অভাব জনিত রোগ
ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে লোহার বিশোষণ, সঞ্চয় ও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে।
রিকেটস
রিকেটস রোগের লক্ষণ
– ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায় এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
– পায়ের হাড় ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং দেহের চাপে অন্যান্য হাড়গুলোও বেঁকে যায়।
– হাত-পায়ের অস্থিসন্ধি বা গিট ফুলে যায়।
– বুকের হাড় বা পাঁজরের হাড় বেঁকে যায়।
প্রতিকার
এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
প্রতিরোধ
শিশুকে ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। সূর্য রশ্মি থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই শিশুকেকিছুক্ষণের জন্য রৌদ্রে খেলাধুলা করতে দেওয়া উচিত।
অস্টম্যালেশিয়া
বয়স্কদের রিকেটস অস্টম্যালেশিয়া নামে পরিচিত। এই রোগের লক্ষণগুলো নিুরূপ –
– ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে ক্যালসিয়াম শোষণে বিঘ্ন ঘটে।
– ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের সঞ্চয় কমতে থাকে।
– থাইরয়েড গ্রন্থির কাজের পরিবর্তন ঘটে।
– অস্থি দুর্বল হয়ে অস্থির কাঠিন্য কমে যায় এবং হালকা আঘাতেই অস্থি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশিথাকে।
প্রতিকার
উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। উপযুক্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে উক্ত উপাদানগুলোর জন্য ঔষধ সেবন করা একান্ত জরুরী।
প্রতিরোধ
– শিশুকাল থেকেই ভিটামিন ‘ডি’ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে।
– শিশুদেরকে কিছুক্ষণের জন্য রৌদ্রে খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে।
ভিটামিন ‘ই’
ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘ই’ এর সবচেয়ে ভালো উৎস। শস্যদানা, যকৃত, মাছ-মাংসের চর্বিতে ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যায়।
কাজ
– ভিটামিন ‘ই’ কোষ গঠনে সহায়তা করে।
– শরীরের কিছু ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
– খুব কম ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ই’ এর অভাব ঘটে এবং এর অভাব জনিত লক্ষণও কম।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।