
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং পদ্ধতি যেভাবে করা হয় জেনে নিন
উত্তরপত্র নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। একজন পরীক্ষার্থীর তত্ত্বীয়, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকে গ্রেড ও সংশি-ষ্ট গ্রেড পয়েন্ট থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় মণ্ডুৱী কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুযায়ী গাণিতিক (numerical) নম্বর, লেটার গ্রেড ও গ্রেড পয়েন্ট হবে নিমরূপঃ
Numerical Grade Letter Grade (LG) Grade Point (GP)
80% or above A+ (Plus) 4.00
75% to less than 80% A (Plain) 3.75
70% to less than 75% A- (Minus) 3.50
65% to less than 70% B+ (Plus) 3.25
60% to less than 65% B (Plain) 3.00
55% to less than 60% B- (Minus) 2.75
50% to less than 5590 C+ (Plus) 2.50
45% to less than 50% C (Plain) 2.25
40% to less than 45% D (Plain) 2.00
<40% (less than 40%) F (Fail) 0.00
পাশ নম্বর:
১৩. উর্ত্তীণ গ্রেড:
ছাত্র-ছাত্রীদের সকল নির্ধারিত কোর্সে (তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক) এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সকল
নির্ধারিত কোর্সে ও মৌখিক পরীক্ষায় ৪০% বা D গ্রেড বা গ্রেড পয়েন্ট ২ পেয়ে পাশ করতে হবে। যে সকল কোর্সে D বা তদূৰ্ব্ব গ্রেড অর্জিত হবে শুধুমাত্র সে কোর্সগুলোর ক্রেডিট ফলাফলের গণনায় আনা হবে। Non-Credit ইংরেজী বিষয়ের প্রাপ্ত গ্রেড GPA গণনায় নেওয়া হবে না।
১৪. জিপিএ (GPA) এবং সিজিপিএ (CGPA) নির্ণয়:
নির্দিষ্ট কোর্সে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্টকে উক্ত কোর্সের ক্রেডিট দ্বারা গুণ করে এ কোর্সে অর্জিত পয়েন্ট (EPS) নির্ধারণ করা হবে। উক্ত বছরে সকল কোর্সে অর্জিত মােট পয়েন্টকে মােট অর্জিত ক্রেডিট দ্বারা ভাগ করে এক বছরের জিপিএ (GPA) নিরস্পন করা হবে। এভাবে সকল বছরে অর্জিত মােট পয়েন্ট সমুহকে যোগ করে সর্বমােট অর্জিত ক্রেডিট দ্বারা ভাগ করে সিজিপিএ (CGPA) নির্ধারণ করা হবে। D এর নীচে প্রাপ্ত গ্রেডের জন্য কোন ক্রেডিট অর্জিত হবে না এবং তা F (Fail) গ্রেড বলে বিবেচিত হবে। F গ্রেড থেকে উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত হলে অর্জিত ক্রেডিট CGPA গণনায় যুক্ত হবে। F গ্রেড। উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করলে পরবর্তীতে মানোন্নয়নের আর সুযোগ থাকবে না।
জিপিএ গণনার পদ্ধতিঃ
Example:
Grade Point Average (GPA) Calculation for a year
Earned Credit (EC) =22(4+4+4+0+4+2+4=22
SGPA = TPS/EC = 64/22 = 2.90
সিজিপিএ গণনার পদ্ধতি:
প্রমোশন (প্রথম বর্ষ হতে ৪র্থ বর্ষে) নীতিমালা:
ক) গ্রেডিং পদ্ধতির সম্মান পরীক্ষায়: BA; BSS, BBA এবং BSc এর ক্ষেত্রে ১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে প্রমোশনের জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে নৃত্যুনতম D গ্রেড পেতে হবে। ২য় বর্ষ থেকে ৩য় বর্ষে নৃত্যুনতম ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে D গ্রেড পেতে হবে। ৩য় বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষে প্রমােশনের জন্য নূ্যনতম ৪টি তত্ত্বীয় কোর্সে D গ্রেড পেতে হবে।
খ) একজন শিক্ষার্থী কোন বর্ষে ক -উপধারায় উলে- খিত তত্ত্বীয় কোর্সে প্রমােশনের জন্য নৃত্যুনতম গ্রেড অর্জনে ব্যর্থ হলে সে Not Promoted হবে। পরবতী বছরে অনুষ্ঠিত উক্ত বর্ষের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীকে পূর্ববতী বছরের পাসকৃত তত্ত্বীয় কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে না। একই বর্ষে পর পর অনুষ্ঠিত দু’বছরের প্রাপ্ত ফলাফল কি —উপধারার শর্ত পূরণ করলে একজন শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন পাবে। তবে F গ্রেড কে উচ্চতর গ্রেডে উন্নিত করলে সেক্ষেত্রে মানোন্নয়নের সুযোগ থাকবে না।
গ) ১টি কোর্সে অনুপস্থিত থেকে শিক্ষার্থী অন্যান্য সকল কোর্সে পরীক্ষা দিয়ে সে সব কোর্সে নূ্যনপক্ষে D গ্রেড পেলে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন পাবে। পরবর্তী বছরে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাকে অনুপস্থিত বিষয়ে অবশ্যই পরীক্ষা দিতে হবে।
ঘ) একজন শিক্ষার্থক —উপধারার শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে প্রমোশন পাবে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১ম বর্ষের F গ্রেড সমূহকে উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করার সুযোগ পাবে। তবে ২য় বর্ষের পরীক্ষায় প্রমােশনের জন্য ক -উপধারার নৃত্যুনতম শর্তপূরণ করতে হবে। উক্ত শর্তপূরণে ব্যর্থ হলে ৩য় বর্ষে প্রমোশন পাবে না। একই ভাবে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ১ম ও ২য় বর্ষের F গ্রেড সমূহকে উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করার সুযোগ পাবে। তবে ৩য় বর্ষের পরীক্ষায় প্রমোশনের জন্য কি —উপধারার নৃত্যুনতম শর্তপূরণ করতে হবে। উক্ত শর্তপূরণে সে ব্যর্থ হলে ৪র্থ বর্ষে প্রমোশন পাবে না।