত্তমর্ণ | অনুলোম | প্রতিলোম |
অলীক | সত্য | অশন | অনশন | অস্তগামী | উদীয়মান |
অল্পপ্রাণ | মহাপ্রাণ | অসীম | সসীম | অস্তি | নাস্তি/নেতি |
অহিংস | সহিংস |
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।