বিসিএস প্রিলিমিনারি সাধারণ বিজ্ঞান প্রাণিবিদ্যা

বিসিএস প্রিলিমিনারি সাধারণ বিজ্ঞান প্রাণিবিদ্যা

 

প্রাণিজগৎকে কিংডম বলা হয়। বর্তমানে আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে প্রোটোজোয়া প্রাণীদের আলাদা উপজগৎ (Sub kingdom)এ ভাগ করা হয়। অন্যান্য প্রাণীদেরকে অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) জগতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অ্যানিম্যালিয়া জগতকে নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে।

১-পরিফেরা (Porifera)
স্বভাব ও বাসস্থান : পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সাধারণভাবে স্পঞ্জ নামে পরিচিত। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের পাওয়া যায়।এদের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে কিছু কিছু প্রাণী স্বাদু পানিতে বাস করে। এরা সাধারণত দলবদ্ধ হয়ে বসবাসকরে।

সাধারণ বৈশিষ্ট্য
(১) এরা সরলতম বহুকোষী প্রাণী।
(২) এদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এই ছিদ্রপথে পানির সাথেঅক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে।
(৩) এদের কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না।
উদাহরণ : স্পনজিলা, স্কাইফা

২-নিডারিয়া (Cnidaria) : এই পর্ব ইতোপূর্বে সিলেন্টারোটা নামে পরিচিত ছিল।
স্বভাব ও বাসস্থান : পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলে এই প্রজাতির প্রাণী দেখা যায়। এদের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক।তবে অনেক প্রজাতি খাল, বিল, নদী, হ্রদ, ঝরনা ইত্যাদিতে দেখা যায়। এই পর্বের প্রাণীগুলো বিচিত্র বর্ণ ও আকার-আকৃতির হয়। এদের কিছু প্রজাতি এককভাবে আবার কিছু প্রজাতি দলবদ্ধভাবে কলোনি গঠন করে বাস করে। এরাসাধারণত পানিতে ভাসমান কাঠ, পাতা বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে দেহকে আটকে রেখে বা মুক্তভাবে সাঁতার কাটে।

সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
(১) এদের দেহ দুটি ভ্রুণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত। দেহের বাইরেরদিকের স্তরটি এক্টোডার্ম এবং ভিতরের স্তরটি এন্ডোডার্ম।
(২) এদের দেহ গহ্বরকে সিলেন্টেরন বলে। এটা একাধারে পরিপাকও সংবহনে অংশ নেয়।
(৩) একটোডার্মে নিডোব্লাস্ট নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে। এই
কোষগুলো শিকার ধরা, আত্মরক্ষা, চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়।
উদাহরণ : হাইড্রা, ওবেলিয়া।

এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline