প্রত্যেক অ্যালভিওলাস (বহুবচনে অ্যালভিওলি)-এর ব্যাস ০.২-০.৩ মিমি যারা পালমোনারী ধমনী থেকে উৎপন্ন কৈশিক জালিকার সাথে নিবিড় সান্নিধ্যে থেকে গ্যাসীয় বিনিময়ে অংশ নেয়।
পূর্ণবয়ষ্কে মানুষে ৩০০-৪০০ মিলিয়ন অ্যালভিওলি পাওয়া যায়।
শ্বসন প্রক্রিয়াকে দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়:
-বহিঃশ্বসন
-অন্তঃশ্বসন
বহিঃশ্বসন: ফুসফুসে যে প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন ফুসফুস হতে রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্ত থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড ফুসফুসে প্রবেশ করে, তাকে বহিঃশ্বসন বলে।
বহিঃশ্বসন প্রক্রিয়া: প্রশ্বাসের ফলে অ্যালভিওলিতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস প্রবেশ করে। অ্যালভিওলির প্রাচীর খুব পাতলা এবং কৈশিক জালিকা সমৃদ্ধ। পালমোনারী ধমনী থেকে সৃষ্ট কৈশিক জালিকায় অক্সিজেন কম থাকার রক্ত থাকে, ফলে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন অ্যালভিওলি থেকে কৈশিক জালিকার রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ হয়ে পালমোনারী শিরা দিয়ে বের হয়।
বহিঃশ্বসনে দু’পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। যথা :
-প্রশ্বাস বা শ্বাসগ্রহণ
-নিঃশ্বাস বা শ্বাসত্যাগ
প্রশ্বাস একটি সক্রিয় প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন পেশী সঞ্চালিত হয়। এবং নিঃশ্বাস একটি নিষ্ক্রিয় প্রক্রিয়া যেখানে প্রশ্বাসে অংশগ্রহণকারী পেশীর শিথিলতার জন্য এটি ঘটে।
পূর্ণ-বয়ষ্ক সুস্থ মানুষ বিশ্রামকালে প্রতি মিনিটি ১৪-১৮ বার শ্বসন ঘটে। (৭০-৮০ বার হৃদস্পন্দন হয়)।নবজাত শিশুতে ৪০ বার সংগঠিত হয়।
অন্তঃশ্বসন: শ্বসনের যে ধাপে রক্ত থেকে অক্সিজেন কোষে প্রবেশ করে এবং কোষের মধ্যে থাকা খাদ্য জারিত করে শক্তি উৎপন্ন করে এবং এর ফলে সৃষ্ট কার্বন ডাইঅক্সাইড আবার রক্তে ত্যাগ করে, এই ধাপকে অন্তঃশ্বসন বলে।
অন্তঃশ্বসনে তিনটি পর্যায় রয়েছে। যথা:
অক্সিজেন পরিবহন
খাদ্যবস্তুর জারণ
কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন
অক্সিজেন লোহিত কণিকার হিমোগ্লোবিনের সাথে অস্থায়ীভাবে যু্ক্ত হয়ে অক্সিহিমোগ্লোবিন রূপে রক্তে বাহিত হয়।
স্নায়ুতন্ত্র
স্নায়ুতন্ত্রের একক নিউরন।
যে যান্ত্রিক, রাসায়নিক বা ভৌত পরিবর্তন দেহকে বা দেহের কোন অংশকে উত্তেজিত করে, তাকে উদ্দীপক বলে। আলো, চাপ, তাপ, স্পর্শ প্রভৃতি বাহ্যিক উদ্দীপক আর অক্সিজেন, খাদ্য, পানি, বর্জ্য পদার্থ অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক।
মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র: মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডে অবস্থিত সুষুম্নাকাণ্ড নিয়ে গঠিত।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।