সাহিত্য! এর শুরু আছে শেষ নেই। বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগবিভাগে বেশি নম্বর বরাদ্দ্ব আছে। তাই আধুনিক যুগের সাহিত্য অংশ হতে বেশি বেশি প্রশ্ন আসে। যতটুকু প্রথমেই ভাল করে জোর দিয়ে জানা উচিত ……..
.
বাংলা সাহিত্য (আধুনিক যুগ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বর্তমান)
.

——-
:: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে , ১৮৬১ — ৭ আগস্ট, ১৯৪১)

——-
:: ১৯০১ সালে বোলপুরের শান্তি নিকেতন ‘ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন যেটি ১৯২১ সালে ‘বিশ্বভারতী’ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
:: ১৯১৩ সালের নবেম্বর মাসে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
:: ১৯১৫ সালে তদানীন্ত ভারত সরকার তাকে ‘স্যার বা নাইট’ উপাধি প্রদান করে। ১৯১৯ সালে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
:: ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৪০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
:: রবীন্দ্রনাথ মোট (১২ + ১ টি অসমাপ্ত) টি উপন্যাস রচনা করেন উপন্যাস গুলো হলো- করুণা (অসমাপ্ত), বেৌ ঠাকুরাণীর হাট (প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস), রাজর্ষি, শেষের কবিতা, ঘরে বাইরে, চার অধ্যায়, গোরা, চোখের বালি (বাংলা সাহিত্যে প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস), নেৌকাডুবি, যোগাযোগ, মালঞ্চ, দুইবোন, চতুরঙ্গ।
:: তার উল্লেখযোগ্য নাটক রুদ্রচন্ড, বাল্মীকি প্রতিভা (প্রথম প্রকাশিত নাটক), বসন্ত (নাটকটি তিনি নজরুলকে উৎসর্গ করেন), কালের যাত্রা, তাসের দেশ, শ্যামা, ডাকঘর, বিসর্জন, রাজ এবং রানী, রাজা, চিত্রাঙ্গদা, অচলায়তন, তাপসী, মুক্ত ধারা, অরুপরতন, নটির পূজা, রক্তকরবী, মালিনী।
:: তার উল্লেখযোগ্য ছোট গল্প হচ্ছে ভিখারিণী (প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প), সমাপ্তি, ক্ষুদিত পাষাণ, মনিহার, অতিথি।
:: রবীন্দ্রনাথের মোট কাব্যগ্রন্থ ৫৬ টি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কবি-কাহিনী (প্রথম কাব্যগ্রন্থ), বনফুল, বলাকা, নবজাতক, শেষলেখা।
:: হিন্দু মেলার উপহার রবীন্দ্রনাথের প্রথম কবিতা।
:: রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হচেছ ভ্রমণকাহিনী, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র, জাভা যাত্রীর পত্র, জাপান যাত্রী, রাশিয়ার চিঠি, বাংলা ভাষার পরিচয়, শব্দতত্ত্ব, সভ্যতার সংকট, কালান্তর, স্বদেশ।
:: রবীন্দ্রনাথের আত্নজীবনী হলো আমার ছেলে বেলা, জীবনস্মৃতি।
.

——-
:: প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬) :

——-
১।১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের ৭আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
২। ছদ্মনাম – বীরবল।
৩।বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক। চার ইয়ারী কথা-বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতিতে লেখা প্রথম গ্রন্থ)। এটি সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
৪।’সবুজপত্র’ (১৯১৪)পত্রিকার সম্পাদক।তিনি ‘বিশ্বভারতী’ পত্রিকারও সম্পাদনা করেন।
৫।প্রমথ চৌধুরী রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ বাংলার প্রথম সিভিলিয়ান সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ইন্দিরা দেবীকে বিয়ে করেন। এই ইন্দিরা দেবীকে উদ্দেশ্য করেই তিনি ‘ছিন্নপত্রে’র পত্রগুলো লিখেছিলেন।
৬।প্রমথ চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর ও কৃষ্ণনগর অঞ্চলের শিক্ষিত শিষ্টজনের মুখের ভাষাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগিতায় ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার মাধ্যমে চলিত রীতিতে রূপ দেন।
৭।চলিত রীতিতে লেখা তাঁর প্রথম রচনা – ‘বীরবলের হালখাতা’ (১৯১৬)।এটি চলিত রীতিতে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যেরও প্রথম গ্রন্থ।
৮।তিনি বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত।
৯।প্রমথ চৌধুরীর প্রবন্ধগ্রন্থগুলো মনে রাখুন:
প্রবন্ধ সংগ্রহের লেখক প্রমথ চৌধুরী আমাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য নানাজনের নানাকথার পরেও নানাচর্চায় বীরবলের হালখাতায় তেল-নুন-লকড়ি দিয়ে রায়তের কথা লিখলেন।
** (ক)প্রবন্ধ সংগ্রহ (প্রথম খণ্ড- ১৯৫২,দ্বিতীয় খণ্ড-১৯৫৩)
(খ)আমাদের শিক্ষা(১৯২০)
(গ)নানাকথা (১৯১৯)
(ঘ)নানাচর্চা (১৯৩২)
(ঙ) বীরবলের হালখাতা (১৯১৬)
(চ)তেল-নুন-লকড়ি (১৯০৬)
(ছ)রায়তের কথা (১৯২৬)
১০।তিনি বাংলা কাব্যসাহিত্যে ইটালীয় সনেটের প্রবর্তক হিসেবে বিশেষ স্থান লাভ করেন।তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো হল –
(ক)সনেট পঞ্চাশৎ(১৯১৩)
(খ)পদচারণ (১৯১৯)
১১।প্রমথ চৌধুরীর গল্পগ্রন্থ :
আহুতি নীললোহিতকে চার(ইয়ারী) কথা বললেন।
(ক)চার ইয়ারী কথা (১৯১৬)
(খ)আহুতি(১৯১৯)
(গ)নীললোহিত (১৯৪১)
১২।”সুশিক্ষিত মানুষ মাত্রি স্বশিক্ষিত”- উক্তিটি প্রমথ চৌধুরীর।
১৩। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।
.

——-
:: শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)

——-
:: তিনি বাংলা সাহিত্যে ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী নামে পরিচিত। তিনি ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ‘জগত্তারিণী’ পদক এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
:: তিনি বাংলা সাহিত্যে উপন্যাস রচনার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে বড়দিদি (এটি তার প্রথম উপন্যাস), শ্রীকান্ত (৪ খন্ডে রচিত এটি তার শ্রেষ্ঠ রচনা), পথের দাবী, গৃহদাহ, দেবদাস, শুভদা, চরিত্রহীন, দত্তা।
:: তার রচিত নাটক হচ্ছে ষোড়শী, বিজয়া, রমা।
:: তিনি ‘নারীর মূল্য’ নামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন।
:: কুন্তলীন পুরস্কার প্রাপ্ত ছোট গল্প ‘মন্দির’ তার প্রথম রচনা।
শরত্চন্দ্রের গল্পসমূহ :
বিলাসীর মেজদিদি বিন্দুর দুই ছেলে মহেশ ও পরেশ আর এক মেয়ে সতী মন্দিরের জমি নিয়ে মামলার ফলে তারা আজ কপর্দকশুন্য।
শরত্চন্দ্রের উপন্যাস মনে রাখার কৌশলঃ
অরক্ষণীয় গৃহের ছবি দেখে কাশীনাথ শ্রীকান্তকে বললেন, “”চরিত্রহীন দেবদাস পশুর সমান “”।
চ- চরিত্রহীন, দেব- দেবদাস, দেনা পাওনা।, দাস- বিপ্রদাশ।, প-পরিণীতা।, শু-পণ্ডিতমশাই।, র-পথের দাবি।, স-পল্লী সমাজ।, মা-রামের সুমতি।, ন-চন্দ্রনাথ।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১)
:: রায়নন্দিনী, তারাবাঈ তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।
:: তিনি অনল প্রবাহ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন যেটি ইংরেজ সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
:: তার রচিত মহাকাব্য হচ্ছে স্পেন বিজয়কাব্য।
:: তুরস্ক ভ্রমণ তার রচিত প্রবন্ধ।
.

——-
:: বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২)

——-
:: তিনি ছিলেন মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মুসলিম মহিলা সমিতি।
:: তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে অবরোধবাসিনী (লেখিকার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ; ১৯২৮), পদ্মরাগ, সুলতানার স্বপ্ন, ডিলিসিয়া হত্যা।
:: তার রচিত প্রবন্ধ হচ্ছে মতিচুর (লেখিকার প্রথম গ্রন্থ)।
:: বেগম রোকেয়ার স্বামীর নাম = সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
:: বেগম রোকেয়ার লেখা প্রকাশিত হতো = মিসেস আর.এস.হোসেন নামে।
:: তাঁর অসাধারণ কীর্তি = মুসলমান মেয়েদের জন্য “”সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাই স্কুল”” প্রতিষ্ঠা।
:: তাঁর রচিত ইংরেজী গ্রন্থের নাম = Sultanas Dream
:: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রথম গ্রন্থের নাম = মতিচুর (১ম খণ্ড ১৯০৪ সালে এবং ২য় খণ্ড ১৯২২ সালে প্রকাশিত)।
:: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম = ১৮৮০ সালের ৯ই ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্দ গ্রামে।
.

——-
:: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯)

——-
:: তিনি ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি বাংলা পন্জিকা সংস্কার করেন।
:: তার গবেষণামূলক গ্রন্থ হচ্ছে বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, বাংলা সাহিত্যের কথা, ভাষা 3 সাহিত্য, বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান।
:: লেখকের অনুবাদগ্রন্থ হচ্ছে রুবাইয়াত ই 3মর খ্যায়াম।
এস 3য়াজেদ আলী (১৮৯০-১৯৫১)
:: ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘গ্রানাডার শেষ বীর’ তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
:: তার রচিত প্রবন্ধ হচ্ছে ভবিষ্যতের বাঙালী, জীবনের শিল্প।

——-
:: প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খা (১৮৯৪-১৯৭৮)

——-
:: আনোয়ার পাশা, কামাল পাশা, কাফেলা তার রচিত নাটক।
:: ‘ইস্তাম্বুলের যাত্রীর পত্র’ তার ভ্রমণকাহিনী।
:: তার গল্পগ্রন্থ হচ্ছে সোনার শিকল।
.

——-
:: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০)

——-
:: উপন্যাসিক হিসেবেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার রচিত উপন্যাসগুলো হচ্ছে পথের পাচালী, আরণ্যক, অপরাজিত, অশনি সংকেত, অভিযাত্রিক।
:: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেনত ১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ সালে, মাতুলালয়, মুরারিপুর গ্রাম, চবিবশ পরগনা।
:: তিনি মূলত ছিলেনত ঔপন্যাসিক।
:: শরৎচন্দ্র পরবর্তী বাংলা ঔপন্যাসিকদের মধ্যে জনপ্রিয় কে ছিলেনত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
:: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত প্রথম উপন্যাস হচ্ছেতপথের পাঁচালী (১৯২৯)।
:: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসগুলোর নামত পথের পাঁচালী (১৯২৯), অপরাজিত (১৯৩১), দৃষ্টি প্রদীপ (১৯৩৫), আরণ্যক (১৯৩৮), আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০), দেবযান (১৯৪৪), ইছামতী (১৯৪৯), অশনি সংকেত (১৯৫৯) ইত্যাদি।
:: পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে কে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেনতসত্যজিৎ রায়।
:: পথের পাঁচালীর দ্বিতীয় খন্ড বলা হয় কোন উপন্যাসকে?তঅপরাজিত (১৯৩১)।
:: এই উপন্যাসের প্রধান কয়েকটি চরিত্রের নাম লিখত অপু, দুর্গা, সর্বজয়া, হরিহর, অপর্ণা।
:: ঋত্বিক ঘটক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করেনত অশনি সংকেত।
:: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ছোটগল্পগ্রন্থগুলোর নামত মেঘমল্লার (১৯৩১), মৌরীফুল (১৯৩২), যাত্রাবদল (১৯৩৪), কিন্নরদল (১৯৩৮)।
:: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নামত তৃণাঙ্কুর (১৯৪৩)।
:: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত পথের পাঁচালী উপন্যাসটি কোন কোন ভাষায় অনূদিত হয়েছেত ইংরেজী ও ফরাসি ভাষায়।
:: তিনি কোন উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেনত ইছামতী (১৯৪৯)।
:: তাঁর কোন উপন্যাসে অরণ্যচারী মানুষের জীবন প্রাধান্য পেয়েছেত আরণ্যক (১৯৩৮)।
:: বিভূতিভূষনের উপন্যাসে কী গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে?ত প্রকৃতি ও দরিদ্র মানুষের জীবন।
:: তিনি কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেনত ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে।
.

——-
:: আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮-১৯৭৯)

——-
:: তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে আবে হায়াত, জীবনক্ষুধা, সত্যমিথ্যা।
:: তার রচিত রম্যরচনা (গল্প) হচ্ছে আয়না, ফুড কনফারেন্স, আসমানী পর্দা, গ্যালিভারের সফরনামা।
:: তার রচিত প্রবন্ধ হচ্ছে আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (আত্নজীবনী), পাক বাংলার কালচার।
.

——-
:: জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)

——-
:: রুপসী বাংলার কবি, নির্জনতার কবি, তিমির হননের কবি, ধূসরতার কবি এবং তিরিশের দশকের তথাকথিত জনবিচ্ছিন্ন কবি প্রভৃতি নামে তিনি পরিচিত।
:: তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে ঝরা পালক (তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ), ধূসর পান্ডুলিপি, সাত তারার তিমির, বেলা অবেলা কালবেলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী।
:: মাল্যবান, সতীর্থ তার রচিত উপন্যাস।
:: তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হচ্ছে কবিতার কথা, কেন লিখি।
.

——-
:: কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)

——-
:: জন্ম: ২৫শে মে ১৮৯৯ ( ১১ ই জৈষ্ঠ ১৩০৬ বাংলা)
:: জন্মস্থান: পশ্চিম বাংলার আসানসোল মহকুমার চুরূলিয়া গ্রামে।
:: নজরুল বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত
:: কাজী নজরুল বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা। রণসঙ্গীত হিসাবে মূল কবিতাটির ২১ চরণ গৃহীত।
:: ভারত থেকে স্হায়ীভাবে বাংলাদেশে আনা হয় ২৪শে মে ১৯৭২
:: বিদ্রোহী প্রকাশিত হয় ১৯২১ সালে বিজলী পত্রিকায়
:: অগ্নিবীনা প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে
:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান ১৯৭৪
:: কাজী নজরুলের প্রথম: উপন্যাস: বাধন হারা, কবিতা: মুক্তি, কাব্য: অগ্নিবীণা, ছোট গল্প: হেনা,
:: নাটক: ঝিলিমিলি, প্রবন্ধ গ্রন্থ: যুগবাণী(1921), প্রবন্ধ: তুর্কি মহিলার ঘোমটা খোলা
:: প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম: ব্যথার দান (প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯২২)।
:: প্রথম প্রকাশিত রচনার নাম: বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী (প্রকাশ: জ্যৈষ্ঠ ১৩২৬; সওগাত)।
:: প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম: বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী (প্রকাশ: জ্যৈষ্ঠ ১৩২৬)।
:: প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নাম: ব্যথার দান (প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯২২)।
:: প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম: অগ্নি-বীণা (সেপ্টেম্বর, ১৯২২)।
:: প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম: বাঁধনহারা (১৯২৭)।
:: প্রথম বাজেয়াপ্ত গ্রন্থের নাম: বিষের বাঁশী (প্রকাশ: আগষ্ট ১৯২৪/বাজেয়াপ্ত: ২৪ অক্টোবর ১৯২৪)।
:: মোট ৫টি গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়: বিশের বাঁশী, ভাঙার গান, প্রলয় শিখা, চন্দ্রবিন্দু, যুগবাণী।
:: নজরুল রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে অগ্নি-বীণা(১৯২২)(কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ), বিষের বাঁশি (১৯২৪), ভাঙার গান (১৯২৪), সাম্যবাদী (১৯২৫), সর্বহারা (১৯২৬), ফণি-মনসা (১৯২৭), জিঞ্জির (১৯২৮), সন্ধ্যা (১৯২৯), প্রলয় শিখা (১৯৩০), সঞ্চিতা, মরুভাস্কর, চিত্তনামা, ছায়ানট, দোলন চাপা, চক্রবাক, সিন্ধু হিন্দোল, ঝিঙে ফুল
:: উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হচ্ছে ব্যথার দান (প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ), রিক্তের বেদন, শিউলিমালা।
:: তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে বাধনহারা (প্রথম উপন্যাস), মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা।
:: তার রচিত নাট্যগ্রন্থ হচ্ছে ঝিলিমিলি (প্রথম নাট্যগ্রন্থ), পুতুলের বিয়ে, আলেয়া, মধুমালা।
:: লেখকের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ হচ্ছে যুগবাণী (প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ), রাজবন্দীর জবানবন্দী, দুর্দিনের যাত্রী।
:: কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকাঃ লাঙ্গল, ধূমকেতু, নবযুগ।
:: নজরুলের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা: দশ বছর বয়সে গ্রামের মক্তব থেকে নিম্ন প্রাইমারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (১৯০৯) হন্ এরপর ১৯১৪ সালের ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে, ১৯১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জ শিয়ারশোল রাজস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে ১৯১৭ সালে দশম শ্রেণী প্রি-টেস্ট পরীক্ষার সময় লেখাপড়া অসমাপ্ত রেখে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
:: বার বছর বয়সে তিনি লেটোর দলে যোগ দেন এবং ‘পালা গান’ রচনা করেন।
:: রবীন্দ্রনাথ তাঁর বসন্ত গীতিনাট্য নজরুলকে উৎসর্গ করেন।
:: রক্তাম্বরধারিনী মা কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীনা’ কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
:: অগ্নি-বীণার প্রথম কবিতা প্রলয়োল্লাস।
:: জীবনভিত্তিক কাব্যগুলো হলো: ‘চিত্তনামা'(১৯২৫)[দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ] ও মরু-ভাস্কর (১৯৫০)[হযরত মুহাম্মদ (সঃ)]।
:: বিখ্যাত গল্পগ্রন্থগুলোর নাম: ব্যথার দান (১৯২২), রিক্তের বেদন (১৯২৫), শিউলিমালা (১৯৩১)।
:: সংগীত বিষয়ক গ্রন্থাবলীর নামগুলি হলো: চোখের চাতক, নজরুল গীতিকা, সুর সাকী, বনগীতি প্রভৃতি।
:: তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারত সরকার কর্তৃক যথাক্রমে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৪৫) ও পদ্মভূষণ (১৯৬০) পদক দেয়া হয়?
:: বিবিসির বাংলা বিভাগ কর্তৃক জরিপকৃত (২০০৪) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় নজরুলের স্থান: তৃতীয়।
:: বাল্যকাল তিনি দুখু মিয়া নামে পরিচিত ছিলেন।
:: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা নাটকগুলি হল: ঝিলমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে
:: কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদ গ্রন্থের নাম: রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ (১৯৩০) ও রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম (১৯৬০)।
:: কাজী নজরুলের ‘সাম্যবাদী’ কবিতাটি প্রথম লাঙ্গল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
:: নজরুল ইসলামের কবিতা সর্বপ্রথম বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকায় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
:: তিনি মৃত্যুবরণ করেন : ২৯ আগষ্ট, ১৯৭৬; ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ।
.

——-
:: জসিম উদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬)

——-
:: কবির রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে রাখালী (কবির প্রথম গ্রন্থ), নকশী কাথার মাঠ (কবির শ্রেষ্ঠ রচনা), সোজন বাদিয়ার ঘাট, বালুচর, মাটির কান্না, রূপবতী, মা যে জননী কান্দে, ধানক্ষেত, সূচয়িনী।
:: লেখকের নাটকগুলো হচ্ছে বেদের মেয়ে, পল্লীবধূ, মধুমালা, পদ্মপার, গ্রামের মায়া।
:: বোবা কাহিনী জসিম উদ্দীন রচিত উপন্যাস।
:: চলে মুসাফির, যে দেশে মানুষ বড়, হলদে পরীর দেশ লেখকের ভ্রমণকাহিনী মূলক গ্রন্থ।
[টেকনিক: জসীমউদ্দিনের কাব্য: হলুদ বরণীর দেশে হাসু ডালিমকুমার, সখিনা ও সূচয়নী ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে একপয়সার বাঁশি বাজিয়ে ধানক্ষেতের বালুচরে মাটির তৈরি কবর জলে লেখা নকশীকাঁথার কাফন মুড়িয়ে সোজন বাদিয়ার ঘাটে এসে রাখালির মা পল্লীজননী রঙ্গিলা নায়ের মাঝির জন্য কাঁদতে লাগল।]
.

——-
:: সৈয়দ মুজতবা আলী (১৯০৪-১৯৭৪)

——-
:: তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে অবিশ্বাস্য, শবনম। ‘দেশে বিদেশে’ তার বিখ্যাত ভ্রমনকাহিনী।
:: তার উল্লেখযোগ্য রম্যগল্প হচ্ছে পঞ্চতন্ত্র, চাচা কাহিনী, ময়ূরকন্ঠী, টুনিমেম।
.

——-
:: বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪)

——-
:: রবীন্দ্রনাথের পর বুদ্ধদেব বসুকে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়।
:: তার রচিত কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে বন্দীর বন্দনা, কঙ্কাবতী।
:: তার উল্লেখযোগ্য কাব্যনাট্য হচ্ছে তপস্বী 3 তরঙ্গিনী, কলকাতার ইলেকট্রা 3 সত্যসন্ধ।
:: নির্জন স্বাক্ষর, জঙ্গম, তিথিডোর বুদ্ধদেব রচিত উপন্যাস।
.

——-
:: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬)

——-
:: মার্কসবাদী উপন্যাসিক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার রচিত উপন্যাস হচ্ছে জননী, পদ্মা নদীর মাঝি, নুতুল নাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য।
:: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেনত ১৯ মে, ১৯০৮ সালে, ভারতের বিহারে।
:: তিনি মূলত ছিলেনতকথাসাহিত্যিক।
:: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত প্রথম গল্পের নাম এবং যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ত অতসী মামী. বিচিত্রা পত্রিকা (পৌষ সংখ্যা-১৩৩৫)
:: যৌনাকাঙ্খার সঙ্গে উদর পূর্তির সমস্যা ভিত্তিক তাঁর রচনার নামত পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬)।
:: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গল্পগুলোর নামত উপন্যাস : জননী (১৯৩৫) দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পুতুলনাচের ইতিকথা (১৯৩৬), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), শহরতলী (১৯৪০), অহিংসা (১৯৪১), শহরবাসের ইতিকথা (১৯৪৬), সোনার চেয়ে দামী (১৯৫১), স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৫১), আরোগ্য (১৯৫৩) ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ: অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫), প্রাগৈতিহাসিক (১৯৩৭), মিহি ও মোটা কাহিনী (১৯৩৮), সরীসৃপ (১৯৩৯), বৌ (১৯৪৩), সমুদ্রের স্বাদ (১৯৪৩) ইত্যাদি।
:: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নামত জননী (১৯৩৫)।
:: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নামত অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প (১৯৩৫)।
:: শশী ও কুসুম কোন উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীত পুতুলনাচের ইতিকথা।
:: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে ‘পদ্মানদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রটি কে পরিচালনা করেনত গৌতম ঘোষ।
:: ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ গ্রন্থের রচয়িতা কে? কোন জাতীয গ্রন্থ এবং কত সালে প্রকাশিতত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, উপন্যাস ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত।
:: ‘প্রাগৈতিহাসিক’ এবং ফেরিওয়ালা’ গল্পগ্রন্থ দুটির রচয়িতাত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
:: ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ এবং ‘শহর বাসের ইতিকথা’ উপন্যাস দুটির রচয়িতাত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
:: তিনি মৃত্যুবরণ করেনত৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬; কলকাতা।
.

——-
:: সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯)

——-
:: তার রচিত কাব্য গ্রন্থ হচ্ছে সাঝের মায়া, মায়া কাজল, উদাত্ত পৃথিবী, অভিযাত্রিক।
:: লেখিকার শিশুতোষ গ্রন্থ হচ্ছে ইতল বিতল, ন3ল কিশোরের দরবারে।
:: কেয়ার কাটা (লেখিকার প্রথম গ্রন্থ) লেখিকার গল্পগ্রন্থ।
:: লেখিকার আত্নজীবনী হচ্ছে একালে আমাদের কাল।
.

——-
:: আহসান হাবীব (১৯১৭-০০০০)

——-
:: তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে রাত্রিশেষ, ছায়া হরিণ, সারা দুপুর, আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাব।
:: তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে অরণ্যে নীলিমা, রানী খালের সাকো।
.

——-
:: শওকত ওসমান ( ১৯১৭ –

——-
:: শওকত ওসমান জন্মগ্রহণ করে১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, ভারতের হুগলি।
:: শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান।
:: তিনি মূলত পরিচিত কথাসাহিত্যিক।
:: শওকত ওসমানের প্রকাশিত প্রধান গ্রন্থ
প্রবন্ধঃ সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই (১৯৮৫), মুসলিম মানসের রূপান্তর (১৯৮৬)।
উপন্যাসঃ ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২), সমাগম (১৯৬৭), চৌরসন্ধি (১৯৬৮), রাজা উপাখ্যান (১৯৭০৯), জাহান্নাম হইতে বিদায় (১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩), নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩), পতঙ্গ পিঞ্জুর (১৯৮৩), রাজসাক্ষী (১৯৮৫), জলাংগী (১৯৮৬), পুরাতন খঞ্জুর (১৯৮৭)।
গল্পঃপিঁজরাপোল (১৩৫৮), পুনা আপা ও অন্যান্য গল্প (১৩৫৯), প্রস্তর ফলক (১৯৬৪), উভশৃঙ্গ (১৩৭৫), ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৯০) ইত্যাদি।
নাটকঃ আমলার মামলা (১৯৪৯), তস্কর ও লস্কর (১৯৫৩), বাগদাদের কবি (১৩৫৯), পূর্ণ স্বাধীনতা চূর্ণ স্বাধীনতা (১৯৯০)।
শিশুতোষঃ ওটেন সাহেবের বাংলো (১৯৪৪), তারা দুই জন (১৯৪৪), ক্ষুদে সোশালিস্ট (১৯৭৩)।
:: শওকত ওসমানের ১৯৪৬ সালে দৈনিক আজাদের সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘বনি আদম’।
:: গ্রন্থাকারে প্রকাশিত তাঁর প্রথম পুস্তক জননী (১৯৬১)।
:: তিনি পুরস্কার লাভ করেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), একুশে পদক (১৯৮৩), ফিলিপস পুরস্কার (১৯১১)।
:: কোন গ্রন্থ রচনার জন্য তাঁকে আদমজি পুরস্কার দেয়া হয় ক্রীতদাসের হাসি।
:: কোন গ্রন্থের জন্য তিনি ফিলিপস পুরস্কার লাভ করেন ঈশ্বরে প্রতিদ্বন্দ্বী গল্পগ্রন্থের জন্য।
:: শওকত ওসমানের কালোত্তীর্ণ উপন্যাস ক্রীতদাসের হাসি। প্রতীকশ্রয়ী উপন্যাস।
:: শওকত ওসমানের প্রথম উপন্যাস বনি আদম (১৯৪৩)।
:: জননী ও ক্রীতদাসের হাসির ইংরেজী অনুবাদ কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ওমসান জামালকৃত জননী (ইংরেজীতেও একই নাম রাখা হয়েছে) অক্সফোর্ড (১৯৯৩) ও কবীর চৌধুরীকৃত এ শ্লেভ লাফস (১৯৭৬) দিল্লি থেকে প্রকাশিত হয়।
:: ‘টাইম মেশিন’ শওকত ওসমানের কোন জাতীয় রচনা অনুবাদ গ্রন্থ।
:: শওকত ওসমানের তিনটি গল্প গ্রন্থের নাম ‘প্রস্তর ফলক’, সাবেক কাহিনী এবং ‘জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প’।
:: শওকত ওসমানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের নাম কর বনি আদম, জননী, ক্রীতদাসের হাসি ইত্যাদি।
:: ক্রীতদাসের হাসি কোন জাতীয় রচনা প্রতীকধর্মী ঐতিহাসিক উপন্যাস। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত।
:: ‘আমলার মামলা’ এবং ‘করের মনি’ কোন জাতীয় রচনা নাটক।
:: ‘ওয়েটন সাহেবের বাংলা’ কোন জাতীয় রচনা কিশোর গ্রন্থ, শওকত ওসমান।
:: তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৯ সালে।
.

——-
:: মুনীর চৌধুরী

——-
:: আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (জন্ম:২৭শে নভেম্বর, ১৯২৫ – মৃত্যু:১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী।
:: তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
:: তাঁর পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে।
১৯৫৪ সালের ১৫ই নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজীর অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
:: মুনীর চৌধুরী ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বাংলা টাইপরাইটারের জন্য উন্নতমানের কী-বোর্ড উদ্ভাবন করেন, যার নাম মুনীর অপ্টিমা।
:: মুনীর চৌধুরী ১৯৫৩ সালে কারাবন্দী অবস্থায় কবর নাটকটি রচনা করেন।
:: মীর মানস (১৯৬৫) প্রবন্ধ সংকলনের জন্য দাউদ পুরস্কার এবং পাক-ভারত যুদ্ধ সম্পর্কে লেখা সাংবাদিকতাসুলভ রচনা-সংকলন রণাঙ্গন (১৯৬৬)-এর জন্য সিতারা-ই-ইমতিয়াজ উপাধি লাভ করেন।
:: ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর মুনীর চৌধুরীকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সহযোগী আল-বদর বাহিনী তাঁর বাবার বাড়ি থেকে অপহরণ করে ও সম্ভবত ঐদিনই তাঁকে হত্যা করে
:: উল্লেখযোগ্য রচনাবলি:
:: নাটক: রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২) [পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী এর মূল উপজীব্য। নাটকটির জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।], চিঠি (১৯৬৬), কবর (১৯৬৬) {নাটকটির পটভূমি হলো ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন।}, দণ্ডকারণ্য (১৯৬৬), পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য (১৯৬৯)
:: অনুবাদ নাটক: কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৯); জর্জ বার্নার্ড শ-র You never can tell-এর বাংলা অনুবাদ, রূপার কৌটা (১৯৬৯); জন গলজ্ওয়র্দি-র The Silver Box-এর বাংলা অনুবাদ, মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০); উইলিয়াম শেক্স্পিয়ারের Taming of the Shrew-এর বাংলা অনুবাদ
:: প্রবন্ধ গ্রন্থ: ড্রাইডেন ও ডি.এল. রায় (১৯৬৩, পরে তুলনামূলক সমালোচনা গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত), মীর মানস (১৯৬৫), রণাঙ্গন (১৯৬৬)(সৈয়দ শামসুল হক ও রফিকুল ইসলামের সাথে একত্রে), তুলনামূলক সমালোচনা (১৯৬৯), বাংলা গদ্যরীতি (১৯৭০)
:: অন্যান্য: An Illustrated Brochure on Bengali Typewriter (1965)
:: ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমী থেকে আনিসুজ্জামানের সম্পাদনায় চার খণ্ডে মুনীর চৌধুরী রচনাবলী প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডে (১৯৮২) মৌলিক নাট্যকর্ম, দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯৮৪) অনুবাদমূলক নাট্যকর্ম, তৃতীয় খণ্ডে (১৯৮৪) সমালোচনামূলক গ্রন্থাবলি এবং চতুর্থ খণ্ডে (১৯৮৬) ছোট-গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক সমালোচনা ও আত্মকথনমূলক রচনা প্রকাশিত হয়।
:: পুরস্কার: বাংলা একাডেমী পুরস্কার (নাটক), ১৯৬২; দাউদ পুরস্কার (মীর মানস গ্রন্থের জন্য) ১৯৬৫, সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬৬)
[টেকনিক: মুনীর চৌধুরীর নাটক: মুখরা রমণীর শয়ন কক্ষে রূপার কৌটায় রাখা দন্ডকারণ্যের রক্তাক্ত প্রান্তরে কবরে শায়িত এক যোদ্ধার চিঠির বিষয়ে ঘরের কেউ কিছু বলতে পারে না।]
.

——-
:: শহীদুল্লাহ কায়সার ( ১৯২৭ –

——-
:: শহীদুল্লাহ কায়সার জন্মগ্রহণ করেন ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭; ফেনীতে।
:: তিনি মূলত পরিচিত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।
:: জহির রায়হানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সহোদর ভাই।
:: কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন ১৯৫২।
:: তিনি কোন পত্রিকায় যোগদানের মধ্যদিয়ে সাংবাদিকতার পেশা গ্রহণ করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক।
:: তিনি কোন শিরোনামে উপসম্পাদকীয় রচনা করেন রাজনৈতিক পরিক্রমা, বিচিত্র কথা।
:: তিনি কোন দুটি উপন্যাস লিখে খ্যাত সারেং বৌ (১৯৬২), সংশপ্তক (১৯৬২)।
:: ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’ নামক তাঁর স্মৃতিকথা কবে প্রকাশিত ১৯৬২ সালে।
:: তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তের নাম পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ (১৯৬৬)।
:: তিনি পুরস্কার লাভ করেন আদমজি পুরস্কার (১৯৬২), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২)।
:: ‘পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ’ শহীদুল্লাহ কায়সারের কোন জাতীয় রচনা ভ্রমণ কাহিনী।
:: ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’ কে রচনা করেছেন এবং এটি কোন জাতীয় রচনা শহীদুল্লাহ কায়সার, কারা কাহিনী।
:: ‘সারেং বউ, এবং ‘সংসপ্তক’ কোন জাতীয় রচনা উপন্যাস।
:: তিনি কত সালে কিভাবে মারা যান ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনীর সদস্যগণ তাঁর ঢাকার কায়েতটুলির বাসভবন থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।
.

——-
:: শামসুর রাহমান ( ১৯২৯ -)

——-
:: শামসুর রাহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালের ২৪ অক্টোবর, বিক্রমপুরের পাড়াতলি গ্রামে।
:: তিনি মূলত পরিচিত রোমান্টিক আধুনিক কবি।
:: তার দুটি বিখ্যাত কবিতার নাম স্বাধীনতা তুমি, তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা।
:: শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কবিতাঃ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর ৬৫টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০), রৌদ্র করোটিতে (১৯৬৩), বিধ্বস্ত নীলিমা (১৯৬৭), বন্দী শিবির থেকে (১৯৭২), এক ধরনের অহংকার (১৯৭৫), শূন্যতায় তুমি শোকসভা (১৯৭৭), এক ধরনের শোকসভা (১৯৭৭), বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে (১৯৭৭), উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ (১৯৮২), যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে (১৯৮৪), অবিরল জলাভূমি (১৯৮৬), এক ফোঁটা কেমন অনল (১৯৮৬), বুক তাঁর বাংলাদেশের হৃদয় (১৯৮৮), হরিণের হাড় (১৯৯৩), উজাড় বাগানে (১৯৯৫), সৌন্দর্য আমার ঘরে (১৯৯৮), স্বপ্নে ও দুঃস্বপ্নে বেঁচে আছি (১৯৯৯), শুনি হৃদয়ের ধ্বনি (২০০০), ভষ্মস্তূপে গোলাপের হাসি (২০০২), ভাঙাচোরা চাঁদ মুখ কালো করে ধুঁকছে (২০০৩), কৃষ্ণপক্ষে পূর্ণিমার দিকে (২০০৪), গোরস্থানে কোকিলের করুণ আহবান (২০০৫), অন্ধকার থেকে আলোয় (২০০৬), না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন (২০০৬),
:: উপন্যাসঃ মোট ৪টি উপন্যাস লিখেছেন: অক্টোপাস (১৯৮৩), অদ্ভুত আঁধার এক (১৯৮৫), নিয়ত মন্তাজ (১৯৮৫), এলো সে অবেলায় (১৯৯৪।
:: প্রবন্ধঃ আমৃত্যু তাঁর জীবনানন্দ (১৯৮৬), কবিতা এক ধরনের আশ্রয় (২০০২)। আত্মস্মৃতিঃ স্মৃতির শহর (১৯৭৯), কালের ধুলোয় লেখা (২০০৪)।
:: শামসুর রাহমানের একটি শিশু সাহিত্যের নাম ধান ভানলে কুঁড়ো দেব।
:: কত সালে শামসুর রাহমান আদমজী পুরস্কার এবং জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার লাভ যথাক্রমে ১৯৬৩ সালে এবং ১৯৭৩ সালে।
:: শামসুর রাহমানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের নাম বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে, উদ্ভূট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ, বিধ্বস্ত নীলিমা, ফিরিয়ে দাও ঘাতক কাঁটা, মাতাল ঋত্বিক ইত্যাদি।
:: ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি শামসুর রাহমানের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
:: ‘বন্দী শিবির থেকে’ কোন জাতীয় গ্রন্থ রচনা করেছেন আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
:: শামসুর রাহমান কত সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং মিতশুবিসি (জাপান) পুরস্কার লাভ করে যথাক্রমে ১৯৬৯ এবং ১৯৮২ সালে।
:: শামসুর রাহমানের আত্মজীবীমূলক গদ্য রচনা স্মৃতির শহর।
:: শামসুর রাহমানের তিনটি কাব্যগ্রন্থের নাম বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে, মাতাল ঋত্বিক, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা।
:: শামসুর রাহমানের অনুবাদ গ্রন্থ ফ্রস্টারের কবিতা।
:: তিনি পুরস্কার লাভ করেনআদমজি পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯১)।
:: শামসুর রাহমান মৃত্যুবরণ করেনত ২০০৬ সালের ১৭ইং আগস্ট সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
NB : কার্টেসি :: PPL

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline