সাধারনত সারকামভ্যালেট ও ফাঞ্জিফর্ম প্যাপিলা গুলির আবরনী কলাস্তরে বিভিন্ন ধরনের স্বাদ কোরোক থাকে , জিহ্বার অগ্রভাগে মিষ্টতা ,পশ্চাত ভাগে তিক্ত ।দুপাশে অম্ল ও মধ্য ভাগে লবনাক্ত স্বাদ্ গ্রহনকারী স্বাদ কোরোক থাকে ।
জিহ্বায় তিন ধরনের গ্রন্থী থাকে –মিউকাস ক্ষরণকারী গ্রন্থী , সেরাস গ্রন্থী ও লসিকা গ্রন্থী । লসিকা গ্রন্তিগুলি মিলিতভাবে জিহ্বার পিছন দিকে লিঙ্গুয়াল টনসিল গঠন করে ।
গলবিল বা ফ্যারিংক্স(Pharynx)-
মুখবিবর এর ঠিক পরেই গ্রাস নালীর সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী সামান্যস্ফীত নলাকার অংশকে গলবিল বলে।সমগ্র গলবিলটি১৩-১৫ সে মি লম্বা এবং তিনটি অংশে বিভক্ত-
(i) নাসাগহ্বরের সঙ্গে সংযোগকারী নাসাগলবিল বা ন্যাসোফ্যারিংক্স
(ii) মুখবিবরের সাথে সংযোগকারী মুখগলবিল বা অরো ফ্যারিংক্স
(iii) স্বরনালীর সাথে সংযোগকারী স্বরগলবিল বা লয়ারিঞ্জোফ্যারিংক্স
প্রতিপাশের মধ্যকর্ণ থেকে আগত ইউস্টেচিয়ান নালী নাসাগলবিলের পার্শগাত্রে উন্মুক্ত হয়। মুখগলবিলও স্বরগলবিল অংশদ্বয় পরিপাক্তন্ত্র ও শ্বাস তন্ত্র উভয়েরই সাধারন অংশ ।
কলাস্থানিক গঠন –
গলবিলের আবরনী তিনটি কলাস্তর দ্বারা গঠিত –
(i) মিউকোসা বা শ্লেষ্মা স্তর -স্তরীভূত আঁইশাকার আবরনী কলা দ্বারা গঠিত
(ii) মধ্যস্তর-এটি তন্তুময় কলাস্তর এতে রক্তবাহ ,লসিকাবাহ ও স্নায়ু বিন্যস্ত থাকে
(iii) খাদ্যগলাধঃকরণের জন্য প্রয়োজনীয় অনৈচ্ছিক পেশী এই স্তরে বিন্যস্ত থাকে ।
গ্রাসনালি (Oesophagus)-
গলবিলের পরবর্তী ,পাকস্থলী পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ২৫ সেমি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট পৌষ্টিকনালির নলাকার অংশটি হল গ্রাসনালি বা ইসোফেগাস। এটি মধ্যচ্ছদা বা ডায়াফ্রাম ভেদকরে পাকস্থলীর সঙ্গে যুক্ত হয়। গ্রাসনালির উপরের ও নীচের দিকে দুটি স্ফিংটার বা পেশী বলয় থাকে –উপরের পেশীবলয়টিকে বলে ক্রিকোফ্যারিণজিয়াল বা ঊর্ধ গ্রাসনালিয় স্ফিংটার এবং নীচের দিকে যেখানে পাকস্থলী শুরু হয়েছে সেই সংযোগ স্থলে রয়েছে আরএকটি পেশী বলয় বা স্ফিংটার যার নাম কার্ডিয়াক স্ফীংটার ।
কলাস্থানিক গঠন –
গ্রাসনালির কলাস্থানিক গঠনে ও পরিপাক নালির অধিকাংশ অংশের ন্যায় চারটি কলাস্তর দেখাযায়।
গ্রাসনালির অভ্যন্তরে খাদ্যের বিচলন হয় পেরিস্টালসিস পদ্ধতিতে , একবার দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিই-
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।