৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি
……….
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশন ও বাংলাদেশ (তথ্যগুলো মনে রাখুন)
শফিক মোরশেদ
—-———
—-—
.
* আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২৯ মে
.
* বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকরে১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় UNIIMOG অপারেশন এর মধ্য দিয়ে।
.
* জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী পাঠানো চারটি দেশের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
.
* জাতিসংঘের তথ্যানুসারে গত ছয় বছরের বেশির ভাগ সময় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল শীর্ষে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তান ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারত। তবে গত চার মাস শীর্ষে রয়েছে ইথিওপিয়া।
.
* সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে বিশ্বের ১৩টি দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।
.
* বর্তমানে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশর ৯ হাজার ৪৩২ জন শান্তিসেনা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য ১ হাজার ১১১ জন, অবশিষ্ট বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য।
.
* ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪০ দেশের ৫৪টি মিশনে অংশ নেয় ।
.
* এপর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৯ জন শান্তিসেনা প্রেরণ করেছে।
.
* গত ১২ মে পর্যন্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশের ২০৭ জন নারী শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছিলেন।
.
উল্লেখ্য যে,
* জাতিসংঘ শান্তিক্ষা মিশন এখন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ আয়ের খাত।
.
* ২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে (বাংলাদেশ সময় ২৫ডিসেম্বর)জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ছুটিতে দেশে ফেরার পথে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘয়নায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্য।
.
* এপর্যন্ত আহত হয়েছেন ২০০ জন সদস্য।
.
নোট ঃ
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বর্তমানে যে ১৩টি দেশে দায়িত্ব পালন করছেন সেগুলো হচ্ছে—কঙ্গো, আইভরি কোস্ট, লাইবেরিয়া, লেবানন, দক্ষিণ সুদান, সুদান (দারফুর), পশ্চিম সাহারা, মালি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, নেপাল, সোমালিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে। এর মধ্যে আফ্রিকার কঙ্গোতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৩২ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন।