লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজী ভাবনা
—————
বিসিএস/জুডিশিয়ারি কিংবা অন্য যেকোন নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজীর ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় প্রায় অনেকের ভীতি কাজ করে। চলুন আজ ভয়কে কিছুটা জয় করার চেষ্টা করি। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ৩৫ তম বিসিএস থেজে বেশ কিছুটা পরিবর্তন আসছে। ইংরেজীতে যে জায়গায় নাম্বারের ব্যবধান হয়ে যায় একে অপরের সাথে সেটা হল অনুবাদ,সামারী এবং রচনার ক্ষেত্রে। যেহেতু প্রিলিতেই অনেক গ্রামার শিখে এসেছেন এবং এখন ও শিখছেন, সে হিসেবে প্রায় সবাই প্যাসেজের গ্রামার অংশে কাছাকাছি মার্কস পাবেন। আজকে আলোচনা করব সামারী, অনুবাদ এবং রচনা নিয়ে। রচনা লেখা খুব সহজ হয়ে যাবে যদি আপনার বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে ভাল প্রস্তুতি থাকে। রচনা সাধারনত সমসাময়িক বিষয়ের উপর হয়ে থাকে। তাই রচনা লেখার সময় বেশি বেশি চার্ট, গ্রাফ,পরিসংখ্যান, ডাটা ইত্যাদি দেয়ার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন ৩ ইঞ্চির একটা ডাটা/গ্রাফ আপনার ১০ ইঞ্চি লেখার চেয়ে বেশি মার্কস নিয়ে আসবে। যারা দৈনিক পত্রিকা পড়েন তাদের আশা করি ডাটা/গ্রাফের অভাব হবেনা। তাছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহায়তায় আপনি নিজেও অনেক তথ্য, উপাত্ত দিতে পারেন। লিখিত পরীক্ষায় কিছু অংশ থাকে যেখানে ভাবনায় সময় কমিয়ে লেখায় সময় বেশি দিতে হয়। আবার এমন কিছু অংশ থাকে যেখানে ভাবনায় সময় বেশি দিতে লেখার সময় কমিয়ে। যেমন সামারীর ক্ষেত্রে আপনি ভাবনায় যথেষ্ট সময় নিন। কারণ এখানে লিখতে হয় কম। কিন্তু লেখাটা এমন হতে হবে যেন আপনার অল্প কথায় পুরো প্যাসেজের মর্মার্থ চলে আসে। ১০০ শব্দের সামারী লিখলে আপনি পাচ্ছেন ২০ মার্কস। অথচ সেই ১০০ শব্দ রচনায় লিখলে আপনি ৫মার্কস পান কি না সন্দেহ!
সামারী লেখার ক্ষেত্রে প্রথমে পুরো প্যাসেজটি ভালোভাবে পড়ে সেখান থেকে কী ওয়ার্ড বাছাই করে নিন। তারপর সেই কী ওয়ার্ড দিয়ে নিজের ভাষায় প্যাসেজটিকে প্রতি ৩লাইনে নিজে একটা লাইন তৈরি কর তাহলে দেখবেন প্যাসেজটি অনেক ছোট হয়ে আসছে। এবার আপনার সেই ছোট প্যাসেজটিকে নিজের ভাষায় ১০০ শব্দে নিয়ে আসুন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন প্যাসেজের মত হুবহু আপনার লেখা হয়ে না যায়। তাছাড়া প্যাসেজে কিছু উক্তি,উদাহরণ ইত্যাদি দেয়া থাকলে তা কোনোভাবেই আপনার সামারীতে আনা যাবে না। প্যাসেজে যদি কঠিন কোন শব্দ থাকে তবে তার অর্থ খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট করা যাবেনা। কারণ অধিকাংশ প্যাসেজ পর্যালোচনা করে যেটা বুঝলাম খুব কঠিন কোন শব্দ বা phrase & idioms এ প্যাসেজের মুল কথা থাকেনা।
আজ আসুন শিখে নিই আনুবাদের কলাকৌশল। অনুবাদের শুদ্ধতার উপর মুলত মার্কসের বিশাল ব্যবধান হয়ে যায় একে অন্যের সাথে। তাই চলুন ইংরেজী বাক্য অনুবাদের কলাকৌশল জেনে নিই।
অনেক বড় বাক্য কিভাবে অনুবাদ করবেন? আগে নিচের নিয়মটি পড়ে ফেলুন।
“”SAVO/ দিক,কিভাবে,কার সাথে/PTR “” এটি একটি ম্যাজিক রুল। এখানে S মানে sub,A মানে adverb of frequency (always,sometimes, usually,normally, never,ever), V মানে Verb, O মানে Object.,P মানে place, T মানে Time, R মানে Reason. আসুন একটা বড় বাক্য লিখি। “”বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জয়ের জন্য প্রতিদিন সকালে ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে নতুন কোচের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্রিকেট অনুশীলন করে। “” উপরের ম্যাজিক রুল অনুযায়ী “”বাংলাদেশ ক্রিকেট দল = S (sub), বিশ্বকাপ জয়ের জন্য = R (reason), প্রতিদিন সকালে = T (time), নতুন কোচের সাথে =কার সাথে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে =কিভাবে, ক্রিকেট অনুশীলন করে= কিভাবে। এবার উপরের ম্যাজিক রুল অনুযায়ী বাক্যটি সাজালে হয় BD Cricket Team practices cricket spontaneously with the new
coach at Dhaka Mirpur Stadium every morning to win the world.
এই ম্যাজিক রুল অনুসরন করতে পারলে যেকোন বড় বাক্য অতি সহজেই অনুবাদ করা যায়। বাক্য যত বড়ই হোক না কেন, সবই এই নিয়মের মধ্যে পড়বে। তবে শুরু হোক অনুশীলন। তাছাড়া এই পেজে অনুবাদের (প্রথম আলো ও Daily star) যে পোস্টগুলো দেয়া হয় এগুলো দেখতে পারেন। আসছে আমার পরবর্তী পোস্ট। চোখ রাখুন এই পেজে।
0 responses on "লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি ভাবনা"