৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি আন্তর্জাতিকে, পার্ট – ৪৭

৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা নিচের টপিকটা পড়তে পারেন।কারণ জলবায়ু এমন একটি বিষয় যেটি প্রায় প্রতিটি বিসিএস পরীক্ষায় কোন না কোন বিষয়ে এসে থাকে।
সৌজন্যে >>>> Mna Choudhury স্যার
Climate Diplomacy(জলবায়ু কূটনীতি)
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষার জন্য তথা টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে সংঘটিত কুটনৈতিক প্রচেষ্টাকে বলা হয় জলবায়ু কূটনীতি বা Climate Diplomacy.
টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতি মোকাবেলায় বৈশ্বিক উদ্যোগ।
1) টেকসই পরিবেশ উন্নয়নকল্পে 1971 সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন Green Peace.
2) জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বের প্রথম পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় 1972 সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে।
3) পরিবেশগত বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্যোগে 1972 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় UNEP বা United Nations Environment Programme.
4) বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে 1974 সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক পরিবেশবাদী গ্রুপ World Watch.
5) জাতিসংঘের উদ্যোগে 1982 সালে প্রনীত হয় আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন UNCLOS বা United Nations Convention on the Law Of the sea.
6) বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর রক্ষাকল্পে জাতিসংঘের উদ্যোগে 1987 সালে স্বাক্ষরিত হয় Montreal Protocol. এ যাবত এটি চারবার সংশোধিত হয়েছে- 1990 , 1992 , 1997 এবং 1999 সালে।
7) পরিবেশ গবেষণা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে 1988 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় IPCC বা Inter-governmental Panel on Climate change. টেকসই পরিবেশ উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকার জন্য সংস্থাটি 2007 সালে শান্তিতে নোবেল পান।
8) পরিবেশ সচেতনতা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে 1991 সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে জার্মানির পরিবেশবাদী সংগঠন German Watch.
9) পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে 1991 সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে GEF বা Global Environment Facility.
10) পরিবেশ ও উন্নয়ন নিয়ে 1992 সালের (3-14) জুন পর্যন্ত ব্রাজিলের রিওডিজেনেরিও তে বিশ্বের প্রথম ধরিত্রী সম্মেলন হয়।
11) একবিংশ শতাব্দীর পরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য 300 পৃষ্ঠা বিশিষ্ট পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক দলিল প্রনয়ন করা হয় 1992 সালে যেটি Agenda-21 নামে পরিচিত।
12) জাতিসংঘের উদ্যোগে 1992 সালে স্বাক্ষরিত হয় UNFCCC বা United Nations Framework Convention on Climate Change. এটি কার্যকর হয় 1994 সালে। বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে 1992 সালে এবং অনুমোদন করে 1994 সালে।
13) রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরনের লক্ষ্যে 1993 সালে স্বাক্ষরিত হয় CWC বা Chemical Weapons Convention.
14) জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্ব জলবায়ু অনুষ্ঠিত হয় যেটি সংক্ষেপে COP বা Conference Of the Parties নামে পরিচিত।COP এল প্রথম সম্মেলন হয় 1995 সালে Berlin এ।
15) তেজস্ক্রিয় পদার্থ তথা পারমাণবিক বোমা তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে 1996 সালে স্বাক্ষরিত হয় CTBT বাComprehensive Nuclear Test Ban Treaty.
16) 1997 সালের 11 ডিসেম্বর জাপানের প্রাচীন রাজধানী কিয়োটো নগরীতে COP এর তৃতীয় বৈঠকে Kyoto Protocol স্বাক্ষরিত হয় এবং বলা হয় উন্নত দেশগুলো 1990 সাল কে ভিত্তি বছর ধরে 2008-2012 সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ 7% হারে কমাবে।
17) 2009 সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে এ COP-15 সম্মেলন হয়, যেখানে ভৃ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা 2 ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। COP-15 এ উন্নত দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশ সমূহের জন্য 2020 সাল নাগাদ 100 বিলিয়ন ডলার সাহায্যের রূপরেখা প্রনয়ন করে।
18) COP সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় 2010 সালে মেক্সিকোর কানকুন শহরে। এই সম্মেলনে Green Climate Fund গঠিত হয়।
19)COP-18 সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় 2012 সালে কাতারের রাজধানী দোহাতে। এই সম্মেলনে Kyoto Protocol এর মেয়াদ 2012 থেকে বাড়িয়ে 2020 সালে উন্নীত করা হয়।
20) COP-21 সম্মেলন হয় 2015 সালে প্যারিসে এবং COP-22 সম্মেলন হবে 2016 সালে মরক্কোর মারাকাস শহরে।
21) পরিবেশ সংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাপানের সংগঠন JICA বাংলাদেশকে 2009-2010 অর্থবছর থেকে 2011-2012 অর্থবছর পর্যন্ত তিনটি অর্থবছরে 490 কোটি টাকার বাজেট সহায়তা দিয়েছে।
22) বাংলাদেশের কাছে জাপানের সুদ হিসেবে পাওনা 700 কোটি টাকা মওকুফ করে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে জাপান সরকার।
23) 12 নভেম্বর, 2014 সালে USA এবং China র মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ রোধ চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে USA 2025 সালের মধ্যে তারা 2005 সালের তুলনায় 20-28% গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনার কথা বলে। অপরদিকে চীন কোনরূপ লক্ষ্য ঠিক না করে 2030 সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনার কথা বলে।বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশী গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে China এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে USA.

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline