রাজা রামমোহন রায় (১৭৭৪-১৮৩৩)
সতীদাহ প্রথা রহিতকরণে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। রাজা রামমোহন রায়ের ছদ্মনাম ছিল শিবপ্রসাদ রায়।রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২৮ সালে।তার রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’।এটি ইংরেজী ভাষায় লেখা হয়েছিল ১৮২৬ সালে। পরে ১৮৩৩ সালে এর বাংলা অনুবাদ হয়। তিনি ফারসি ভাষার পত্রিকা ‘মিরাতুল আখবার’ সম্পাদনা করেন।রামমোহনের রচিত গ্রন্থগুলো হল- বেদান্ত গ্রন্থ (১৮১৫), বেদান্ত সার (১৮১৫), ভট্টাচার্যের সচিত বিচার (১৮১৭), গোস্বামীর সহিত বিচার (১৮১৮), উপনিষদের অনুবাদ (১৮১৫-১৯), সহমরণ বিষয়ক ‘প্রবর্তক নিবর্তক সম্বাদ (১৮১৮-১৯)পথ্য প্রদান (১৯২৩)
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩)
দীনবন্ধু মিত্র নাট্যকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দীনবন্ধুর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হল- নীলদর্পণ (১৮৬০)- এটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ, নবীন তপস্বিনী, কমলে কামিনী, লীলাবতী। দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য প্রহসনগুলো হল- সধবার একাদশী, জামাই বারিক, বিয়ে পাগলা বুড়ো।
ভাই গিরিশচন্দ্র সেন (১৮৩৫-১৯১০)
ভাই গিরিশচন্দ্র সেন সর্বপ্রথম কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন (১৮৮১-৮৬)৯৬ জন সূফীর জীবন কাহিনী নিয়ে ফারসী ভাষার ফরিদুদ্দিন আত্তারের ‘তাজকেরাতুল আওলিয়া’ অবলম্বনে রচনা করেন তাপসমালাভাই গিরিশচন্দ্র সেনের মৌলিকগ্রন্থ হচ্ছে মহাপুরুষচরিত।
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর
পরের পাতাসমুহ >>
0 responses on "বিসিএস প্রিলিমিনারি - বাংলা ভাষা ও সাহিত্য - আধুনিক যুগ"