৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি আন্তর্জাতিকে, পার্ট – ৯

৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি

টীকা আসতে পারে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা (টিপিপি)

———
২০১৪ সালের ১২-১৩ নভে: অ্যাপেকের ১৯তম সম্মেলন হয় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। সেই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন প্রসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২টি দেশকে নিয়ে একটি মুক্ত বাণিজ্যিক চুক্তি ‘র রুপরেখা প্রণয়নে প্রস্তাব দেন ।যেটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা (টিপিপি) নামে পরিচিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা (টিপিপি)দেশগুলো বিশ্বের ৪০ শতাংশ অর্থনীতিকে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। আন্তপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদারত্ব (টিটিপি) নামের এই রূপরেখায় সায় দিয়েছে অ্যাপেকভুক্ত ১২টি দেশ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মেক্সিকোসহ ব্রুনেই, চিলি, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম, জাপান । তবে টিটিপিতে যোগদানের কোনো আগ্রহই প্রকাশ করেনি চীন।

এককথায় বলা যায় টিপিপি হচ্ছে ওয়াশিংটন-সমর্থিত মুক্ত বাণিজ্য বিষয়ক একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা, যেটি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসগারীয় অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ এর সদস্য দেশের সংখ্যা ১২। টিপিপি বাস্তবায়নে ওয়াশিংটন বছরের পর বছর ধরে চাপ দিয়ে এলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনকে এর বাইরে রেখেছে। কিন্তু প্রথমে জাপানসহ কিছু সদস্য দেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিরোধিতা করায় বিভিন্ন সময় এ নিয়ে অগ্রগতি আটকে গেছে।তবে বর্তমানে জাপানের সমর্থন আছে।
চীনের গণমাধ্যম ও বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, টিপিপি বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রভাবের লাগাম টেনে ধরার একটা প্রচেষ্টা। এ ছাড়া রাশিয়ার বক্তব্যও একই ধরনের। অ্যাপেক সম্মেলনে অংশ নেওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যাতে লাভবান হয়, সেভাবেই সাজানো হয়েছে টিপিপি। তবে ওয়াশিংটন এ ধরনের অভিযোগগুলো বরাবরই নাকচ করে আসছে।

কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে জাপানি প্রধানমন্ত্রী চুক্তিটির পক্ষে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। টিপিপি স্বাক্ষরিত হলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ওই ১২টি দেশের বাজার উন্মুক্ত হবে। আবে বলেন, আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতেই এই চুক্তি। পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সুবিধার জন্যও এটা দরকার।
২১ সদস্যের অ্যাপেক সম্মেলন থেকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল (এফটিএএইপি) ধারণার ব্যাপারে একটি জোরালো প্রতিশ্রুতি চায় চীন। দেশটির মতে, পুরো অঞ্চলের জন্য এই দীর্ঘমেয়াদি ধারণাটি টিপিপি ও মুক্তবাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদক্ষেপগুলোর ভিত্তিতেই গড়ে উঠবে। আর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ে মার্কিন অর্থনৈতিক নীতির প্রশ্নে টিপিপি হচ্ছে ‘প্রধান ফোকাস’।

চীনের গণমাধ্যম ও বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, টিপিপি বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রভাবের লাগাম টেনে ধরার একটা প্রচেষ্টা। এ ছাড়া রাশিয়ার বক্তব্যও একই ধরনের। অ্যাপেক সম্মেলনে অংশ নেওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যাতে লাভবান হয়, সেভাবেই সাজানো হয়েছে টিপিপি। তবে ওয়াশিংটন এ ধরনের অভিযোগগুলো বরাবরই নাকচ করে আসছে।

অপরদিকে
চীন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিএএইপি) গড়ে তোলার পক্ষে। দেশটি ২১ সদস্যের অ্যাপেক সম্মেলন থেকে এফটিএএপির ব্যাপারে একটি প্রতিশ্রুতি আদায়ে জোরালোভাবে কাজ করে। শেষ পর্যন্ত চীনের ওই পরিকল্পনাতেই সায় দেয় অ্যাপেক।
সম্মেলন শেষে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, অ্যাপেক সদস্যরা একটি রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে এ জোট এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তুলতে এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, এই অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ‘আঞ্চলিক অর্থনীতির সনন্বিতকরণ’ ও এফটিএএপির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর বিষয়ে অ্যাপেক সদস্যদের আত্মবিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির বিষয়টি সামনে এল।
টিপিপি ও মুক্তবাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট অন্য পদক্ষেপগুলোর ভিত্তিতেই গড়ে উঠবে এফটিএএপি। তবে টিপিপি বাদ দিয়ে এফটিএএপি বাস্তবায়নে চীনের দৃঢ় অবস্থান বাণিজ্য ক্ষেত্রে চীন-মার্কিন শত্রুতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline