ভিটামিন ‘সি’
দেহের জন্য ভিটামিন ‘সি’ অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। এ ভিটামিন পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং সামান্য তাপেই নষ্ট হয়েযায়। দেহে জমা থাকে না তাই প্রতিদিন ভিটামিন ‘সি’ খাওয়া দরকার। টক জাতীয় ফল আমলকি, আনারস, পেয়ারা,কমলালেবু, লেবু, আমড়া ইত্যাদি ফলে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। সবুজ শাকসবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো,লেটুসপাতা থেকে আমরা ভিটামিন ‘সি’ পাই। পাকা ফল অপেক্ষা কাঁচা সবজি ও ফলে এ ভিটামিন বেশি থাকে।ভিটামিন ‘সি’ পেশি, দাঁত মজবুত করে, ক্ষত নিরাময় ও চর্মরোগ রোধে সহায়তা করে, কণ্ঠনালি ও নাকেসংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
অভাবজনিত রোগ
প্রাপ্ত বয়স্কদের দেহে ভিটামিন ‘সি’-এর অভাব প্রকট হলে নিুলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয় :
– হাঁড়ের গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না।
– হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
– ত্বক খসখসে হয়, চুলকায়, ত্বকে ঘা হলে সহজে তা শুকাতে চায় না।
স্কার্ভি
– দাঁতের মাড়ি ফুলে নরম হয়ে যায়।
– দাঁতের গোড়া আলগা হয়ে যায় এবং গোড়া থেকে রক্ত পড়ে।
– দাঁতের এনামেল উঠে যায় এতে অকালে দাঁত পড়ে যেতে পারে। শিশু ও বয়স্কদের এ রোগ বেশি হয়।
– গ্রন্থি ফুলে যায় এবং মুখে ব্যথা হয়।
– রক্তক্ষরণ সহজে বন্ধ হয় না, ঘা শুকাতে দেরি হয়।
– অন্যান্য রোগ বিশেষ করে সর্দি, কাশি খুব সহজে আক্রমণ করে।
প্রতিকার
এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
প্রতিরোধ
কোলের শিশুকে মায়ের দুধের সঙ্গে অন্যান্য পরিপূরক খাদ্য যেমন ফলের রস, সবজির স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
ভিটামিন ‘ডি’
ভোজ্য তেল, দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি, চর্বি এবং ইলিশ মাছে পর্যাপ্তপরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
কাজ
– অস্থি ও দাঁতের কাঠামো গঠন।
– অন্ত্রে ক্যালসিয়াম বিশোষণ বাড়ায়।
– রক্ত প্রবাহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।