৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি
উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক সমস্যা
চলমান বিরোধগুলো আন্তর্জাতিক বিষয়ের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ । আমি একটা প্যার্টান শেয়ার করছি। আপনারা এভাবে বাকীগুলো তৈরি করে নিবেন।
প্রথমে ভুমিকায় কিছু সাম্প্রতিক অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে।
তারপর প্রেক্ষাপট অতীত ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে।
তারপর সমস্যার শুরু এ পয়েন্টে আপনারা সাম্প্রতিক সমস্যার কিছুটা ব্যাকগ্রাউন্ড আলোচনা করবেন।
সমস্যার প্রকৃতি ও বিস্তার , ক্ষতি সমুহ আলোচনা করবেন।
তারপর সমাধান ও সুপারিশ লিখবেন।
এবার দেখুন প্যার্টান কিভাবে সাজাবেন::::::::::::::::
অখন্ড কোরিয়া স্বাধীনতা লাভের পরপরই বৃহত শক্তিগুলোর আগ্রাসী কর্মকান্ডের শিকার হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বন্দ্বের ফলে কোরিয়া উপদ্বীপ বিভক্তির সৃষ্টি হয়। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে না পারার কারন হলো পরাশক্তির গুলোর বির্তকিত ভুমিকা ।
প্রেক্ষাপট::::
>> কোরিয়া হলো এশিয়ার পূর্ব উপকুলে অবস্থিত একটি উপদ্বীপ। জাপান সাগর ও পীত সাগরের মধ্যে অবস্থিত এ দ্বীপ ।
>>চীন কোরিয়ার উপর দীর্ঘকাল রাজত্ব করেছে। ১৮৯৫ সালে চীন কোরিয়ার স্বাধীনতা স্বীকার করে নেয় ।
>>১৯০৫ সালে রুশ-জাপান যুদ্ধের পর কোরিয়া জাপানের সংরক্ষিত অঞ্চলে পরিণত হয় । আবার ১৯১০ সালে জাপান কোরিয়া নিজের সাম্রাজ্যভুক্ত করে নেয়। ১৯৪৫ সালে জাপান আত্মসমর্পণের পর কোরিয়া মুক্ত হয় ্
>>> কিন্ত এবার কোরিয়াকে ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখা বরাবর ভাগ করে ফেলা হয় ।
>>> উত্তর কোরিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও দ. কোরিয়াতে আমেরিকা অবস্থান করে।
দ্বন্দ্বের শুরু::::::
১৯৪৮ সালের ১০ মে মার্কিন বাহিনী নেতৃত্বে দ. কোরিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমেরিকার পক্ষ থেকে বলা হয় উ. কোরিয়া জাতিসংঘের সদস্যদের তাদের দেশে ঢুকতে না দেয়ায় এ নির্বাচন করা হয় যেটি সমগ্র কোরিয়ার নির্বাচন বলে বিবেচিত হবে।
>>> কিন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন এ নির্বাচন প্রত্যাখান করে। এভাবেই বিভক্তি প্রতিদিন বাড়ছে।
দ. কোরিয়ায় আমেরিকা:::::
১…. ১৯৪৮ সালের আমেরিকার সাথে দ. কোরিয়ার চুক্তি হয়
২… ১৯৪৯ সালে ৭৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য পাঠানো হয়।
৩.. ১৯৫০ সালের আমেরিকান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম এল. রবাটর্স উ. কোরিয়াকে আক্রমনের সিদ্বান্ত গ্রহণ করে।
>>>>>>
সর্বশেষ ১৯৫০ সালের ২৬ জুন দ. কোরিয়া উ. কোরিয়াকে আক্রমন করে যদিও জাতিসংঘে খবর পাঠানো হয় উ.কোরিয়া আক্রমন করেছে।
প্রতিআক্রমনে দ.কোরিয়া পর্যদুস্ত হয় । স্পেটেম্বরের মাঝামাঝি ৯৫% দ.কোরিয়ান অঞ্চল দখল হয়ে যায় ।
এমতবস্থায় আমেরিকান ৫০০০০ সৈন্য বাহিনী দ.কোরিয়ায় অবতরন করে।
জাতিসংঘের হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয় ।
উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসুচি::::::::::;;;
=> ১৯৯৪ সালে আমেরিকা দ.কোরিয়ায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর পর ই উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
=> ২০০৬ সালে বিশ্বের অষ্টম পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে উ.কোরিয়া।
=>জর্জ বুশ ইরাক, ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে বলেছেন
” সয়তানের অক্ষশক্তি
”
=>২০০৩ সালে উ.কোরিয়া এনপিটি চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়।
=>২০০৯ সালে ২য় বারের মতো পরীক্ষা চালায় ।
=>এ পর্যন্ত ১২ বার উ.কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ।
অস্ত্রভান্ডার::::::
==>> ১০০০ কিমি. দুরে আঘাক হানেত সক্ষম
” নোদং
” ।
যা দিয়ে জাপান , দ.কোরিয়াকে আঘাত হানতে সক্ষম।
==>> ৪০০০ কিমি দুরে আঘাত হানতে সক্ষম মধ্যম পাল্লার “”মুসুদান”” । জাপানের উদ্বেগের প্রধান কারন।
==>> ২২০০ কিমি দুরে দুরপাল্লার “” তায়েপোদং-০১
”
==>> ৬০০০ কিমি দরে দুরপাল্লার “” তায়েপোদং-০২””। যেটি আমেরিকার উদ্বেগের কারন।
==>> ১২০০ যুদ্ধবিমান।
==>> নৌবাহিনীর যুদ্ধযান আছে ১০ টি। ডুবোজাহাজ ৯০ টি।
সুত্র :: এএফপি.
এ অস্ত্র ভান্ডারের হুমকিসমুহ:::
–> আমেরিকাকে আগ্রাসী করে তুলছে ::: হুমকি , অর্থনৈতিক অবরোধ।
–> চীন – আমেরিকা দ্বন্দ্ব বাড়ছে
–> এশিয়ার স্থিতিশীলতা হুমকির সম্মুখীন হবে।
–> জাপান যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে।
–> মায়ানমার পারমানবিক শক্তি পাবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমাধান::
১. আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ঐক্যমত
২. জাতিসংঘের শক্তিশালী ভুমিকা
৩. অর্থনৈতিক অবরোধ কোন সমাধান নয়
৪. পারমানবিক শক্তিকে শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ।
……
ধন্যবাদ
মান্না দে
বিসিএস পুলিশ ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত
৩৪ বিসিএস