
হাইকোর্টের রুল জাতীয়কৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের রাজস্বখাতে আত্তীকরণে।
সদ্য জাতীয়কৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১৯ জন সহকারী শিক্ষকের চাকরি রাজস্বখাতে নিয়োগ, আত্তীকরণের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং একই সঙ্গে তাদের চাকরি কেন রাজস্ব খাতে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি করেছেন।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রোববার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহম্মেদ এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিটকারী খুলনা জেলার জেলার কয়রা উপজেলার নূরনাস আকতার, সামসুন নাহার, হোসনেয়ারা আকতার, মেহজাবিন ইসলাম সোনাডাঙ্গা উপজেলার রিনজিন খাতুন সহ সর্বমোট ১৯ জন সহকারি শিক্ষক। তারা সদ্য জাতীয়কৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। তাদের পক্ষে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশনটি শুনানী করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।
প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রিট আবেদনকারী ১৯ জন খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (সদ্য জাতীয়করণকৃত) সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। সম্প্রতি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য সকল রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, রাজস্বখাতে নিয়োগ/আত্তীকরণকরা হয়। কিন্তু রীট আবেদনকারীদের নিয়োগ/আত্তীকরণ করা হয়নি । সকল শর্ত পূরণ করা হলেও তাদের নিয়োগ/আত্তীকরণ করা হয়নি।
আরো পড়ুনঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাতীয়করণের তৃতীয় ধাপের গেজেট প্রকাশ