মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১)
উদ্ভাবিত বাংলা টাইপ রাইটিং এর নামঃ মুনীর অপটিমা(১৯৬৫)
নাটকঃ রক্তাক্ত প্রান্তরঃ নাটকটি ঐতিহাসিক ।মূল উপজীব্য ১৭৬১ সালের পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ এবং এর জন্য ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। এর কাহিনী কায়কোবাদের “মহাশ্মশান ’’ গ্রন্থ থেকে নেয়া।
কবরঃ ৫২ এর ভাষা আন্দোলন বিষয় । নাটকটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকাকালীন লিখেছেন এবং নাটকটি রাজবন্দীদের দ্বারা অভিনীত হয়।
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য,দন্ডাকারণ্য,চিঠি,মানুষ
মুখরা রমনী বশীকরণঃ শেক্সপিয়ারের “ The Taming of the Shrew ’’ এর অনুবাদ
প্রবন্ধঃ মীর মানস (দাউদ পুরস্কার লাভ),বাংলা গদ্যরীতি
সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৯২৬-১৯৪৭)
সুকান্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতার (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ বিভাগ সম্পাদনা করতেন। মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্ত কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান করে নেন।
তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো: ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি।
পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকে সুকান্ত সমগ্র নামে তাঁর রচনাবলি প্রকাশিত হয়। সুকান্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পিসঙ্ঘের পক্ষে আকাল (১৯৪৪) নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন।
শামসুদ্দীন আবুল কালাম (১৯২৬-১৯৯৭)
উপন্যাস বিভাগে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার পান ১৯৬৪ সালে। ততদিনে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর চারটি উপন্যাস কাশবনের কন্যা (১৯৫৪), আলমনগরের উপকথা/দুই মহল (১৯৫৫), কাঞ্চনমালা (১৯৫৬), জীবনকাব্য (১৯৫৬)।পরে প্রকাশিত হয়েছে ছয়টি উপন্যাস
(জায়জঙ্গল (১৯৭৮), সমুদ্রবাসর (১৯৮৬), নবান্ন (১৯৮৭), যার সাথে যার (১৯৮৬), মনের মতো ঠাঁই (১৯৮৫), কাঞ্চনগ্রাম (১৯৯৭)।
ছোটগল্পকার হিসেবেও সমান খ্যাতিমান ছিলেন শামসুদ্দীন আবুল কালাম। তাঁর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের সংখ্যা সাত—শাহের বানু (১৯৪৫), পথ জানা নাই (১৯৪৮), অনেক দিনের আশা (১৯৪৯), ঢেউ (১৯৫৩), দুই হৃদয়ের তীর (১৯৫৫), পুঁই ডালিমের কাব্য (১৯৮০), মজা গাঙের বান
(১৯৮০).ছোটদের জন্য লিখেছেন— দুঃখমোচন (১৯৪৫), সবাই যাকে করলো হেলা (১৯৫৮).তবে তাঁর লেখা আরও অনেক গল্প-উপন্যাস গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রয়ে গেছে এখনও। তিনি লিখতেন ‘আবুল কালাম শামসুদ্দীন’ নামে, কিন্তু প্রখ্যাত সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবুল
কালাম শামসুদ্দীন (১৮৯৭-১৯৭৮)-এর সঙ্গে নামবিভ্রাট এড়াতে নিজেকে বদলে নেন ‘শামসুদ্দীন আবুল কালাম’ নামে।
আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩)
উপন্যাসঃ সূর্য দীঘল বাড়ি,পদ্মার পলিদ্বীপ,জাল
গল্পঃ হারেম,মহাপতঙ্গ
পুরস্কারঃ বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৩),সুন্দরবন সাহিত্যপদক (১৯৮১,একুশে পদক (১৯৯৭)
শহীদুল্লা কায়সার (১৯২৭-১৯৭১)
উপন্যাসঃ সারেং বৌ(১৯৬২) ,সংশপ্তক(১৯৬৪)
পুরস্কারঃ আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬২)বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২)
শহীদুল্লা কায়সার
জন্মঃ ১৯২৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ফেনীতে;
মৃত্যুঃ ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর “আল বদর বাহিনী” তাকে অপহরন করে।
শহীদুল্লা কায়সার পেশায় ছিলেন একজন সাংবাদিক;ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন;তিনি ছিলেন ১৯৭১ এর একজন “শহীদ বুদ্ধিজীবী”;
সাহিত্যকর্মঃ
উপন্যাসঃ সারেং বউ (তাঁর প্রথম উপন্যাস, সমুদ্র উপকূলের জনপদের চিত্র, উপন্যাসটির জন্য তিনি “আদমজি পুরস্কার” ও “বাংলা একাডেমী পুরস্কার” পান), সংশপ্তক;
প্রবন্ধঃ পেশোয়ার হতে তাশখন্দ (ভ্রমনকাহিনী), রাজবন্দীর রোজনামচা (স্মৃতিকথা);
বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা কিছু মূল্যবান তথ্যঃ শহীদুল্লা কায়সার পেশায় ছিলেন- সাংবাদিক;“সংশপ্তক”, “সারেং বউ” কার রচনা- শহীদুল্লা কায়সার;“সংশপ্তক”, “সারেং বউ” কোন ধরনের রচনা- উপন্যাস
আলাউদ্দিন আল আজাদ(১৯৩২-২০০৯)
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহঃ
১.তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০), ২.শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), ৩.কর্ণফুলী (১৯৬২), ৪.ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪), ৫.খসড়া কাগজ (১৯৮৬), ৬.শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬), ৭.জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬), ৮.যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬), ৯.স্বাগতম
ভালোবাসা (১৯৯০), ১০.অপর যোদ্ধারা (১৯৯২), ১১.পুরানা পল্টন (১৯৯২), ১২.অন্তরীক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২), ১৩.প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫), ১৪.ক্যাম্পাস (১৯৯৪), ১৫.অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১), ১৬.স্বপ্নশীলা (১৯৯২), ১৭.কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬), ১৮.বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)
গল্প গ্রন্থঃ ১.জেগে আছি, ২.ধানকন্যা, ৩.মৃগনাভি, ৪.অন্ধকার সিঁড়ি, ৫.উজান তরঙ্গে, ৬.যখন সৈকত, ৭.আমার রক্ত স্বপ্ন আমার
কাব্য গ্রন্থঃ ১.মানচিত্র, ২.ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, ৩.সূর্য জ্বালার স্বপন, ৪.লেলিহান পান্ডুলিপি
নাটকঃ ১.এহুদের মেয়ে, ২.মরোক্কোর জাদুকর, ৩.ধন্যবাদ, ৪. মায়াবী প্রহর, ৫.সংবাদ শেষাংশ। রচনাবলীঃ শিল্পের সাধনা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর লেখা বই “ফেরারী ডায়েরী (১৯৭৮)”
জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২)
উপন্যাস
শেষ বিকেলের মেয়ে (১৯৬০).প্রথম উপন্যাস। প্রকাশকঃ সন্ধানী প্রকাশনী। রোমান্টিক প্রেমের উপাখ্যান।
হাজার বছর ধরে (১৯৬৪).আবহমান বাংলার গ্রামীণ জীবনের পটভূমিতে রচিত আখ্যান। (চলচ্চিত্ররূপ, ২০০৫)আরেক ফাল্গুন (১৯৬৯).বায়ান্নর রক্তস্নাত ভাষা-আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত কথামালা।
বরফ গলা নদী (১৯৬৯).প্রথম প্রকাশঃ ‘উত্তরণ’ সাময়িকী। অর্থনৈতিক কারণে বিপর্যস্ত ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্ত পরিবারের অসহায়ত্ব গাঁথা।আর কত দিন (১৯৭০).অবরুদ্ধ ও পদদলিত মানবাত্নার আন্তর্জাতিক রূপ এবং সংগ্রাম ও স্বপ্নের আত্নকথা।
অন্যান্য রচনা
সূর্যগ্রহণ। প্রথম গল্পগ্রন্থ। ১৩৬২ বাংলা
তৃষ্ণা (১৯৬২)
একুশে ফেব্রুয়ারি (১৯৭০)
কয়েকটি মৃত্য।
জহির রায়হান পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহ হচ্ছেঃ
কখনো আসেনি (১৯৬১)
সোনার কাজল (১৯৬২) (কলিম শরাফীর সঙ্গে যৌথভাবে)
কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩)
সঙ্গম (১৯৬৪)
বাহানা (১৯৬৫)
আনোয়ারা (১৯৬৭)
বেহুলা (১৯৬৬)
জ্বলতে সূরযকে নীচে
জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)
স্টপ জেনোসাইড (চলচ্চিত্র) (১৯৭১)
এ স্টেট ইজ বর্ন (১৯৭১)
লেট দেয়ার বি লাইট (অসমাপ্ত) (১৯৭০)
**পত্রিকা সম্পাদনাঃ এক্সপ্রেস (ইংরেজী সাপ্তাহিক),প্রবাহ (বাংলা মাসিক)
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।