ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্তমানে একটি সবচেয়ে বড় এবং সম্ভাবনাময় খাত হলো ই-কমার্স, দেশীয় পণ্যকে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরতে ই-কমার্স এর জুড়ি নেই। বর্তমানে সম্ভাবনাময়, এই খাতটিতে যেকেউ খুব অল্প কিছু বিনিয়োগের মাধ্যমেই শুরু করতে পারেন, আপনার ইকমার্স ব্যবসা।
বাংলাদেশের কয়েকটি টপ ই-কমার্স সাইট, ফেসবুক পেইজ, যোগাযেগা এবং এলেক্সা র্যাংকিং দেখুন এখান থেকে
ই-কমার্স ব্যবসা করতে হলে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে। কারণ যত লেট করবেন, পিছিয়ে পড়বেন। ২০১৪ সাল যদি হয় আপনার ই-কমার্স ব্যবসা শুরু, অর্থাৎ, সুন্দর একটি সাইট তৈরি, প্রোডাক্ট প্লান (কি ধরনের প্রোডাক্ট থাকবে, তার মার্কেট ডিমান্ড), কাষ্টমার সাপোর্ট সিস্টেম, এরপর আসবে সাইট মার্কেটিং/প্রোমশন ইত্যাদি। এরপর……..২০১৫ সাল হতে শুরু হবে আপনার ব্যবসা/লাভ। তার পূর্বেও হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনার সাইটের প্রোডাক্ট, ভিজিটর, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ের উপর। কত লাভ/ইনকাম হবে মাসে? এটা বলা মুশকিল। তবে অনলাইন শপিং মল তো! যদি লক্ষাধিক ভিজিটর ঢুকাতে পারেন সাইটে, ভিজিটর তার কাঙ্খিত ও কোয়ালিটি জিনিষ পায়, তবে তো সারছে! মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাতে পারবেন আপনি। কত লক্ষ? সময়ই বলে দিবে।
ই-কমার্স ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিনিয়োগ কম এবং পর্যায়ক্রমে বিনিয়োগ (অর্থাৎ, অবস্থা বুঝে বিনিয়োগ), ফলে ঝুঁকি কম।
ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারেন না, আপনি কি ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারবেন?
হ্যাঁ, আপনিও পারবেন। তবে ই-কমার্স সাইট তৈরি শেখা কঠিন কিছু নয়। চেষ্টা করলে আপনিও শিখতে পারবেন। আর যদি নাও পারেন, কাওকে দিয়ে সুন্দর একটি সাইট তৈরি করে নিন। সাইট কিভাবে মেইনটেন করবেন, অর্থাৎ প্রোডাক্ট এড করা, অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি টুকিটাকি বিষয় শিখে নেন। এরপর শুরু করে দিন ই-কমার্স বিজনেস। আল্লাহ সহায় থাকলে সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।
আর হ্যাঁ, ই-কমার্স সাইট তৈরিতে দক্ষ হলে আপনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সাইটেও প্রচুর কাজ করে আর্ন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটসমূহে একটু ঢু মারলেই বুঝতে পারবেন এ ধরনের কাজের পরিমান ও বাজেট। ধন্যবাদ সবাইকে, ভাল থাকবেন।