
৩.নাসিক্য ধ্বনির পরে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি আসলে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনিটি নিজ বর্গের ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি বা নাসিক্য ধ্বনি হয়ে যায়।
অর্থাৎ, ঙ, ঞ, ণ, ন, ম- এদের পরে ক, চ, ট, ত, প থাকলে ক, চ, ট, ত, প যথাক্রমে গ, জ, ড, দ, ব অথবা ঙ, ঞ, ণ, ন, ম হয়ে যায়।
অর্থাৎ, বর্গের পঞ্চম/ শেষ ধ্বনির পরে বর্গের প্রথম ধ্বনি আসলে বর্গের প্রথম ধ্বনি তার নিজ বর্গের তৃতীয় বা পঞ্চম/ শেষ ধ্বনি হয়ে যায়।
ক+ন = গ/ঙ+ন
দিক+নির্ণয় = দিগনির্ণয়/ দিঙনির্ণয়
ক+ম = গ/ঙ+ম
বাক+ময় = বাঙময়
ত+ন = দ/ন+ন
জগৎ+নাথ = জগন্নাথ
উৎ+নয়ন = উন্নয়ন
উৎ+নীত = উন্নীত
ত+ম = দ/ন+ম
তৎ+মধ্যে = তদমধ্যে/ তন্মধ্যে
মৃৎ+ময় = মৃন্ময়
তৎ+ময় = তন্ময়
চিৎ+ময় = চিন্ময়
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়েই ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনির চেয়ে নাসিক্য ধ্বনিই অধিক প্রচলিত।
৪. ‘ম’-এর পরে কোনো বর্গীয় ধ্বনি বা স্পর্শ ধ্বনি আসলে ‘ম’ তার পরের ধ্বনির নাসিক্য ধ্বনি হয়ে যায়।
অর্থাৎ, ‘ম’-এর পরে যে বর্গীয় ধ্বনি আসে, ‘ম’ সেই ধ্বনির বর্গের পঞ্চম ধ্বনি হয়ে যায়।
ম+ক = ঙ+ক
শম+কা = শঙ্কা
ম+ভ = ম+ভ
কিম+ভূত = কিম্ভূত
ম+চ = ঞ+চ
সম+চয় = সঞ্চয়
ম+ন = ন্ন
কিম+নর = কিন্নর
ম+ত = ন+ত
সম+তাপ = সন্তাপ
সম+ন্যাস = সন্ন্যাস
ম+দ = ন+দ
সম+দর্শন = সন্দর্শন
ম+ধ = ন্ধ
সম+ধান = সন্ধান
উল্লেখ্য, আধুনিক বাংলায় ‘ম’-এর পরে ক-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে ক-বর্গের নাসিক্য/ পঞ্চম ধ্বনি ‘ঙ’-র বদলে ‘ং’ হয়। যেমন, ‘সম+গত’-এ ‘ম’ ও ‘গ (ক-বর্গীয় ধ্বনি)’ সন্ধি হয়ে ‘ম’, ‘ঙ’ না হয়ে ‘ং’ হয়ে ‘সংগত’। এরকম-
অহম+কার = অহংকার
সম+খ্যা = সংখ্যা
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।