৩৮ তম বিসিএস লিখিত ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি
এবার IMF, World Bank, এর উপর একটা প্রশ্ন থাকবে আশা করি। প্রশ্নগুলো হতে পারে কেমন….?
টীকা বা সংক্ষিপ্ত হিসেবে থাকতে পারে আবার বড় ও থাকতে পারে…
*** ব্রেটেন উডস প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা কী?
*** IMF ভূমিকা বা বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা সম্পর্কে
*** স্বল্পন্নোত দেশে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা।
===
(ভূমিকাতে এরকম লিখতে পারেন)
১৯৪৫ সালের ব্রিটন উডস সম্মেলনের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব গৃহীত হয় প্রতিষ্ঠান দুটি হল IMF আর IBRD । আইবিআরডি ই পরবর্তীকালে বিশ্বব্যাংক নামে পরিচিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সারা বিশ্বের ভঙ্গুর অর্থনীতি ও অবকাঠামো বিনির্মানে উক্ত প্রতিষ্ঠান দুটো প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রেটন উডস প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে স্বরাষ্ট্র সচিব জর্জ মার্শালের পরিকল্পনা অনুযায়ী সৃষ্ট। যদিও দৃশ্যমানভাবে মনে হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের উন্নয়নের জন্য সৃষ্ট তবুও সমালোকগণ বলে থাকেন এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মাতব্বরির হাতিয়ার। সাম্পৃতিক অনেক ঘটনা পর্যবেক্ষণে মনে হয় সমালোকদের কথা অমূলক নয় (উদাহরণ দিতে পারেন- পদ্মাসেতুও উল্লেখ করতে পারেন) । IBRD এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন নন্দিত অর্থনীতিবিদন জন মেনিয়ার্ড কীনস।
বিশ্বব্যাংক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বিশ্ব অর্থনীতিতে এক বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছিল যে উদ্ধূত সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে IBRD প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যেটি পরবর্তীকালে বিশ্বব্যাংক নামে পরিচিত হয়। ১৯৪৬ সালের ২৫ জুন থেকে বিশ্বব্যাংক কার্যক্রম শুরু হয়।
বিশ্বব্যাংকের সাথে জাতিসংঘের একটি চুক্তি আছে যার ফলে বিশ্বব্যাংক জাতিসংঘের একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মযার্দা লাভ করে।
বিশ্বব্যংকের সর্বোচ্চ কৃতপক্ষ হচ্ছে ***’পরিচালক পরিষদ। এরিষদ গঠিত হয় সদস্যরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বা সমপর্যায়ের ব্যক্তিকে নিয়ে। বিশ্বব্যাংকের ২২ সদ্স্য বিশিষ্ট ***””কার্যনির্বাহী পরিচালকমন্ডলি’ অাছে। যার ৫ জন নির্বাচিত হন পাচটি সর্বোচ্চ চাদা প্রদানকারী সদস্য রাষ্ট্র (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, জার্মান) বাকী ১৭ জন নির্বাচিত হন নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। এদের মেয়াদ হয় ২ বছরের জন্য। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন কার্যনির্বাহী পরিচালকমন্ডলি। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৫ বছর।
বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম: অনুন্নত রাষ্ট্রসমূহকে কারিগরি সহায়তা ্প্রদান, বিভিন্ন প্রকল্প নির্বাচনের মাধ্যমে সাহায্য বা ঋণ নির্ধারণ করে থাক। বিশ্বব্যাংকের প্রধান কাজগুলো হল:-
ক) উৎপাদন খাতে ঋণ প্রদান
খ) সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের নিশ্চয়তা প্রদান।
গ) অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সদস্য দেশের উন্নয়নখাতে ঋণ দান।
ঘ) আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।
ঙ) জাতিসংঘের সংগঠন হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণদান বা সাহায্য করা।
বিশ্বব্যাংকের অর্থ ৩% গবেষনায় ব্যয় হয় বাকী ঋণের- ২৫% শক্তি উৎপাদন, ৩০% যোগাযোগ, ৩০% শিল্প উন্নয়ন, শিক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন ইত্যাদিতে ১২% মৎস ও কৃষি উন্নয়নখাতে দেয়া হয়।
বিশ্বব্যাংকের ঋণদান নীতি:-
ক) নিজস্ব সম্পদ থেকে সরাসরি ঋণ প্রদান করে।
খ) সদস্যরাষ্ট্রের চাদা বা ব্যংক কর্তৃক ধরা করা অর্থ থেকে ঋণ প্রদান
গ) যেসব উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মাথাপিছ অায় ৮০০মার্কিন ডলারের নিচে তাদের নির্নিষ্ট সার্ভিস চার্জে বিনা
সুদে ঋণ দান করে
ঘ) যেসব সদস্যদের মাথাপিছু আর্ন ৮০০মার্কিন ডলাররের উপরে তাদের ৭% হার সুদে ঋণদান ।
( বর্ননায় এটুকু লিখলেই চলবে তবে উপসংহারের আগে কিছু সমালোচনাও লিখতে হবে । যেমন–)
যদিও বিশ্বব্যংকের কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত রাস্ট্রগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক অর্থায়নে অন্যতম প্রধা্ন সহযোগী তবুও বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রমের পদ্ধতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে । বাংলাদেশের নন্দিত অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠি যে সাহায্য বা ঋণ দেয় তার ৩০% নিজেরাই পরামর্শক, পরিদর্শক ইত্যাদি নিয়োগের মাধ্যমে নিয়ে যায়। আবার বিশ্বব্যাংক ঋণদান ও সাহায্য দেওয়ার জন্য যেসকল শর্ত আরোপ করে তা অনেক সময় একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক। গত বছর ২০১৫ সালের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অ্যাঙ্গাস ডেটনের গবেষণাও তাই প্রমাণ করেছেন যে, আন্তর্জাতিকগোষ্ঠী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত রাষ্ট্রে যে ঋণ বা সাহায্য দেয় তা মূলত তেমন কোন কাজেই আসে না।