৮ ই ফেব্রুয়ারির সম্পাদকীয় প্রথম আলো সম্পাদকীয়
ভূসম্পত্তি না থাকা অপরাধ নয়
Landlessness is no crime
চা-শ্রমিক বাবা-মায়ের সন্তান কলিন্স রোজারিও ও রাজু প্রসাদ চূড়ান্ত বাছাইয়ে টিকে গেলেও পুলিশ বিভাগের কনস্টেবল পদে চাকরি থেকে বাদ পড়েছেন ভূসম্পত্তি না থাকার কারণে।
Collins Rozario and Raju Prasad, the sons of tea-garden worker parents, were in the final selection list to be appointed as police constables, but were dropped as they did not own any landed property.
এটি কেবল অমানবিক নয়, বেআইনিও।
This is inhuman, illegal.
পুলিশ বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী ভূসম্পত্তি না থাকলে নাকি চাকরি পাওয়া যায় না।
Apparently, according to the police department policy, one cannot be appointed if one does not have landed property.
ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত আইন স্বাধীন দেশে এখনো টিকিয়ে রাখার কোনো যুক্তি নেই।
There can be no justification to retain laws drawn up during colonial times.
সরকারি হিসাবে দেশে প্রায় ১৭ লাখ ভূমিহীন পরিবার আছে। প্রতি পরিবারে পাঁচজন সদস্য থাকলেও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫ লাখ।
According to official records, there are about 1.7 million landless families in the country.
প্রতি পরিবারে পাঁচজন সদস্য থাকলেও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫ লাখ।
If, on average, each family has five members, then the number of landless totals 8.5 million.
এদের মৌলিক অধিকার হরণ করে এমন কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালা দেশে থাকতে পারে না।
There can be no law or policy that violates their fundamental rights.
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ বিভাগের বিধিমালায় সমস্যার কথা স্বীকার করে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু কবে?
The home ministry has admitted to this problem and has said it will initiate an amendment. But when?
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছেন, পুলিশের এই নীতিমালাটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
The human rights commission chairman has said that this policy is a serious violation of human rights.
যিনি যে এলাকার ভোটার সেই তিনি সেই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গণ্য হবেন।
A person will be considered a permanent resident of wherever he or she is registered as a voter.
সে ক্ষেত্রে ভূসম্পত্তি থাকা না-থাকার প্রশ্নটি অবান্তর।
The question of having landed property or not is irrelevant.
ভূসম্পত্তি না থাকা কারও অপরাধ হতে পারে না।
Landlessness cannot be a crime.
গতকাল প্রথম আলোতে দুই তরুণের খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
There has been sharp reaction to the issue after a report of these two young men was published in Sunday’s Prothom Alo.
মানবাধিকার কমিশন দুই তরুণের পদায়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখেছে।
The human rights commission has written to the relevant authorities for these two men to be duly appointed.
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার দুই তরুণকে ডেকে নিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে বলেছেন।
The Maulvibazar police super has asked the two young men to submit an application to reconsider their case.
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি তাঁদের পদায়ন করা যায়, আবেদনের আগে কেন করা গেল না?
If they can be appointed on the basis of this application, then why couldn’t they be appointed before the application?
পুলিশ বিভাগের ভুল নীতির দায় চাকরিপ্রার্থী দুই তরুণকে কেন ভোগ করতে হবে?
Why should the two job seekers suffer because of discrepancies in police policy?
এই ঘটনা যেমন পুলিশ বিভাগের আইনি দুর্বলতাটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, তেমনি এখনো যে সমাজে মানবিক আবেদনে সাড়া দেওয়ার মানুষ আছেন, সেটিও প্রমাণিত হলো।
This incident points to the weaknesses within the police department, but also shows that there are still people who respond t the injustices of society.
পত্রিকায় খবরটি পড়ে একজন মহৎ ব্যক্তি ওই দুই তরুণের নামে জমি লিখে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
A generous man, after reading the report, has expressed his willingness to register land in the name of these two young men.
আমরা তাঁর এই মহানুভবতাকে অভিনন্দিত করি।
We are touched by such magnanimity.
একই সঙ্গে ওই দুই তরুণের পদায়নের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগের অন্যায্য নীতিমালাটি পরিবর্তনের দাবি জানাই।
We demand that these two young men be appointed and also that the policies of the police department be amended.
1 responses on ".৮ ই ফেব্রুয়ারির সম্পাদকীয় প্রথম আলো সম্পাদকীয়"