৩৭তম বিসিএস #লিখিত_প্রস্তুতি
———–
৩৮ তম BCS প্রিলিমিনারি ও লিখিত | আন্তর্জাতিক : BIMSTEC বিমসটেক থেকে সর্ট প্রশ্ন কিংবা ব্রড প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বদিন । নিজের লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ । কালেকশন করে রাখুন্
. —
বিমস্টেক হতে পারে কার্যকর আঞ্চলিক সংস্থা
প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
১৯৯৭ সালে উপ আঞ্চলিক সংগঠন বিস্ট-ইক গঠিত হয়। ঐ বছরেই নাম পরিবর্তন করে আরো কয়েকটি রাষ্ট্রকে সংযুক্ত করে বিমস্টেক গঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে নেপাল ও ভুটান বিমস্টেক-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। BIMSTEC বিমস্টেকের পূর্ণ নাম হচ্ছে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনোমিক কোপারেশান।(Bay of Bengle Initiative For Multi Sectoral Technical and Economic Co-operation .
বর্তমানে বিমস্টেকের সদস্যবৃন্দ হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান। বিমস্টেকের প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
বিমস্টেকের গঠনের পেছনে মৌল উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে:
অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পরিবেশ তৈরি করা,
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কারিগরি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জ্বালানি, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনীতিতে গতিময়তা আনয়নের বৃহত্তর স্বার্থে প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়ন উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্জন করা,
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক, সামাজিক, কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সহায়তা করা,
যৌথ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহযোগিতাপূর্ণ এবং
জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সুবিধা সহযোগী সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কর্মকাণ্ডে ব্যাপ্ত করা।
,
সদস্যরাষ্ট্র একে অন্যের সহযোগিতায় বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষতায় সিনার্জী তৈরি হবে। বিমস্টেক অঞ্চলে বর্তমানে ১.৬ বিলিয়ন লোকের বসবাস। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বাজারের পরিধি হচ্ছে প্রায় ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মোট জিডিপির পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ২.৮০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সত্যিকার অর্থে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে যৌথ দায়বদ্ধতা এবং মুক্ত অঞ্চল গঠিত হলে তা যেন বাংলাদেশের জন্যে উপকার বয়ে আনবে সেজন্যে অন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহ পরস্পরের কাছ থেকে Win-Win অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। বিমস্টেকের থাইল্যাণ্ডের পশ্চিমা উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ ও ভারত পূর্বমুখী উন্নয়নের সমন্বয়ে গঠিত। বিমস্টেক যখন ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে তখন বাণিজ্য, কারিগরি, জ্বালানি, যোগাযোগ, পর্যটন এবং মত্স্য-এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিল। পরবর্তীতে আরো নয়টি খাত ২০০৮ সালে সংযুক্ত করা হয় : কৃষি, জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন, পরিবেশ, সংস্কৃতি, মানুষ থেকে মানুষের যোগাযোগ এবং প্রকৃতির পরিবর্তনকে সহনীয় মাত্রায় আনা। বিমস্টেক আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে কাজ তেমন গতিময়তা পায়নি। অথচ বিমস্টেকের ভৌগোলিক ও ভূ-রাজনৈতিক কারণে রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব। সে গুরুত্বকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে সাহসী করে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২২% যে অঞ্চলে বসবাস, সেখানে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা তেমন কার্যকর হয়নি। যেটুকু সম্পর্ক রয়েছে তার স্ফীতভাগই হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে।
২০০৪ সালের জুনে বিমস্টেক এলাকায় মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও ২০১৬ তেও তা অন্ধকারের অতল গহ্বরে রয়েছে। অথচ এমনটি হবার কথা নয়। সদস্য রাষ্ট্রসমূহ মুক্ত বাণিজ্যিক এলাকা গড়তে পারলে তারা সবাই কম-বেশি উপকৃত হবেন।
অধ্যাপক কেনেথ আর হল, বিমস্টেক সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে বিস্ময়ের সঙ্গে মন্তব্য করে বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে গুণগতমান সম্পন্ন শিক্ষার মান বাড়াতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা বিশেষত উচ্চশিক্ষার মানের জন্যে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে অধিক হারে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, শিক্ষার মান উন্নয়নে কাঠামোগত সংস্কার, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক রাষ্ট্র থেকে অন্য সদস্য রাষ্ট্রে আসা যাওয়া, গবেষণার ফলাফল ভাগাভাগি করা এবং এগুলো ছড়িয়ে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া। অথচ বিমস্টেকের আওতায় শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো ধরনের সহযোগিতা তেমন নেই। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, ২০০৪ সালে প্রথম শীর্ষ বৈঠক হওয়া বিমস্টেক প্রায় বিশ বছর পর যখন নেপালে চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন হবে সেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেই মূল দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা তৃতীয় শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, বিমস্টেককে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাঠামোর সহযোগিতায় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেখতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথভাবে উচ্চশিক্ষার মান উন্নত করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে বিমস্টেককে যদি আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মূল চালিকা হিসেবে কাজ করে তবে তা এদেশকে আরেকটু সহায়তা করবে। এ ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদৃষ্টিমূলক নেতৃত্বগুণে বিমস্টেকের অগ্রযাত্রা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারেন। AIT-এর শাখা বাংলাদেশে খোলার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা Public Private Forign (PPF) পার্টনারশিপ যুক্ত করতে পারি। PPF-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তাদের উন্নয়নকে গতিময় করতে পারে।
আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন হিসেবে বিমস্টেকের তৃতীয় শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে মিয়ানমারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সেখানে মিয়ানমারের প্রস্তাবনা ছিল ভারত থাইল্যান্ডের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের যে ব্যবস্থা করেছিল তাতে বাংলাদেশ অংশীদার হওয়ার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-মিয়ানমার/কুনমিং সড়ক তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে যখন সমস্যার সমাধান করা যায় না তখন বহুমুখী ব্যবস্থার আওতায় দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আঞ্চলিক সংস্থায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সমস্যার কথা ধরা যায়। অং সান সু চির দল মিয়ানমারে এখন ক্ষমতায় এবং সর্বশেষ পরিস্থিতিতে দাবার ছক উল্টে না গেলে অং সান সু চি প্রেসিডেন্ট হবেন। পরবর্তী বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটির সমাধানে মিয়ানমারে একগুঁয়েমি অন্যায় আচরণের ব্যাপারে আলোচিত হয়ে একটি ন্যায়সঙ্গত সমস্যার সমাধান হতে পারে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমই কেবল পরিচালনা করে না বরং মানবপাচার, চোরাচালানসহ উগ্রধর্মীয় জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে।
বিমস্টেকের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে সার্কের কর্মকাণ্ড অনেকখানি স্থবির হচ্ছে পাকিস্তানের কারণে। পাকিস্তান বাংলাদেশকে একনম্বর বৈরী রাষ্ট্র মনে করে। এদেশের উন্নয়ন তাদের কাছে ঈর্ষার বিষয়। আর দীর্ঘকাল ধরে পাকিস্তান ভারতের বৈরিতার কারণে সার্ক এবং সাপটা কোনোটাই সাফল্য পায়নি। চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন নেপালে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে ও বহুমুখী কূটনৈতিক প্রয়াসের মাধ্যমে বিমস্টেককে আরো বেশি গতিময় করে তুলতে পারে। যদি অঞ্চলগত জনচিকিত্সা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বহুমুখীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তবে স্বাস্থ্যগত পর্যটনে উন্নত দেশের তুলনায় অধিক ব্যয় অনেকখানি হ্রাস পাবে। বাংলাদেশি ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানদের মান বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ল্যাবের ভুল রিপোর্ট ও শাইলকের মত সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে মৃত সন্তানের লাশ আটকে চিকিত্সার নামে টাকা নেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ্যাপোলো, স্কয়ারের কাছাকাছি খরচে ভারত, থাইল্যান্ডে আরো উন্নতমানের চিকিত্সা পাওয়া যায়। প্রতিযোগিতা বজায় থাকলে আরো ভালো হাসপাতাল কম খরচে গড়ে উঠবে। সদস্য রাষ্ট্রের ভালো হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের শাখা এ দেশে স্থাপন করা যেতে পারে।
নেপালের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দুর করতে দেশটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে। চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে আকুকারেন্সিকে নতুন মাত্রা পণ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে আরো যুগোপযোগী করার বিষয় বিবেচনা করা যায়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নততর প্রযুক্তি ও কারিগরি কলাকৌশল একে অন্যের সঙ্গে বিতরণ করতে পারলে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ উপকৃত হবে। পর্যটন কেন্দ্রসমূহে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ সমন্বিতভাবে আরো উন্নত করতে পারে। এক্ষেত্রে ভিসামুক্তভাবে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ যদি পর্যটকদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে অথবা অন এরাইভাল ভিসার ব্যবস্থা করে তবে বেশ ভালো হয়।
বিমস্টেক সদস্য রাষ্ট্রসমূহের জন্য মুক্ত বাণিজ্য এলাকা এখন পর্যন্ত গড়ে উঠেনি। যদি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলা যায় তবে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। অঞ্চলগত ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে হলে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের জন্যে আমদানি শুল্ক ও রপ্তানি কোটা বাড়ানো দরকার। নরেন্দ্র মোদী যে আধুনিক ভারত গড়তে চান তা তখনই কার্যকর হবে যখন বিমস্টেক একটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সত্যিকার অর্থে গড়ে উঠবে এবং সদস্য রাষ্ট্রসমূহের এক রাষ্ট্রের উন্নয়নকে অন্য রাষ্ট্রের লাভ হিসেবে কার্যকর ও পদ্ধতিগতভাবে কাজে লাগানো যাবে। আঞ্চলিক বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব ও বহুমাত্রিকতা এবং জনগণের সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন। বাজার ব্যবস্থাপনায় সম্প্রসারণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি সদস্য রাষ্ট্রসমূহে Economics of scale প্রদান করতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সদস্য রাষ্ট্রসমূহের পরিবহন খরচ-ই কেবল কমাবে না বরং পণ্য কম খরচে ক্রেতা সাধারণের কাছে পৌঁছার ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে সরবরাহজনিত ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা এক দেশ থেকে অন্য দেশে পরিবহনের জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষত সড়কপথে উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথ কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং সে কার্যক্রম যেন বাস্তবায়িত হয়। বস্তুত যে কোনো প্রকল্প শুরুর পূর্বে খরচ-লাভ হিসেব কষে সে প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়িত হতে হবে।
আজ পূর্বমুখী উন্নয়নে গতিশীল নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা, ভারতে আছেন নরেন্দ্র মোদী, মিয়ানমারে আছেন অং সান সু চি, নেপালে আছেন কেপিশর্মা অলী। জননেত্রী যেভাবে তার নেতৃত্ব গুণে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিচ্ছেন তেমনি তিনি চাইলে বিমস্টেক আরো গতিশীলতা পেতে পারে। বিমস্টেকের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াকে সংযুক্ত করার প্রয়াস নেয়া যেতে পারে। আসলে পূর্বমুখী পরিকল্পনার সার্থক রূপ পেতে হলে বিমস্টেক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্যোগকে ঢেলে সাজাতে হবে। সর্বাগ্রে ধরতে হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, কাঠামোগত সংস্কার এবং জ্ঞান গবেষণা, বিজ্ঞান-সংস্কৃতি সর্বমুখী অথচ কার্যকর শিক্ষার মান উন্নয়ন। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক উচ্চশিক্ষা কাঠামো গঠনে জননেত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারেন কেননা বঙ্গবন্ধু কন্যা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার মর্যাদা রক্ষায় সবসময়ে, সচেষ্ট রয়েছেন। এরপরই আসে স্বাস্থ্য খাত। এখাতেও প্রচুর সহযোগিতা আবশ্যক। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বিমস্টেক পারস্পরিক সহযোগিতা করতে পারে। আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিমস্টেকের গতিশীল ভূমিকা বাঞ্ছনীয়। অন্যদিকে Food security নিশ্চিত করতে শস্য ভাণ্ডার হিসেবে বিমস্টেক যাতে কার্যকর হয় সেজন্য পদক্ষেপ বাঞ্ছনীয়। ভারত যদি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে এবং থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এগিয়ে আসে তবে একটি সত্যিকার আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে বিমস্টেক আসিয়ানের মতো আগামী দশবছরে শক্তিশালী হতে পারে।
লেখক :ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিস্ট
ইত্তেফাক ০১ মার্চ, ২০১৬ ইং