৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি
আন্তর্জাতিক
গুরুত্বপূর্ন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন।
NAM, NAM ট্রয়কা, NAMA কী ?
মনে রাখার জন্য সহজ করে দিলাম।
=
Shoeb Ahmed
=
NAM
—
NAM এর পূর্ণরুপ Non Aligned Movement যার বাংলা অর্থ জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন। ন্যাম গঠন করা হয় ১৯৬১ সালে। ন্যাম এমন সময় গঠন করা হয় যখন আমেরিকা ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে। যারা আমেরিকা ও সোভিয়েতে ইউনিয়নের প্রভাব বলয় থেকে মুক্ত হতে চাইতেন সেই সমমনা দেশগুলো নিয়েই ন্যাম গঠন করা হয়। ন্যাম গঠনের উদ্যোক্তা ছিলেন যুগোশ্লোভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল জোসেপ টিটো, জওহর লাল নেহেরু, ড. আহমেদ সুকর্ন, ঘানার প্রেসিডেন্ট নক্রমা, মিশরের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের। ন্যামের প্রথম সম্মেলন হয় ১৯৬১সালে বেলগ্রেডে আর সর্বশেষ ১৬তম সম্মেলন হয় তেহরানে। ন্যামের বর্তমান সদস্য ১২০টি। ন্যামের কোন সদর দপ্তর নেই।
ন্যাম NAM ট্রয়কাঃ
—-—————
জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের বা ন্যাম সম্মেলনে গৃহীত একটি সিদ্ধান্তের নাম ‘ন্যাম ট্রয়কা’।
১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনষ্ঠিত দ্বাদশ ন্যাম সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত হয় যে, ঢাকার অনুষ্ঠেয় ন্যাম -এর ত্রয়োদশ সম্মেলনের জন্য বর্তমান, বিগত ও ভবিষ্যৎ (যথাক্রমে দক্ষিন আফ্রিকা, কলম্বিয়া ও বাংলাদেশ) চেয়ারম্যানগণ একত্র হয়ে ত্রয়োদশ সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ডারবান সম্মেলনের এ সিদ্ধা্ন্তটি ‘ন্যাম ট্রয়কা’ নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, পরবর্তী সময়ে ১৩তম ন্যাম সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় নি।
NAMA নামাঃ
—-———— Non-Agricultural Market Access (NAMA) হচ্ছে WTO একটি Agreement । এর মাধ্যমে ট্যারিফ হ্রাস করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। WTO এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অ-কৃষি পণ্য তুলনামূলক ধনী দেশগুুলোর বাজারে প্রবেশাধিকারের সুবধা অর্জনই নামা চুক্তির মূল বিষয়। মূলত উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার লড়াই চললেও এই চুক্তির সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশসহ সকল WTO ভুক্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলো স্বার্থ। শিল্পজাত পণ্য আমদানিতে শুল্ক হার হ্রাস করাই এই চুক্তির মূল বিষয়। যদিও শুল্কহার হ্রাসই মূল বিষয় তবুও এর পাশাপাশি উন্তত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো কিভাবে ও কি হারে আমদানি শুল্ক হার হ্রাস করবে এটাই মূখ্যত নির্ধারণ করা হয় । বিশেষজ্ঞগণের ধারণা উন্নয়নশীল দেশগুলো এই চুক্তির স্বার্থ রক্ষায় ব্যার্থ হলে তাদের জন্য নতুন করে বিপর্যয় নেমে আসবে। এজন্য নামা আলোচনায় বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ হতে বিশ্ব বাজারে সব ধরনের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ও ‘রুলস অব অরিজিন’ শিথিল করার দাবি তোলা হয়েছে