
৭ বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব জেএসসিতে।
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা থেকে নম্বর ও বিষয় কমছে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি ৭টি বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে সরকার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা চালু করে। মঙ্গলবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভায় এ প্রস্তাব করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি মঙ্গলবারই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সাব কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এখন এ দুটি বিষয়ে দুই পত্রে মোট নম্বর ১৫০। পরীক্ষা হয় দুটি।
প্রস্তাব অনুযায়ী, চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতো আগের নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইসিটিতে নম্বর ৫০ ও বাকিগুলোর একেকটির নম্বর ১০০ করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জেএসসিতে নম্বর ও বিষয় কমছে। তবে, নম্বর কমানো বা বাড়ানোর সঙ্গে নোট-গাইড কোম্পানির একটা যোগসাজশ রয়েছে বলে জানা গেছে। কতিপয় অসাধু প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতি নোট-গাইড কোম্পানির কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর বিনিময়ে হাজার হাজার টাকার নোট-গাইড কিনতে বাধ্য করা হয় শিক্ষার্থীদের। ইতিমধ্যে অনেক প্রভাবশালী নোট-গাইড কোম্পানি তাদের বই ছেপে বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
জেএসসি ও জেডিসিতে এমসিকিউ থাকছে না