
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সেকেন্ডটাইমারদের কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর
-
ভাইয়া মেডিকেলে কি সেকেন্ড টাইম অফ করে দেওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে?
উত্তর: না, যেহেতু এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়াল কোন নোটিশে বলা হয় নি যে সেকেন্ডটাইম থাকছে না। তাই ধরে নাও আপাতত সেকেন্ড টাইম বন্ধ হচ্ছে না।
-
এবার মেডিকেল এডমিশনে সেকেন্ডটাইমারদের কি কোন মার্ক কাটা হতে পারে?
উত্তর: না, মেডিকেল এডমিশনে সেকেন্ডটাইমারদের কোন মার্ক কাটা হয় না।আর এখন পর্যন্ত এরকম কোন প্রস্তাবনার এর কথাও না যায়নি। তবে যারা কোন সরকারি বা বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থেকে সেকেন্ডটাইম পরীক্ষা দিবে শুধু তাদের মেরিট স্কোর থেকে পাঁচ মার্ক কেটে নেওয়া হবে।
-
ভাইয়া মেরিট স্কোর কি ৩০০ এর মধ্যেই করা হবে?এটা কি কমানোর কোন সম্ভাবনা আছে?
উত্তর: আগে মেরিট স্কোর করা হত ২০০ নম্বরের মধ্যে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর এর MCQ এক্সাম আর SSC ও HSC এর জিপিএ এর ওপর থাকতো ১০০ নম্বর। তবে এইবার ই প্রথম মেডিকেল এডমিশনে ৩০০ নম্বরের মেরিট স্কোর করা হয়েছে। যেখানে SSC এবং HSC এর রেজাল্ট এর উপরেই রাখা হয়েছে ২০০ নম্বর বাকি ১০০ নম্বর থাকছে M.C.Q এক্সাম এর উপর।তাই আপাতত ধরে নাও পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত মেডিকেল এক্সামে ৩০০ নম্বরের মেরিট স্কোর হওয়ার ই পসিবিলিটি বেশী।
-
মেডিকেল এডমিশন এর জন্য কোন কোন রাইটারের বই পড়া উচিত ?
উত্তর: আমাদের ইশিখন.কম এ প্রায় প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি বইয়ের গুরুত্বপুর্ণ লেসন, নোট এবং লেকচার রয়েছে।এছাড়াও প্রাণিবিদ্যার জন্য আজমল স্যার এর বই পড়তে পারেন, সে সাথে আব্দুল আলীম স্যার অথবা রেটিনা ডাইজেস্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এড করতে পারেন। উদ্ভিদবিদ্যার জন্য আবুল হাসান স্যারের বইটা পড়তে হবে প্লাস আজমল স্যার এর বই এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো এড করে নিতে পারেন। পদার্থ প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের জন্য ইসহাক স্যার এর বই কে মূল বই ধরতে পারেন। সে সাথে সেকেন্ড চয়েস হিসেবে শাহজাহান তপন স্যার এর বই ও সাথে রাখতে পারেন।

-
ভাইয়া কোন কোন বিষয় গুলো বেশি জোর দিয়ে পড়া দরকার?
উত্তর: প্রাণিবিদ্যা এবং রসায়নের ওপর বেশি জোর দিয়ে পড়তে হবে। যে কোন চাপ্টারের ছক, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য এবং উদাহরনগুলো বেশি বেশি করে দেখতে হবে। সেসাথে physics বইয়ের সকল সূত্র আর রিলেশন গুলো ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।আর প্রত্যেক দিন ই GK আর English এর জন্য অল্প হলেও কিছুটা সময় দিতে হবে।
-
কিভাবে পড়লে Gk আর English এ ভাল নম্বর পাওয়া সম্ভব?
উত্তর: প্রথমত Gk এর জন্য ভাল একটা বই পড়তে হবে কিংবা আমাদের ইশিখন.কম এর সাধারণ জ্ঞান লেকচার+পোস্টগুলো নিয়মিত ফলো করতে হবে যেখানে সুন্দর ভাবে সব তথ্যগুলো গোছানো আছে। এছাড়াও Mp3 এবং রেটিনা ডাইজেস্ট কে আমার কাছে বেটার চয়েজ বলে মনে হয়েছে।আর English এর জন্য Apex বা Medi English পড়তে হবে। দ্বিতীয়ত অবশ্যই ইশিখনের বিসিএসের প্রশ্নপত্র সলভ করতে হবে। কারন বিসিএসের প্রশ্ন থেকেই মেডিকেল এডমিশনে অনেক প্রশ্ন(বিশেষ করে English) হুবহু কমন পাওয়া যায়।
-
ভাইয়া সর্বশেষ মেডিকেল এডমিশনের সার্কুলার অনুযায়ী GK সিলেবাসের মানবন্টন এ বাংলাদেশের ইতিহাস/সংস্কৃতি /ঐতিহ্য থেকে ৬ নম্বর আর আন্তর্জাতিক অংশ থেকে 4 নম্বর থাকার কথা। তাই বাংলাদেশ অংশের জন্য শুধু ঐতিহ্য -সংস্কৃতি পড়লেই কি হবে?নাকি বাকি গুলো ও পড়তে হবে??
উত্তর: আগের মেডিকেল এক্সাম গুলোতে Gk এর জন্য ধরা -বাঁধা টাইপের তেমন কোন সিলেবাস ছিল না।গত বছরের এক্সামেই প্রথম Gk এর বাংলাদেশ অংশের জন্য সিলেবাস নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমাদের ও একটু চিন্তায় পড়ার কথা।তবে মেডিকেল এডমিশন এর জন্য আমরা সর্বশেষ সার্কুলার টাই বেশি ফলো করে থাকি।তাই আমার সাজেশন থাকবে বাংলাদেশ অংশের জন্য ঐতিহ্য -সংস্কৃতি এর ওপর বেশি জোর দিয়ে পড়বে প্লাস বাকি বিষয় গুলোও একটু করে দেখে নিবে।
৮.প্রশ্ন কি NCTB এর অনুমোদিত বই থেকেই হবে? অনুমোদনবিহীন বই থেকে প্রশ্ন হওয়ার কি কোন পসিবিলিটি আছে?? -আসলে মেডিকেল এডমিশনের প্রশ্ন ডাক্তার-রাই করে থাকেন।এক্ষত্রে তারা প্রচলিত রাইটারের বইকেই একটু priority দিয়ে থাকেন। কোন বই অনুমোদন পেয়েছে কোন টি পায় নি এগুলো নিয়ে তারা কখনো ই মাথা ঘামান না। মূলত হাজারি স্যার রসায়ন প্রথম পত্র আর শাহজাহান তপন স্যার এর পদার্থ প্রথম পত্র বই NCTB কতৃক অনুমোদিত নয়। তাই অনেকেই এই বই দুটো কে avoid করে থাকে,অথচ গত দু-তিন বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, এই বই দুটি থেকে অনেক প্রশ্ন সরাসরি কমন পড়েছে।তাই কোন বই অনুমোদিত, কোন টি নয় এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন দরকার নেই। -
মেডিকেল পরীক্ষা থেকে Physics এবং GK কি সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে?
উত্তর: গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর একটা সভায় মেডিকেল exam থেকে physics আর gk বাদ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরে তা আর গৃহীত হয় নি।তাই ধরে নিতে পার physics আর gk আগের মত ই মেডিকেল এডমিশনে থাকছে।
-
আমি ফাস্টটাইম মেডিকেল কোচিং করে চান্স পাইনি, তবে একটা পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাইছি। এখন সেকেন্ড টাইম প্রিপারেশন নিতে ইচ্ছুক।আমার কি করা উচিত?
উত্তর: প্রথমত অবশ্যই ইশিখন.কম এর মেডিকেল এর ফ্রি কোর্সটি শুরু করতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটা ভার্সিটিতে ভর্তি টিকানোর জন্য নূন্যতম একটা এটেনডেন্স থাকতে হয়, না হলে ভর্তি ক্যান্সেল হয়ে যায়।যেমন ঢাবিতে একটা স্টুদেন্ট কে কমপক্ষে তিনমাস (30% উপস্থিতি) ক্লাস করতে হয়। আর কৃষি ভার্সিটি গুলোতে এক-দুই সপ্তাহ ক্লাস করলেই হয়।তাই আগে খোঁজ নাও তোমার ভার্সিটিতে নুন্যতম কতদিন ক্লাস করতে হবে।আর এই ক্লাস চলাকালীন সময়েও পাশাপাশি অবশ্যই মেডিকেলের জন্য ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।অন্তত Gk আর English টাও একটু একটু করে দেখতে হবে।
-
মেডিকেল এডমিশন এর জন্য কোন কোচিং বেটার হবে?
উত্তর: মেডিকেল এডমিশন এর জন্য কোচিং তেমন একটা ফ্যাক্ট না, তোমাকেই নিজের কোচিং কে বেস্ট বানায় নিতে হবে অর্থাৎ তোমাকেই পড়তে হবে। এজন্য তো ইশিখন.কম রয়েছেই। তাছাড়া রেটিনা, প্রাইমেট, রয়েল, মেডিকো,উন্মেষ এর যে কোন একটিতে ভর্তি হয়ে যাও। তবে ব্যক্তিগতভাবে রেটিনার প্রশ্নের মান আমার কাছে অনেক ভাল মনে হয়েছে।
-
কোচিং এ খুব কম নম্বর পাচ্ছি?কনফিডেন্স লেভেল কমে যাচ্ছে?
উত্তর: আসলে প্রথম প্রথম এটাই মনে হবে। তাই নিরাশ না হয়ে যেটি পড়ছো তা বার বার রিভিশন দাও। ইশিখন.কম এ মডেল টেস্টগুলো দেওয়ার আগে বার বার উক্ত মডেল টেস্ট সর্ম্পকিত লেকচার, নোট, অধ্যায়সমুহ পড় এবং মডেল টেস্ট প্রাকটিজ করো। তোমার সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে তুমি সেকেন্ড টাইমার। পড়ার জন্য অনেক সময় হাতে পাচ্ছ।প্লাস এক্সপেরিয়েন্স দিয়েও একজন ফাস্ট টাইমার এর চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবা। ধারাবাহিকতা রেখে পড়াশোনা করে যাও, দেখা যাবে কয়েক মাস পর ফাস্ট টাইমাররা যখন আসবে ততদিনে পুরো বই তোমার আয়ত্তে এসে গেছে। এমন কি দেখবে তোমার মার্ক গুলো ও ফাস্ট টাইমার দের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে।
-
মেডিকেলে চান্স পেতে হলে প্রতিদিন কত ঘন্টা করে পড়া উচিত?
উত্তর: বেশি খুশি হতাম যদি জানতে চাইতে যে চান্স পেতে গেলে কতবার বই রিভাইস করা দরকার কিংবা ইশিখনের লেকচারগুলো কতবার রিভাইজ দিতে হবে। কারন তোমার যে পড়া টা কভার করতে চারটা ঘন্টা লাগছে সেটা হয়তো অন্য একজন দেড় ঘন্টার মধ্যে কভার করে ফেলছে।মোট কথা তোমাকে বার বার বই রিভাইস করতে হবে,যতদিন পর্যন্ত না তুমি একদিনে দুই টা বই রিভাইস করতে পারছো।
-
ভাইয়া একটা চাপ্টার পড়লে অন্যটা ভুলে যাই,কি করবো?
উত্তর: আসলে আমরাও এধরনের সমস্যা ফিল করেছি। শুধু তোমার নয় বলতে গেলে সবার ই একটা কমন সমস্যা এটা। তাই যেটি পড়তেছ তা বার বার রিভিশন করতে হবে। রিভিশন যত বেশি হবে অন্যদের চেয়ে ততই এগিয়ে থাকবা।আর সবকিছু মুখস্ত না করে ছন্দ বা টেকনিক দিয়ে মনে রাখার ওপর জোর দাও। ইশিখনের ফ্যানপেইজে এবং ওয়েবসাইটে পড়া মনে রাখার অনেকগুলো পোস্ট আছে। ওগুলো ফলো করো।
-
ভাইয়া,আমার SSC/HSC তে জিপিএ কিছুটা কম থাকার কারনে অলরেডি ৫/৬/৭ নম্বর পিছিয়ে আছি।আমার কি মেডিকেল প্রিপারেশন নেওয়া ঠিক হবে??
উত্তর: আমি এক ভাইয়া কে চিনি, যিনি ফাস্ট টাইম ডেন্টালে ভর্তি হয়ে সেকেন্ড টাইম মেডিকেল এর জন্য প্রিপারেশন নিয়েছিলেন। 5 মার্ক কেটে নেওয়ার পর ও জাতীয় মেধা তালিকায় তিনি ষোলতম হয়েছিলেন। এবারের মেডিকেল পরীক্ষায় আমার এক ফ্রেন্ড এর মেরিট স্কোর থেকে 9.25 কেটে নেওয়ার পরেও সে দেশের প্রথম সারির একটা মেডিকেল কলেজে চান্স
পাইছে।অসম্ভব কিছুই নয়।মেডিকেলে পড়া যদি তোমার প্যাশন হয়ে থাকে তাহলে নিজের উপর ভরসা রাখ আর পরিশ্রম করে যাও ইনশাল্লাহ আল্লাহ তোমার পরিশ্রমের প্রতিদান দিবেন। -
আচ্ছা ভাইয়া কোচিং এর পাশাপাশি প্রাইভেট পড়া কি ঠিক হবে?
উত্তর: মেডিকেল এডমিশনের জন্য কোচিং এর পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াকে আমার কাছে মনে হয় waste of time.তোমার যদি মোটামুটি সব টপিক্সের ওপর ক্লিয়ার ধারনা থাকে তাহলে আলাদা করে প্রাইভেট পড়ার কোন মানে হয় না।তবে কোন কোন টপিক্স নিয়ে সমস্যা থাকলে পাশাপাশি প্রাইভেট পড়তে পার, তবে তা দেড় দুই মাসের বেশি না হলেই ভালো। ইশিখনে প্রতিবছর মেডিকেল এর সাজেশনগুলো ই বেশি করে পড়তে থাক আর বারবার রিভাইস কর। যেটি পড়তেছ তা নিজে থেকেই টেকনিক আর ছন্দ দিয়ে করে মনে রাখার চেষ্টা কর।
-
ভাইয়া মেডিকেল এর জন্য পদার্থ আর রসায়নের ম্যাথ নিয়ে চিন্তিত,এ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন?
উত্তর: দুই বছর আগের ২০১৪-১৫ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থ আর রসায়ন থেকেই প্রায় ১৪ টির মত ম্যাথ এসেছিল।২০১৫-১৬ ভর্তি পরীক্ষায় এসেছিল ৬-৭ টার মত। আর এবারের পরীক্ষায় ৩-৪ টার মত ম্যাথ এসেছে। যেহেতু ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাই ম্যাথ গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরল প্রকৃতির হয়ে থাকে। ম্যাথ এর জন্য ইসহাক স্যার আর তপন স্যার এর বইয়ের ছোট ছোট সূত্রের অংক গুলো ভালো করে প্রাকটিস করলেই enough. আর রসায়নের ক্ষেত্রে pH, ঘনমাত্রা, মোলারিটি, আংশিক চাপ,Kp,Kc,মোল ভগ্নাংশের ছোট ছোট গানিতিক সমস্যাগুলো ভালো ভাবে আয়ত্ত করতে হবে। আর ইশিখন.কম তো আছেই।
তোমাদের সেকন্ড টাইমার সকলের জন্য ইশিখন.কম এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভ কামনা। আমাদের এডিটরগণ তোমাদের জন্য নতুন নতুন সাজেশন, লেকচার এবং মডেল টেস্ট তৈরি করে চলেছেন। তাই কাঙ্খিত বিষয় আজ না পেলে আবার দেখো। আমার প্রতিনিয়ত আপডেট দিচ্ছি।