বুঝতে চান অন্য কারো মনকে? জেনে নিন উপায়গুলো!

অন্যের মনের কথা কি পড়ে নেয়া যায়? বিজ্ঞানীদের মতে হ্যাঁ, অন্যের মন পড়া যায় বৈকি! আর এই পুরো ব্যাপারটিকে তাঁরা ব্যাখ্যা করেন একজন শিশুর প্রেক্ষাপট থেকে। একটি শিশু সেটাই করে যেটা সে নিজের ভেতরে অনুভব করেছে। আমাদের মস্তিষ্কে রয়েছে কিছু মিরর নিউরনস, যেগুলো আমাদের সামনে করা অন্য মানুষের কার্যক্রমকে আমাদের মস্তিষ্কে প্রতিফলিত করে।
বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্বকে প্রমাণ করতে একটি ম্যাকাও বানরকে বেছে নেন। ১৯৯৬ সালে তিনজন বিজ্ঞানী একটি বানরের মস্তিষ্ককে পরীক্ষা করে দেখেন। সেখান থেকে পাওয়া যায় যে, বানরের সামনে যখন কোন কাজ করা হয়, সেটা উত্তেজিত করে বানরের মস্তিষ্ককে। উদাহরনস্বরূপ- বানরের সামনে কেউ একটা কলা তুলে নিলে তার মস্তিষ্কের ভেতরে ঠিক ততটাই আলোড়ন হয় যতটা কিনা সে নিজে কলাটা তুললে হত।
এ পরীক্ষা থেকে বিজ্ঞানীরা জানান যে, প্রত্যেকটি মানুষেরই রয়েছে অন্যের মনকে বোঝার ক্ষমতা! এক্ষেত্রে লস অ্যাঞ্জেলস স্কুল অব মেডিসিনের, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ম্যাক্রো ল্যাকোবনি জানান- মানুষের এই একজন আরেকজনের মনকে পড়ার ক্ষমতাকে “থিওরি থিওরি” দিয়েও ব্যাখ্যা করা যায়।
থিওরি থিওরি
থিওরি থিওরির মতে- মানুষ স্বভাবতই একজন আরেকজনের আবেগকে বুঝতে চায়। আর তাই মানুষ অন্য কারো আবেগীয় অনুভূতির ভেতরে এমনিতেই চলে যায় প্রতিনিয়ত। এটা তৈরি করা পরিস্থিতি নয়, বরং সয়ংক্রিয় ব্যাপার। আর তাই মানুষ চাক বা না চাক, একজন আরেকজনের মনকে এমনিতেই বুঝে ফেলে। আর এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করে মিরর নিউরন বা আয়না স্নায়ুগুলো।
কী করে বুঝবেন অন্যের মনকে?
মানুষের মনকে বোঝার কোন উপায় আছে নাকি? আছে! আর সম্প্রতি সেটা জানিয়েছেন এ বিষয়ে ৭ বছর ধরে পড়াশোনা করে আসা লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা ম্যাকক্যাম্ব্রিজ। একজন মানুষের মনকে পড়ার ব্যাপারে তিনি জানান-
১. প্রথম ধাপে সঠিকভাবে মানুষটিকে লক্ষ্য করতে হবে। তার কথা-বার্তা, আচরণ, লজ্জা, কোন বিষয় প্রতিক্রিয়া- এসবকিছুই অনেকটা খোলাসা করে দেয় যে আপনার সামনের মানুষটি কেমন।
২. একবার তাঁর মানসিক গড়ন বুঝে গেলে এরপর নিজের তার মতন করে ব্যবহার কর আচরণ আর প্রতিক্রিয়াকে তার মতন করে ফেলুন। এতে করে সে আপনার সামনে যে কোন কথা বলতে নিজেকে নিরাপদ ভাববে।
৩. পরিসংখ্যান তৈরি কর ঠিকঠাক সময় নিয়ে সবাইকে লক্ষ্য করে গেলে আর টুকে নিলে সেটার পরিসংখ্যান আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে আপনার সামনের মানুষটির কতটা সম্ভাবনা রয়েছে কোন আচরণ করার।
৪. অন্য মানুষটির দেওয়া সবধরনের প্রতিক্রিয়াকে ভালো করে দেখুন। চিহ্নকে মনে রাখুন। কোন মানুষ একনাগাড়ে সত্যি বলে গেলে মিথ্যে বলবার সময় একটু হলেও পার্থক্য দেখা যাবে তার আচরণে। আর এই আচরণগত চিহ্নকেই ধরার চেষ্টা কর
৫. শারীরিক প্রতিক্রিয়াকে জানুন। একজন মানুষ মুখে মিথ্যে বলতে পারলেও তার শরীর কখনো মিথ্যে বলেনা। আর তাই শারিরীক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য কর যেমন- চোখের পাতা কাঁপা, হাত নাড়ানো, পায়ের ভঙ্গী, শরীরের ভঙ্গি, শ্বাস নেওয়া, গলার স্বর – সবগুলোকে মনযোগ দিয়ে লক্য কর
আর যদি এরপরেও ব্যর্থ হয়ে যান তাহলে ব্যর্থতাকে মেনে নিন।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline