
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৮:
৩ জানুয়ারী, ১৯৬৮: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৮: শেখ মুজিব গ্রেফতার।
মামলার অভিযোগঃ আগরতলায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজনে ভারতের সহযোগিতার পরিকল্পণা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণ দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। আগরতলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনঃ শেখ মুজিবর রহমান,আলী রেজা, ভারতের ইন্টার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ব্রিগেডিয়ার মেনন।
মামলার আসামীঃ ৩৫ জন।
ষড়যন্ত্র ফাঁস করেনঃ আমির হোসেন
মামলার বিশেষ আদালতেরবিচারপতিঃ এস. এ. রহমান
শেখ মুজিবের পরে আইনজীবিঃ শহীদ ময়েজ উদ্দিন।
(৬) গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯:
৫ জানুয়ারী, ১৯৬৯: শিক্ষার্থী সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
২১ দফার সাথে ৬ দফা মিলিয়ে ১১ দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল করে শেখ মুজিব সহ ৩৫ জন আসামীর মুক্তির দাবীতে শিক্ষার্থী সংগ্রাম পরিষদ এর নেতৃত্বে গণ অভ্যুত্থান শুরু হয়।
৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: চূড়ান্ত বিক্ষোভ শুরু।
২০ জানুয়ারী, ১৯৬৯:
১. এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারী,
২. বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ,
৩. গুলিতে আসাদ শহীদ হন।
২৪ জানুয়ারী, ১৯৬৯: নবকুমার ইনস্টিউটের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মতিউর শহীদ হন।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক-কে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রক্টর শামসুজ্জোহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন তোফায়েল আহমেদ।
২০ মার্চ, ১৯৬৯: গভর্ণর মোনায়েম খানের অপসারণ
২৫ মার্চ, ১৯৬৯: আইয়ুব খানের পদত্যাগ ও জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন ’বাংলাদেশ’।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।