
সোনালী রূপালী ও জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই তিন ব্যাংক বাদে বাকি ৫টি ব্যাংকের পরীক্ষা ১২ তারিখে নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির (বিএসসি) সদস্য সচিব মো. মোশারফ হোসেন ন।
তিনি বলেন: সোনালী রূপালী এবং জনতা ব্যাংকের পদগুলো ৫টি ব্যাংকের পরীক্ষা ১২ তারিখে নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বাদ দিয়ে বাকি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
‘‘২ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র ডাউনলোড করেছেন। তারা সবাই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সোনালী, রূপালী এবং জনতা ব্যাংক বাদে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া যথা নিয়মে চলবে’ বলেন মোশারফ হোসেন খান।
সমন্বিতভাবে গত বছরের ২৩ আগস্টে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে পদের সংখ্যা (সিনিয়র অফিসার) ছিল ১ হাজার ৬৬৩ টি। যার মধ্যে সোনালী রূপালী জনতা ব্যাংকেরই ছিল ৯৭১টি পদ। এই পদগুলো বাদ রেখে বাকি ৫ প্রতিষ্ঠানের ৬৯২টি পোস্টের জন্য ১২ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান বিএসসি সদস্য সচিব।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ৫২৭টি, জনতা ব্যাংক লিমিটেডে ১৬১টি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডে ২৮৩টি পদের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। কিন্তু বাকি পাঁচ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে ৩৯টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ৩৫১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২৩১টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) ৭০টি পদের জন্য একই প্রবেশপত্রে একই সময়ে পরীক্ষা হবে।
রোববার জনতা, সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই তিন ব্যাংকের নিয়োগ সংক্রান্ত ২০১৭ সালের সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২০১৭ সালের সার্কুলারের পরীক্ষার পূর্বে কেন ২০১৬ সালের সার্কুলারের পরীক্ষা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর ফলে ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আট ব্যাংকের মধ্যে ওই তিন ব্যাংকের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
আরো পড়ুন: