শ্বসন বলতে কেবল শ্বাস গ্রহণ বোঝায় না। জীববিজ্ঞানের ভাষায় শ্বসন বলতে বোঝায় যে বিশেষ জৈবনিক প্রক্রিয়ায় কোষে থাকা খাদ্যের রাসায়নিক শক্তি তাপ ও গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প নির্গত হয়।
শ্বসনতন্ত্রকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
-পরিবহনকারী অংশ
-শ্বসনকারী অংশ
নাসিকার কাজ:
প্রশ্বাস বায়ুতে ধূলিকণা ও রোগজীবাণু থাকে, যেটি লোম ও শ্লেষ্মাঝিল্লী আটকে ছাঁকনীর মত কাজ করে।
নাসাপথ অতিক্রমকারী বাতাস কিছুটা গরম ও আর্দ্র (জলীয় বাষ্প সমৃদ্ধ) হয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে।
Pharynx হল গলবিল। এবং Larynx হল স্বরযন্ত্র। স্বরযন্ত্রে এপিগ্লটিস নামক ঢাকনা থাকে, যেটি খাদ্যগ্রহণের সময় যাতে খাদ্য ল্যারিংক্সে প্রবেশ করতে না পারে, এ জন্য ল্যারিংক্সকে ঢেকে রাখে।
ট্রাকিয়া তরুণাস্থি নির্মিত ১২ সেমি লম্বা ও ২ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট ফাঁপা নল।
ট্রাকিয়া বক্ষ গহবরে প্রবেশ করে ৪র্থ বা ৫ম থোরাসিক বা বক্ষদেশীয় কশেরুকার লেভেলে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যে দু’টি শাখার সৃষ্টি করে, তাদের ব্রঙ্কাই বলা হয়। প্রথম ডান ও বাম শাখাকে বলা হয় মুখ্য ব্রঙ্কাই, পরে এটি অসংখ্য ক্ষুদ্রতর শাখা-প্রশাখায় বিস্তার লাভ করে, যাদের ব্রঙ্কিওল বলে।
ব্রঙ্কাইর ডান শাখাটি অপেক্ষাকৃত চওড়া বাম শাখাটির চেয়ে, কিন্তু বাম শাখাটি অপেক্ষাকৃত লম্বা।
ব্রঙ্কিওলের ক্ষুদ্রতম প্রান্তে ফুসফুসের শ্বসন অঞ্চল অবস্থিত। এটি অসংখ্য বায়ুপূর্ণ থলি বা অ্যালভিওলার থলি এবং অ্যালভিওলি নিয়ে গঠিত।
ডান ফুসফুস তিন খণ্ডবিশিষ্ট এবং বাম ফুসফুস দুই খণ্ডবিশিষ্ট। (যেমন হৃদপিণ্ডের ডানে ট্রাইকাসপিড ও বামে বাইকাসপিড)
ফুসফুস অনেকগুলো কার্যকরী ফুসফুসীয় এককে বিভক্ত যাদের লোবিউল বলা হয়। ডান ফুসফুসে ১০ টি এবং বাম ফুসফুসে ৮টি লোবিউল থাকে।
ফুসফুসের বাইরের তল দ্বিস্তরী ভিসেরাল প্লুরা নামক পাতলা ঝিল্লী দ্বারা আবৃত। (হৃদপিণ্ড যেমন পেরিকার্ডিয়াম দ্বারা আবৃত)
অ্যালভিওলার থলি ও অ্যালভিওলার নালীর মধ্যবর্তী অংশকে অ্যাট্রিয়াম বলে। অ্যালভিওলার থলিতে ২-৪ বা তারও বেশি অ্যালভিওলি থাকে।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।
পরের পাতাসমুহ >>
0 responses on "বিসিএস প্রিলিমিনারি সাধারণ বিজ্ঞান শ্বসনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র"