৩৭ তম লিখিত প্রস্তুতি
দুর্নীতিঃ
::বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই ২০১৬ সালে দুর্নীতির যে চিত্র প্রকাশ করেছে সেখানে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।
::টিআইবি’র একজন কর্মকর্তা রিজওয়ানুল আলম জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুর্নীতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে।
::বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে দুর্নীতি বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে (Corruption in Bangladesh: Coast & Curse) বলেছে, বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রোধ করা গেলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২-৩% বেড়ে যেত এবং মাথাপিছু আর্ন দ্বিগুণ হতো।
::এক হিসাব থেকে দেখা গেছে, দুর্নীতির ফলে যে অর্থ অপচয় হয় তা উন্নয়নে ব্যয় করা গেলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতো ৪% এর বেশি।
::সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে যে দাপ্তরিক খরচ হয়, দুর্নীতির ফলে এক্ষেত্রে শতকরা ৩৫০ ভাগ খরচ বেশি হয় এবং এক্ষেত্রে দুর্নীতির ৬০% ই ঘুষ।
::প্যারিসে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে বিশ্বব্যাংক “”Progress in Poverty Reduction”” নামে যে নিবন্ধ উপস্থাপন করেছিল তাতে বলা হয়েছিল ২০১৫ সালের মাঝে MDG অনুযায়ী বাংলাদেশে দারিদ্র্যকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ অর্জনের জন্য সুশাসন ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে হবে।
::দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর দেশে ৪৫০০০ কোটি টাকা খরচ হয়।
::বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিদের দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর ৩৭০০০ একর বনভূমি বৃক্ষশূণ্য হয়ে পড়ছে।
::ডেমোক্রেসি ওয়াচের এক জড়িপ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ মনে করে পুলিশ দুর্নীতিপরায়ণ।
:: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বছর বাংলাদশেকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
::UNDP এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্নীতি কমাতে পারলে বাংলাদেশে প্রকৃত বিনিয়োগের পরিমাণ অন্তত ৫% এবং বার্ষিক জিডিপির ০.৫% বৃদ্ধি পেত।
আরো পড়ু্ন: