বিসিএস প্রস্তুতি -বাংলা ,প্রসঙ্গঃ ভাবসম্প্রসারন

৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি
বাংলাঃ

—–

.
প্রসঙ্গঃ ভাবসম্প্রসারন
ছোট বেলায় স্কুল জীবনে মনের মাধুরী মিশিয়ে কতই না ভাবসম্প্রসারন লেখা হয়েছে! কিন্তু বিসিএস এর ভাবসম্প্রসারন কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে লিখতে হয়। কেননা, ভাবসম্প্রসারনের নামগুলোই আপনার জীবনে প্রথম শুনা। আপনি ৩৭ তম প্রিলির জন্য অপেক্ষা কর আর ৩৬ তম লিখিত পরীক্ষার জন্যই অপেক্ষা কর না কেন,লিখিত বিষয়গুলো জানতেই হবে। হয়তো অনেকে প্রিলিতে ব্যর্থ হয়ে আবার প্রিলির প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কিন্তু যে প্রস্তুতি একবার হয়ে গেছে, সে প্রস্তুতির পাশাপাশি লিখিত প্রস্তুতি নেওয়াটা যৌক্তিক। আর লিখিত প্রার্থীদের জন্যতো বটেই! চলুন আজ একটু ধারনা নিই বাংলায় ভাবসম্প্রসারনগুলো কেমন এসেছিল বিগত পরীক্ষায়!
=> যে আমির মাঝে তুমি নেই, আর যে তুমির মাঝে আমি নেই, আমার পক্ষে দুই’ই সমান।
=> শৃঙ্খলিত সিংহের চেয়ে স্বাধীন গাধা উত্তম।
=> চাঁদের ও কলঙ্ক আছে।
=> গঙ্গাজলে গঙ্গপুজো।
=> নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।
=> অল্প জলের তিত পুঁটি, তার এত ছটফটি।
=> অভাগার গরু মরে, ভাগ্যবানের বউ মরে।
=> অজ্ঞতার সঙ্গে মনের দাসত্বের যোগ অতি ঘনিষ্ঠ।
=> সংস্কৃতি শব্দটি উচ্চারণ করা সহজ,বোঝা কঠিন এবং বোঝানো কঠিনতর।
=> সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত কালচারের উদ্দ্যেশে নয়-উপায়।
=> বিদ্যা যতই বাড়ে ততই জানা গেল যে,কিছুই জানা হল না।
=>স্ফুলিঙ্গ তার পাখায় পেল ক্ষনকালের ছন্দ,
উড়ে দিয়ে ফুরিয়ে গেল সেই তারই আনন্দ।
=>বার্ধক্য তাহাই যাহা পুরাতনকে,মিথ্যাকে,মৃ­তকে আঁকড়িয়া পড়িয়া থাকে।

এই ভাবসম্প্রসারনগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে-“” লিখতে গেলেই ভাবতে হবে।”” অর্থাৎ খুব একটা গতানুগতিক নয়। বিগত বছরের প্রশ্ন দেখার অর্থ হচ্ছে এই যে, যুদ্ধে নামার আগে যুদ্ধের অবস্থা ও অবস্থান জেনে নেওয়া।
এই হল বিগত বছরের আনকমন প্রশ্ন। এগুলোর নিরিখে আমি কিছু ভাবসম্প্রসারন তৈরি করলাম। উল্লেখ্য আমার গুলো কোন অংশেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। শুধু ভাবনার জগতকে সম্প্রসারিত করার জন্যই লিখলাম। কারন ভাবসম্প্রসারন লেখাটা নির্ভর করে মূলত ভাবনার সম্প্রসারনের উপর। আর এটি সাধারনত ২০ বাক্যের মধ্যে লিখতে হয়। আর প্রতিটি বাক্যের মাঝেই অবশ্যই শব্দশৈলী অনেক উঁচুমাত্রায় হতে হয়। আমার কথাটার যৌক্তিকতা খুঁজার জন্য আপনার পাশের বিসিএস ক্যাডারকে জিজ্ঞেস কর ২০ মার্কসের জন্য ২০ নম্বর।
তার উপর বাংলার শিক্ষকদের লেখা দিয়ে খুব একটা খুশিও করা যায়না। তবে এই ভাবসম্প্রসারন লিখতে গিয়ে যদি লেখার মাঝে কিছুটা সাহিত্যের ছোঁয়া আনা যায় তবে মার্কসটুকু আশা করি ভালোই পাওয়া যায়। কারন তখন স্যার হয়তো ধরেই নিবেন আপনি বাংলার শিক্ষার্থী। আর এই ধারনা শিক্ষকের মনে জন্ম দেয়াই লেখার আসল স্বার্থকতা।

এবার আসুন আমার তৈরি করা কিছু ভাবসম্প্রসারনে নজর দিই। আগেই বলেছি আমারগুলো কোন অংশেই গুরুত্বপূর্ণ নয়,শুধু ভাবনার জগতকে সম্প্রসারিত করার জন্য নিজে নিজে অনুশীলন করবেন। এখন ভাবলে, পরীক্ষার হলে আর ভাবতে হবে না। নিচের ভাবসম্প্রসারন গুলো লক্ষ্য কর নিচের এগুলো কোন বইতে পাবেন না,নিজে নিজেই চেষ্টা করতে হবে।
=> ইতিহাস হল বিজয়ীর হাতে লেখা বিজিতের নামে একরাশ কুৎসা।
=> সংবিধানের বিধানই গণতন্ত্রের চাবিকাঠি।
=> বুলেটের ভয়ে যে পালিয়ে বেড়ায় তার বাঁচার অধিকার নাই।
=> সকালের সূর্য উঠলেই অমাবস্যা অস্তিত্ব হারায়।
=> ধোঁয়ার মাঝেই লুকায়িত আছে আগুনের ফুলকি।
=> রক্তের আলপনায় আঁকা আমার স্বাধীনতা।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline