৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি:
টপিক ২: গ্রীন হাউজ ইফেক্ট/বৈশ্বিক উষ্ণায়ন/জলবায়ু পরিবর্তন।
::১৮৫০ থেকে ১৯৬০ সালের মাঝে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
::পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৯% ভূমি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে, যার ফলে ৫.৫ কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
::IPCC (Intergovernmental Panel of Climate Change) এর সমীক্ষা অনুযায়ী,
১।বাংলাদশের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতিবছর ৭ মি মি হারে বাড়ছে, যেখানে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৫-৬মি মি/বছর।ফলে বাংলাদশের উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ১-২ মি মি/ বছর।
২।বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি দশকে ৩.৫-১৫ মি মি বৃদ্ধি পেতে পারে।এমনকি ২১০০ সাল নাগাদ ৩০-১০০ মি মি এ পৌছতে পারে।
৩।২০১০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে প্লাবনজনিত কারণে বস্তুগত সম্পদের ক্ষতির পরিমাণ ২৪.২০ কোটি টাকা।
৪।প্লাবনের কারণে দেশে আমন ধানের উৎপাদন ১.৩৬ কোটি মেট্রিক টন হ্রাশ পাবে।এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দেশের কৃষি উৎপাদন ৭০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
::পরিবেশ বিঞ্জানীদের মতে,
১।বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এ শতাব্দীর শেষ দিকে ২০-২৬ সে মি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
২।সমুদ্রের উচ্চতা মাত্র ১ মিটার বৃদ্ধি পেলে সুন্দরবনের ৭০% তলিয়ে যাবে।
::বর্তমানে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ও দূরবর্তী দ্বীপসমূহের প্রায় ১৪ লাখ হেক্টর এলাকায় লোনা পানি প্রবেশ করায় উন্মুক্ত জলাশয় ও ভূগর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে।
::দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৪০০০ বর্গ কি মি এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১৪০০ বর্গ কি মি এলাকা আকস্মিক বন্যার শিকার হয়।
::বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কোন মাঝারি ধরনের প্লাবনে দেশের ৬৫% জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
::১৯৯০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট বস্তুগত সম্পদের পরিমাণ ১৮০০০ বিলিয়ন টাকা।এর মাঝে ভৌত অবকাঠামো রয়েছে ২৮০ বিলিয়ন টাকা মূল্যের।
::শীত মৌসুমে বাংলাদেশের প্রায় ৩৬০০ বর্গ কি মি এলাকা খরার কবলে পড়ে।বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে খরার ব্যপ্তি আরো বেড়ে তা ২২০০ বর্গ কি মি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে।
আরো পড়ুন:
বিসিএস ক্র্যাশ – উদ্ভিদবিদ্যা – 1
বিসিএস ক্র্যাশ – কম্পিউটার সংগঠন – 2
বিসিএস এর জন্য কোন কোন বই পড়া জরুরী