শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা
শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়েজানা যায়। নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য। প্রাণিকূলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে প্রাণিকূলের মাঝে যে পরিবর্তন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অসংখ্যজীবকূলকে একটি নির্দিষ্ট রীতিতে বিন্যস্ত করে গোষ্ঠীভুক্ত করা যায়। জীবের মধ্যে মিল-অমিলের ভিত্তিতে পরস্পরেরমধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয় করা যায়। জীব সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান নির্ণয় করা যায়। যেমন- সব এককোষীপ্রাণীকে একটি পর্বে এবং বহুকোষী প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হতো।
-কর্ডাটা প্রাণিজগতের কতকগুলো প্রাণী যাদের মধ্যে নটকর্ড, স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফুলকা ছিদ্র আছে এবং এরাভার্টিব্রাটা নামে পরিচিত।
– ভার্টিব্রাটা উন্নত প্রাণী। এদের নটকর্ড শক্ত কশেরুকাযুক্ত মেরুদন্ডে পবিবর্তিত হয়।
-স্নায়ুরজ্জুর সম্মুখ প্রান্ত স্ফীত হয়ে মস্তিষ্কে পরিণত হয়। মস্তিষ্ক করোটির মধ্যে সুরক্ষিত থাকে।
– জলজ ভার্টিব্রাটা ফুলকার সাহায্যে শ্বসন কাজ চালায় আর যারা স্থলে বাস করে তারা ফুসফুসের
সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
– মলাস্কা পর্বের প্রাণীদের নরম দেহ ম্যান্টল দ্বারা আবৃত থাকে। মাংসল পা দিয়ে চলাফেরা করে।
– যে সমস্ত প্রাণীকে এদের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুঅংশে ভাগ করা হয় তাকে
অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলে। যেমন – তারামাছ।
– বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিক নালি এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে সিলোম বলে।
– দেহ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দেহ গহ্বরকে সিলেন্টেরন বলে। এটা একাধারে পরিপাক ও সংবহনের কাজ করে।
– হিমোসিলের ভিতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়।
– ভ্রূণের যে সকল কোষীয় স্তর থেকে পরবর্তীতে টিস্যু বা অঙ্গ সৃষ্টি হয় তাদের ভ্রূণস্তর বলে।
– প্রাণিজগতে আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ক্ষতিকর পোকাদের পেষ্ট বলে।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।