বিসিএস ও ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি
মানবপাচার:
::যখন একজন অভিবাসীকে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে অবৈধভাবে কোন কাজে নিযুক্ত করা হয়, তখন সেটিকে মানবপাচার বলে।— International Organization for Migration. ।
::বর্তমান সময়ে মানবপাচারের ঘটনা বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে প্রতিবছর হাজার হাজার আফ্রিকান অবৈধভাবে পাড়ি জমাচ্ছে ইউরোপে। আর প্রতারণার শিকার হয়ে ভূমধ্যসাগরের নীল জলে সলিল সমাধিও ঘটছে অনেকেরই।
উৎসঃ জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন।
::প্রতিবছর প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ মানুষ নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে পাচারের শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে এক উদ্ধার অভিযানে ৫৮০০ অবৈধ অভিবাসী ও ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করে ইতালীয় কোস্ট গার্ড।
উৎসঃ জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন।
::প্রতিমাসে পাচার হয় ৪০০ নারি ও শিশু।
উৎসঃ ইউনিসেফ।
::গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার হতে প্রায় ৩ লাখ লোক পাচার হয়েছে।নিহত হয়েছে ১২০০ এরও বেশি, নিখোজ হয়েছে ১০০০০ এরও বেশি।
উৎসঃ UNHCR এর পরিসংখ্যান।
::২০১৪ সালে পাচারের সময় বাংলাদেশীদের মধ্যে ৫৪০ জন গভীর সমুদ্রবন্দরে মাড়া গেছেন।সমুদ্রপথে বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্তে এক বছরের ব্যবধানে মানবপাচার বেড়েছে ৬১%।
উৎসঃ UNHCR.
::প্রতিবছর প্রায় ২.৯ কোটি লোক অবৈধভাবে নিজ দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশে গমণ বা পাচারের শিকার হচ্ছে।২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ার উদ্দ্যেশ্যে বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে গেছেন ৫৩০০০ লোক।
উৎসঃ UNHCR এর রিপোর্ট।
::মানবপাচারের অন্যতম রুট বঙ্গোপসাগর। এ পথে ট্রলার বা জাহাজে করে মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ডে পাড়ি জমায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী। অক্টোবর ও নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি এ পথে পাচার চলে। মানবপাচারের জন্য বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় ৯টি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেষখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, উখিয়া, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী ও আনোয়ারা। এর বাইরেও অনেক স্থান।
উৎসঃ দৈনিক কালের বন্ঠ। ২৪ জুন, ২০১৫।
::বাংলাদেশ মানবপাচারের উৎস দেশ হিসেবে পরিচিত। এখানে জল, স্থল ও আকাশপথে মানবপাচার হয়ে থাকে। সমুদ্রপথে বাংলাদেশের টেকনাফ হয়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার প্রবণতা প্রতিদিন বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথে প্রায় ৫০ হাজার লোক মালয়েশিয়ায় পাচার হয়। এদের একাংশকে থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলে আটকে রাখার পর ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করা হয়। থাইল্যান্ডের মৎস্য খামারে এসব ক্রীতদাসকে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশ দিয়ে সমদ্রপথে যারা মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ড গেছে তাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। অন্যদিকে স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে ভারতে। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি রুট ব্যবহৃত হচ্ছে এ পাচারকাজে। প্রতিবছর ১০ হাজারের বেশি নারী ও শিশু ভারতে পাচার হচ্ছে। আকাশপথেও মানবপাচার হচ্ছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক।
উৎসঃ দৈনিক কালের বন্ঠ। ২৪ জুন, ২০১৫।
::বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার রোধে ২০১২ সালে “”মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন“” নামে একটি শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনে পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করা হয়। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে যেকোনো ব্যক্তি পুলিশ অথবা ট্রাইব্যুনালের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। এ অপরাধগুলোর দ্রুত বিচারের উদ্দেশ্যে সরকার যেকোনো জেলায় মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার ভারতের সঙ্গে মানবপাচার রোধে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করেছে।
উৎসঃ দৈনিক কালের বন্ঠ। ২৪ জুন, ২০১৫।
::মানবপাচার রোধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পালেরোমা চুক্তি নামে একটি আন্তর্জাতিক প্রটোকল প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৩৩টি দেশ এই প্রটোকলে স্বাক্ষর করেছে। এ প্রটোকলে মানবপাচার রোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানবপাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধ প্রতিহত করা, অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা ও মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা করাই এ প্রটোকলের মূলনীতি।
উৎসঃ দৈনিক কালের বন্ঠ। ২৪ জুন, ২০১৫।
::বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পাচারের শিকার হয়েছে। প্রায় একই চিত্র গত কয়েক বছরের। কক্সবাজার থেকে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার করে প্রতিবছর সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমনকি নৌকায় আটকে জিম্মি করে মোবাইল-ফোন” target=”_blank”>মোবাইল ফোনে একেকজনের পরিবার থেকে গড়ে দুই-তিন লাখ টাকা আদায় করার ঘটনাও রয়েছে। এমনকি পাচারকারীরা অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হলে ওই ব্যক্তিকে সমুদ্রে ফেলে দিত।২০১৪ সালে প্রায় ৭৫০ জনকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
উৎসঃ জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদন।
:: সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডের জঙ্গলের বিভিন্ন ক্যাম্পে হাজার হাজার লোক রাখা হতো এবং অস্ত্রধারী লোকজন ওই সব ক্যাম্প পাহারা দিত। আর এটি তখনই বীভৎসতার চরমে পৌঁছাল যখন পাচার হওয়া অনেক বাংলাদেশিরই ঠাঁই হলো
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি গণকবরে।
উৎসঃ দৈনিক কালের কন্ঠ। ১৫ নভেম্বর, ২০১৫।
::জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আঞ্চলিক মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের শেষ চার মাসে অল্প কিছু মানুষ সমুদ্র পথে রওয়ানা হয়েছে।২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে দেড়হাজার মানুষ সমুদ্র পথে যাত্রা করেছে । যেখানে ২০১৪ সালে ওই সময়ে ৩২ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে ভেসে পড়েছিল।
উৎসঃ Bdnews24.com।০৯ জানুয়ারি, ২০১৬।
আরো পড়ুন: