৩৪টি শারীরিক সমস্যা রোধে রসুন কার্যকর

টিবিটি লাইফস্টাইল ডেস্ক: কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকেই একেবারে পছন্দ করেন না। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ভয়ে অনেকেই কাঁচা রসুনের কাছ থেকে দূরেই থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। বিশেষ করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর করতে কাঁচা রসুনের জুড়ি নেই। ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সের গবেষণায় রসুনের এইসকল গুণাবলী প্রকাশ পায়। আজ জেনে নিন রসুনের এমনই অসাধারণ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে। জেনে নিন প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার উপকারিতা।

১. হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২. শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে।
৩. উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
৪. গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৫. ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৬. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে।
৭. যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
৮. দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।
৯. যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
১০. হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
১১. কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১২. গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে।
১৩. স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
১৪. রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
১৫. প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
১৬. পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।
১৭. ইস্ট ইনফেকশন দূর করে।
১৮. শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে।
১৯. ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
২০. দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।
২১. চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
২২. হাতে পায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়।
২৩. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২৪. স্টাফিলোকোক্কাস ইনফেকশন দূর করে।
২৫. দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।
২৬. ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।
২৭. আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।
২৮. দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
২৯. চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
৩০. রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩১. দীর্ঘমেয়াদী হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩২. ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ মুক্ত রাখে।
৩৩. ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৩৪. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সতর্কতা: দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় রসুন ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়া যায়।
রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের রসুন না খাওয়াই ভালো।
অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline