৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি
——– আন্তর্জাতিক :
Syllabus টপিকস: Global Environment: Environmental issues challenges, climate change, global warming, climate adaptation, climate diplomacy
.
এই টপিকসে গুরুত্বপূর্ণ>> প্যারিস জলবায়ু চুক্তি: আসতে পারে । তাই জোর দিন।
.
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি:
————আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহটি বাঁচাতে েএকমাত্র পন্থার প্রতিনিধিত্ব করে এ চুক্তি ।
১২ডি ২০১৫ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে(কপ-২১) বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কার্বন নির্গমন কমানো ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে।
.
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি না মানা হলে ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে দাঁড়াতে পারে। তবে চুক্তি মানলে ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
.
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কূটনৈতিক প্রচেষ্ঠা চলার পর চূড়ান্ত হওয়া এ চুক্তি ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউিইর্য়কে জাতিসংঘের এক বিশেষ সভায় রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা স্বাক্ষর করবেন । কিন্তু অংশ পালন করার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা এবং কিছু অংশ স্বেচ্ছ্যপ্রণোদিত হয়ে পালন করার বিধান সংবলিত এ চুক্তিটি কার্যকর হবে ২০২০সালে।
.
সম্মত দেশ ও সংগঠন : ১৯৫টি দেশ ও ১টি সংস্থা
কার্যকর : ২০২০
.
———
চুক্তির প্রধান পয়েন্টগুলো হল:
.
:: যত দ্রুত সম্ভব দেশগুলোকে তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে এবং চলতি শতাব্দির দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ নির্ধারিত মাত্রার নিচে নামিয়ে আনতে হবে।
:: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ সেলসিয়াসের (৩ দশমিক ৬ ফারেনহাইট) ‘বেশ নিচে’ রাখতে হবে এবং তা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের নিচে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
:: প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে হবে।
:: ভবিষ্যতে জলবায়ু তহবিল অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিসহ ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর উন্নয়শীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল হিসেবে একশ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হবে।
–।
.
——
তাপমাত্রা :
২১০০সাল বৈশিক উষ্ণতা ২ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা ।
.
অর্থায়ন:
২০২০-২০২৫সাল :
২০২০সাল থেকে ধনী দেশগুলো ১০০বিলিয়ন ডলার অর্থ দেবে ।
২০২৫সালের পর অর্থের পরিমান পরিবর্তিত হবে ।
.
কার্বন নির্গমন :
২০৫০সালে : অতিদ্রুত গ্রিনহাউনস গ্যাস নি:সরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ।
.
পর্যালোচনা পরিক্রমা:
২০২৩সাল :প্রতি ৫ বছরে পর্যালোচনা হবে। ১ম পর্যালোচনা হবে ২০২৩।
.
দায়িত্বভাগ :
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থ সহায়ত দেবে উন্নত রাষ্ট্রগুলো
অন্যান্য দেশগুলো স্বেচ্ছাকর্মী হিসেবে কাজ করবে ।
.
. জলবায়ু ক্ষতি
. জলবায়ু পরিবর্তনে অনুন্নত দেশগুলোর ক্ষতি পূরণে বৈশ্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ ।
.
পৃথক কার্যক্রম
গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে উন্নত দেশগুলো নেতৃত্ব দেবে।
উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের প্রচেষ্ঠা ত্বরান্বিত করবে।
———–
কেন প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর হবে
–
১৯৯৭ সালে জাপানের কিয়োটোতে ‘কিয়োটো প্রটোকল’ হয়েছিল। ওই চুক্তিতে ১২৯টি দেশ সমর্থন দিয়েছিল। তবে ওই চুক্তি থেকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় কানাডা। এরপর প্যারিস চুক্তিই প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার সমাধান বিশ্বনেতারা সমর্থন দিল।
.
প্যারিস চুক্তির ভিন্নতা
————-
অন্য চুক্তিগুলোর চেয়ে প্যারিস চুক্তির প্রধান পার্থক্য হচ্ছে এর সময়কাল বেশি। এতে ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর ২০২০ সালের মধ্যে চুক্তিতে অনুমোদন দেওয়া দেশগুলোকে কার্বন নির্গমন নির্দিষ্ট সীমায় নামাতে হবে।
.
এই চুক্তির ভিত্তিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থ ও প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করবে ধনী দেশগুলো।
.
কোনো কিছু পরিবর্তন করা হবে?
বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই চুক্তি মূলত একটি আইনগত ভিত্তি। এর মাধ্যমে যেসব দেশ তাদের লক্ষ্য পূরণ না করতে পারবে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
.
তবে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা অনেক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এই চুক্তিকে দুর্বল ও বিলম্বিত বলে মনে করছে।
.
বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রক্ষেপণ
———-
২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের গড় উষ্ণতার প্রক্ষেপণের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনো দেশ বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে কাজ না করে তাহলে ২১০০ সালে বিশ্বের উষ্ণতা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌঁছাবে। বর্তমান নীতিতে চলতে এই সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আর যদি প্যারিস চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করা হয়, তাহলে ২১০০ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্বের উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নিয়ন্ত্রিত রাখা সম্ভব।
.
কার্বণ নির্গমণের প্রক্ষেপণ
————-
নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ সাময়িকীর তথ্যমতে, চলতি বছর জীবাষ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমায় কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। তবে ২০১৪ সালে একই পরিমাণ বাড়ে। ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর বার্ষিক ২-৩ শতাংশ হারে বিশ্বে কার্বন নির্গমন বেড়েছে। তবে এই সময়ে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর ছিল। ২০১৪-১৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ শতাংশ হারে।
———
–
অর্থ সঙ্কট কি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা হবে?
‘
—
প্যারিসের দর কষাকষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অর্থের যোগান।
.
উন্নয়নশীল দেশগুলো দাবী তুলছে, জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার বাদ দিয়ে সরাসরি নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে যেতে তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন।
.
আগামী ২০২০ সাল নাগাদ এই খাতে বছরে ১শ বিলিয়ন ডলারের যে প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে যাতে সন্তুষ্ট নয় অনেক দেশই।
.
চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হলে ২০২০ সালের পরেও বছরে ১শ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা।
.
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ড. ইলান কেলম্যান বলছেন, আর্থিক সহায়তা দেবার সংক্ষিপ্ত সময়সীমা উদ্বেগের কারণ।
.
‘শুরু হিসেবে বছরে ১০০বিলিয়নের তহবিল বেশ কাজে দেবে। তবে সেটা এখনো বিশ্বজুড়ে সামরিক খাতে প্রতিশ্রুত অর্থসাহায্যের তুলনায় ৮% এরও নিচে’।
—-
এই চুক্তি সম্পর্কে কিছু মন্তব্য
.
চুক্তিটি আগামী কয়েক দশকের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর বিশ্ব অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রুখে দিবে বলেও ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে শনিবার প্রায় দুইশ দেশের সম্মতিতে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তিটি নিয়ে বিশ্ব নেতারা উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেখালেও কিছু বিরূপ সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে।
জলবায়ু চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “যে একটি মাত্র গ্রহ আমাদের আছে তাকে বাঁচাতে এটিই সেরা সুযোগ।”
বিবিসি জানায়, নিম্ন-কার্বনের ভবিষ্যৎ গড়ার চ্যালেঞ্জে এই চুক্তি বিশ্বের জন্য একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুষণকারী দেশ চীনও চুক্তিটিকে স্বাগত জানায়।
তবে কয়েকটি পরিবেশবাদী গোষ্ঠী চুক্তিটি ‘পৃথিবীকে রক্ষায় খুব বেশি দূর যেতে পারবে না’ মন্তব্য করে এর সমালোচনা করেছে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ২ সেলসিয়াসের নিচে ধরে রাখার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে (২১তম কনফারেন্স অব পার্টিজ বা কপ২১) প্রায় দুইশ দেশের প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আলাপালোচনা করেন। অবশেষে সব দেশের সম্মতিক্রমে প্রথমবারের মতো কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
কিছু অংশ পালান করার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা ও কিছু অংশ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে পালন করার বিধান সম্বলিত চুক্তিটি ২০২০ সাল থেকে কার্যকর হবে।
চুক্তিটিকে ‘উচ্চাকাঙ্খি’ বর্ণনা করে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, “বিশ্ব একত্রিত হলে কী সম্ভব হয় তা আমরা সবাই মিলে দেখালাম।
“সংক্ষেপে বললে, চুক্তিটি বলতে কম কার্বন দূষণ বোঝাবে যেটি আমাদের গ্রহকে হুমকি মুখে ফেলছে এবং নিম্ন-কার্বন নিসরণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে আরো চাকরি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাবে।”
তবে চুক্তিটি ‘পরিপূর্ণ’ নয় বলে স্বীকার করেন তিনি।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী চীনা প্রতিনিধিদলের প্রধান আলোচক শি ঝেনহুয়াও প্যারিস চুক্তিটি ‘যথাযথ’ নয় স্বীকার করে বলেন, “ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া থেকে এটি আমাদের বিরত করতে পারবে না।”
এর আগে চীন বলেছিল, ধনী উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরো আর্থিক সমর্থন প্রস্তাব করার দরকার ছিল।
বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোটের চেয়ারম্যান গিজা গ্যাসপার মার্টিন্স বলেন, “আমরা যেটি আশা করতে পারি এটি (প্যারিস চুক্তি) তার সেরা প্রতিফলন, শুধু স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্যই নয়, বিশ্বের নাগরিকদের জন্যও।”
কিন্তু গ্লোবাল জাস্টিস নাউ এর পরিচালক নিক ডিয়ারডেন বলেন, “চুক্তিটিতে বিশ্বের সবচেয়ে অরক্ষিত জাতিগুলোর অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য জলবায়ু নিশ্চিত করার জন্য প্রায় কোনো বাধ্যবাধকতাই রাখা হয়নি। তবুও চুক্তিটিকে সাফল্য হিসেবে জাহির করা হচ্ছে যেটি ভয়ানক।”
এই চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা এবং নিয়মিত অগ্রগতি পর্যালোচনার বিষয়ে দেশগুলো নিজেরা আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে প্রতিশ্রুতি পূরণে দেশগুলোর ওপর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা প্যারিস চুক্তিতে রাখা হয়নি।
/
————-
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা ও এনটিভি ১৩ডি ২০১৫।
0 responses on "৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি আন্তর্জাতিকে ,বিবিসি বাংলা ও এনটিভি ১৩ডি ২০১৫।"