সরকারি চাকরি নিয়োগ সাধারণ জ্ঞান (স্থাপনা ও ভাস্কর্য)

সরকারি চাকরি নিয়োগ সাধারণ জ্ঞান (স্থাপনা ও ভাস্কর্য)

 

শামীম সিকদার-

  • স্বোপার্জিত স্বাধীনতা (টিএসসি (ডাস চত্বর), ঢাবি)
  • স্বাধীনতা সংগ্রাম (ফুলার রোড, ঢাবি)
  • স্বামী বিবেকানন্দ (জগন্নাথ হল, ঢাবি)

মৃণাল হক-

  • দুর্জয় (রাজারবাগ, ঢাকা)
  • চিরদুর্জয় (রাজারবাগ, ঢাকা)
  • বলাকা (মতিঝিল, ঢাকা)
  • গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
  • রাজসিক বিহার (হোটেল শেরাটনের সামনে, ঢাকা)
  • প্রত্যাশা (বঙ্গবাজার, ঢাকা)
  • অর্ঘ্য (সায়েন্স ল্যাব বা সায়েন্স ল্যাবরেটরী, ঢাকা)
  • সাম্যবাদ (কাকরাইল, ঢাকা)
  • বাউল ভাস্কর্য (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে, ঢাকা)
  • বর্ষারাণী (তেজগাঁও, ঢাকা)

হামিদু্জ্জামান খান-

  • সংশপ্তক (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)
  • স্বাধীনতা (কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা)
  • ক্যাঁকটাস (ঢাবি)
  • মিশুক (শাহবাগ, ঢাকা)
  • ইস্পাত
  • বেগম রোকেয়া ভাস্কর্য (রোকেয়া হল, ঢাবি)
  • স্মৃতির মিনার (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
  • রুই কাতলা (ফার্মগেট, ঢাকা)
  • শান্তির পাখি (টিএসসি, ঢাবি)
  • কিংবদন্তী (মিরপুর, ঢাকা)
  • বিজয় বিহঙ্গ (হামিদু্জ্জামান খান ও আমিনুল হাসান লিটু) (বরিশাল)

 


​নিতুন কুণ্ডু-

  • সার্ক ফোয়ারা (পান্থপথ, ঢাকা)
  • সাবাস বাংলাদেশ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
  • কদম ফোয়ারা (ঢাকা)
  • সাম্পান (চট্টগ্রাম)

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারঃ

> কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবস্থিত -ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেইটের সামনে ।

> কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মান করা হয় -১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনে নিহতের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ।

> কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ফলক উন্মোচন করা হয় – ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ ।

> কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ফলক উম্নোচন করেন -শহীদ শফিউরের পিতা ।

> কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থপতি – হামিদুর রহমান ।

তিন নেতার স্মৃতিসৌধঃ

> তিন নেতার স্মৃতিসৌধ অবস্থিত -কার্জন হল সংলগ্ন দোয়েল চত্বরের পাশে ।
> তিন নেতার স্মৃতিসৌধের স্থপিত – মাসুদ আহমেদ
> তিন নেতার স্মৃতিসৌধ শায়িত তিন নেতা -শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন ।


মুজিবনগর স্মৃতি সৌধঃ

>মুজিবনগর স্মৃতি সৌধ  অবস্থিত  মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে ।
> মুজিবনগর স্মৃতি সৌধ  নির্মিত হয় -১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ।
> মুজিবনগর স্মৃতি সৌধ স্থপিত তানভীর কবির ।
>মুজিবনগর স্মৃতি সৌধের স্তম্ভ – ২৩ টি ।

জাতীয় স্মৃতি সৌধঃ

>জাতীয় স্মৃতি সৌধ কোথায় অবস্থিত -ঢাকার সাভারে
> জাতীয় স্মৃতি সৌধের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয় – ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে ।
> জাতীয় স্মৃতি সৌধের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন – বঙ্গবন্ধ শেখ মজিবুর রহমান
> জাতীয় স্মৃতি সৌধ উদ্বোধন করা হয় — ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮২সালে ।
> জাতীয় স্মৃতি সৌধ  উদ্বোধন করেন – হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
> জাতীয় স্মৃতি সৌধকে  বলা হয় – একটি সম্মিলিত প্রয়াস
> জাতীয় স্মৃতি সৌধের স্থাপিত  মঈনুল হোসেন
> জাতীয় স্মৃতি সৌধ ১০৯ একর উপর প্রতিষ্ঠিত
> জাতীয় স্মৃতি সৌধের ফলক আছে ৭টি
> জাতীয় স্মৃতি সৌধের উচ্চতা -৪৬.৬ মিটার বা ১৫০ ফুট ।
> জাতীয় স্মৃতি সৌধের ৭টি ফলক হওয়ার কারন- স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি পর্যায়ের নিদশন স্বরূপ ।
> স্বাধীনতা আন্দোলনের ৭টি পর্যায় –
১.৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ২. ৫৪ এর নির্বাচন, ৩. ৫৮ এর সামরিক শাসন বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৪. ৬২ এর শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৫. ৬৬ এর ৬ দফা, ৬. ৬৯ এর গনঅভ্যুথান ও ৭. ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা ।

> জাতীয় স্মৃতি সৌধের প্রাঙ্গনে  গন কবর রয়েছে -১০টি ।

অপরাজেয় বাংলাঃ

> অপরাজেয় বাংলা অবস্থিত – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বরে ।
> অপরাজেয় বাংলা স্থপিত -সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেদ ।
> অপরাজেয় বাংলার প্রতীক হচ্ছে  কাধে কাধ মিলিয়ে বাংলার নারী ও পুরুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের ও বিজয়ের ।


কয়েকটি স্থাপনা

নাটোর রাজবাড়ী
নাটোর রাজবাড়ি, বাংলাদেশের নাটোর সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি রাজবাড়ি, যেটি নাটোর রাজবংশের একটি স্মৃতিচিহ্ন।অষ্টাদশ শতকের শুরুতে নাটোর রাজবংশের উৎপত্তি হয়। ১৭০৬ সালে পরগণা বানগাছির জমিদার গণেশ রায় ও ভবানী চরণ চৌধুরী রাজস্ব প্রদানে ব্যর্থ হয়ে চাকরিচ্যুত হন। দেওয়ান রঘুনন্দন জমিদারিটি তার ভাই রাম জীবনের নামে বন্দোবস্ত নেন। এভাবে নাটোর রাজবংশের পত্তন হয়। রাজা রাম জীবন নাটোর রাজবংশের প্রথম রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন ১৭০৬ সালে, মতান্তরে ১৭১০ সালে। ১৭৩৪ সালে তিনি মারা যান। ১৭৩০ সালে রাণী ভবানীর সাথে রাজা রাম জীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের বিয়ে হয়। রাজা রাম জীবনের মৃত্যুর পরে রামকান্ত নাটোরের রাজা হন। ১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পরে নবাব আলীবর্দী খাঁ রাণী ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। রাণী ভবানীর রাজত্বকালে তার জমিদারি বর্তমান রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
ছোট সোনা মসজিদঃ
ছোট সোনা মসজিদ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় নগরীর উপকন্ঠে ফিরোজপুর গ্রামে এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিলো, যেটি বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার অধীনে পড়েছে। সুলতান আলা-উদ-দীন শাহ এর শাসনামলে (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ) ওয়ালী মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের মাঝের দরজার উপর উপর প্রাপ্ত এক শিলালিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়। তবে লিপির তারিখের অংশটুকু ভেঙ্গে যাওয়ায় নির্মাণকাল জানা যায়নি। এটি কোতোয়ালী দরজা থেকে মাত্র ৩ কি.মি. দক্ষিণে। মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। এটি হোসেন-শাহ স্থাপত্য রীতিতে তৈরী।এই মসজিদটিকে বলা হতো ‘গৌরের রত্ন’।এর বাইরের দিকে সোনালী রঙ এর আস্তরণ ছিলো, সূর্যের আলো পড়লে এ রঙ সোনার মত ঝলমল করত। প্রাচীন গৌড়ে আরেকটি মসজিদ ছিলো যেটি সোনা মসজিদ নামে পরিচিত। এটি তৈরি করেছিলেন সুলতান নুসরত শাহ। সেটি ছিলো আরও বড়। তাই স্থানীয় লোকজন এটিকে ছোটো সোনা মসজিদ বলে অবহিত করতো, আর গৌড় নগরীর মসজিদটিকে বলতো বড় সোনা মসজিদ।

ষাট গম্বুজ মসজিদ;
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তাই এটি কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখলে এটি যে খান-ই-জাহান নির্মাণ করেছিলেন সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ থাকে না। ধারণা করা হয় তিনি ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেন। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিলো। পাথরগুলো আনা হয়েছিলো রাজমহল থেকে। এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটির মধ্যে অবস্থিত; বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে।মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮·৫ ফুট পুরু

সোনারগাঁও:
সোনারগাঁও বাংলার মুসলিম শাসকদের অধীনে পূর্ববঙ্গের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র। এটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। এর অবস্থান ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। মধ্যযুগীয় নগরটির যথার্থ অবস্থান নির্দেশ করা কঠিন। বিক্ষিপ্ত নিদর্শনাদি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটি পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী ও উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত একটি বিস্তৃত জনপদ ছিল।

শালবন বৌদ্ধ বিহার:
শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহার । এটি ১২শ প্রত্নতাত্বিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম প্রধান। কোটবাড়িতে বার্ডেরকাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান। বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। এর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুর। এখনো ছোট একটি বন আছে সেখানে। এ বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট।


মহাস্থানগড়:
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়।বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কি.মি উত্তরে মহাস্থান গড় অবস্থিত।সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন (১০৮২-১১২৫) যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরক্ষিত ছিল । মহাস্থানের রাজা ছিলেন নল যার বিরোধ লেগে থাকত তার ভাই নীল এর সাথে। এসময় ভারতের দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র নামক স্থান থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে অসেন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। কারণ তিনি পরশু বা কুঠার দ্বারা মাতৃহত্যার দায়ে অভিশপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই এই দুই ভাইয়ের বিরোধের অবসান ঘটান এবং রাজা হন। এই ব্রাহ্মণের নাম ছিল রাম। ইতিহাসে তিনি পরশুরাম নামে পরিচিত। কথিত আছে পরশুরামের সাথে ফকির বেশী আধ্যাত্মিক শক্তিধারী দরবেশ হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র:) এর যুদ্ধ হয়। (১২০৫-১২২০) যুদ্ধে পরশুরাম পরাজিত ও নিহত হন।

নর্থব্রুক হল:
নর্থব্রুক হল (বর্তমানে স্থানীয়ভাবে লালকুঠি নামে পরিচিত) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অন্যতম প্রাচীন ও সৌন্দর্যময় স্থাপত্যিক একটি নিদর্শন যেটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ওয়াইজ ঘাটে অবস্থিত। ১৮৭৪ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল জর্জ ব্যরিং নর্থব্রুক ঢাকা সফরে এলে এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই ভবনটি টাউন হল হিসেবে নির্মাণ করা হয়। তৎকালিন ঢাকার স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিরা গভর্নর জেনারেল নর্থব্রুকের সম্মানে এই ভবনের নাম দেন নর্থব্রুক হল। ১৯২৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এখানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঢাকা পৌরসভা সংবর্ধনা দেয়।বর্তমানে ভবনটির দায়িত্ব রয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ভবনটি সংলগ্ন সড়কটি নর্থব্রুক হল রোড নামে পরিচিত।

উত্তরা গণভবন:
দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন বাংলাদেশের নাটোর শহর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে এককালের দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান এবং বর্তমান উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস।প্রাসাদের মূল অংশ এবং সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেছিলেন রাজা দয়ারাম রায়। রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা প্রমদা নাথ রায়ের আমলে ১৮৯৭ সালের ১০ জুন নাটোরের ডোমপাড়া মাঠে তিনদিনব্যাপী বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের এক অধিবেশন আয়োজন করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এ অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অধিবেশনের শেষ দিন ১২ জুন প্রায় ১৮ মিনিটব্যাপী এক প্রলয়ংকরি ভূমিকম্পে রাজপ্রাসাদটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। পরে রাজা প্রমদা নাথ রায় ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর সময় ধরে বিদেশী বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও চিত্রকর্ম শিল্পী আর দেশী মিস্ত্রিদের সহায়তায় সাড়ে ৪১ একর জমির উপর এই রাজবাড়ীটি পুনঃ নির্মাণ করেন।

ভাওয়াল রাজবাড়ী:
ভাওয়াল রাজবাড়ী অবিভক্ত ভারতবর্ষের বাংলা প্রদেশের ভাওয়াল এস্টেটে, বর্তমানে বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় অবস্থিত একটি রাজবাড়ী। বিংশ শতকের প্রথম দিকে একটি বিখ্যাত মামলা হয়েছিল যেটি ভাওয়ালের জমিদার বংশের রাজকুমার রমেন্দ্রনারায়ণ রায়কে ঘিরে ও ভাওয়ালের সন্ন্যাসী মামলা নামে খ্যাত। এছাড়া বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তম কুমার অভিনীত সন্ন্যাসী রাজা নামের বাংলা ছবিটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল যার ঘটনা এই রাজবাড়িকেই ঘিরে। এই রাজবাড়ীর আওতায় ভাওয়াল এস্টেট প্রায় ৫৭৯ বর্গ মাইল (১,৫০০ বর্গ কি.মি.) এলাকা জুড়ে ছিল যেখানে প্রায় ৫ লাখ প্রজা বাস করতো। ভাওয়ালের জমিদার বংশের রাজকুমার রমেন্দ্রনারায়ণ রায় ও আরো দুই ভাই মিলে এই জমিদারীর দেখাশোনা করতেন।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার:
সোমপুর বিহার বা পাহাড়পুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান (World Heritage Site) এর মর্যাদা দেয়।পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থান) এবং অন্য শহর কোটিবর্ষ (বর্তমান বানগড়)এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার। এর ধ্বংসাবশেষটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। অন্য দিকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এর দূরত্ব পশ্চিমদিকে মাত্র ৫ কিমি। এর ভৌগোলিক অবস্থান ২৫°০´ উত্তর থেকে ২৫°১৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫০´ পূর্ব থেকে ৮৯°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। গ্রামের মধ্যে প্রায় ০.১০ বর্গ কিলোমিটার (১০ হেক্টর) অঞ্চল জুড়ে এই পুরাকীর্তিটি অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক এই নিদর্শনটির ভূমি পরিকল্পনা চতুর্ভূজ আকৃতির।এটি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্লাবন সমভূমিতে অবস্থিত, প্লাইস্টোসীন যুগের বরেন্দ্র নামক অনুচ্চ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। মাটিতে লৌহজাত পদার্থের উপস্থিতির কারণে মাটি লালচে। অবশ্য বর্তমানে এ মাটি অধিকাংশ স্থানে পললের নিচে ঢাকা পড়েছে। পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৩০.৩০ মিটার উচুতে অবস্থিত পাহাড় সদৃশ স্থাপনা হিসেবে এটি টিকে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন একে ‘গোপাল চিতার পাহাড়’ আখ্যায়িত করত। সেই থেকেই এর নাম হয়েছে পাহাড়পুর, যদিও এর প্রকৃত নাম সোমপুর বিহার।

সোনারং জোড়া মঠ:
সোনারং জোড়া মঠ বাংলাদেশের অষ্টাদশ শতাব্দীর এই প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। এটি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে অবস্থিত। কথিত ইতিহাসে জোড়া মঠ হিসাবে পরিচিত লাভ করলেও মুলত এটি জোড়া মন্দির। মন্দিরের একটি প্রস্তর লিপি থেকে জানা যায় এলাকার রূপচন্দ্র নামে হিন্দু লোক বড় কালীমন্দিরটি ১৮৪৩ সালে ও ছোট মন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন। ছোট মন্দিরটি মুলত শিবমন্দির। বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার। মন্দির দুটির মুল উপাসনালয় কক্ষের সঙ্গের রয়েছে বারান্দা বড় মন্দিরের ১.৯৪ মিটার ও ছোটটিতে ১.৫ মিটার বারান্দা। এছাড়া মন্দিরের সামনের অংশে বেশ বড় আকারের একটি পুকুর রয়েছে। বড় মন্দিরটি তৈরির সমসাময়িক সময়ে এই পুকুরটি তৈরি করা হয়।


প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।

লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline