অতিমাত্রায় মাছ আহরণ, জাটকা নিধন, বিদেশী জেলেদের মাছ চুরি, ও সাগরের পরিবেশ দূষণের কারণে বঙ্গোপসাগরে ক্রমেই নানান প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। ১৯৫৮ সালে জাপান, রাশিয়া ও থাইল্যান্ডের সহায়তায় বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদ নির্ধারণে তৎকালীন সরকার প্রথম জরিপ চালায়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ৫৮ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এ মাছগুলো হচ্ছে- ইলিশ, তাইল্ল্যা, চন্দনা, লাক্ষা, কোরাল, ভেটকি, ভোল, হোন্দারা, চাঁপা, রাঙ্গা, চইক্ষা, সমুদ্র কৈ, সাদা দাতিনা, কালা দাতিনা, লামু লেইজ্জা, লাল পোয়া, সাদা পোয়া, রূপ পোয়া, গুটি পোয়া, মাইট্টা বোম, চাম্পা, চেওয়া, কাকৈ, ফটকা লইট্ট্যা, শোরমা, কালি চিংড়ি ইত্যাদি ।
সাগরের জোয়ার প্রতিনিয়ত আঘাত করছে উপকূলীয় এলাকার জনগণের জানমালের উপর।বঙ্গোপসাগরের হিংস্র থাবায় মানচিত্র থেকে হারিয়ে আমার এলাকার কয়েক হাজার মানুষের জায়গা-জমি, বাড়িঘর।দীর্ঘদিনের সমস্যা হচ্ছে বাঁশখালী উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। এই বেড়িবাঁধ যতদিন স্থায়ী হবে না, ততদিন উপকূলবাসীর দুঃখের শেষ হবে না। মহেশখালী-কুতুবদিয়া সমুদ্র চ্যানেল ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে চোরাচালান,দস্যুতা ও চাদাঁবাজির ঘটনা। একটি দস্যু গ্রুপের সাথে কুতুবজোম, ঘটিভাঙ্গা, সোনাদিয়া ও ধলঘাটা এলাকার খন্ড খন্ড কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে সেল নেটওর্য়াকিং এর মাধ্যমে সমপ্রতি এসব কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।মিয়ামার থেকে আসা বোল্ডার লবন, বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, সিরামিক পন্য সহ এখান থেকে মিয়ানমারে যাওয়া জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ, চোরাই কাঠ সহ বিভিন্ন চোরাচালান নিয়ন্ত্রন করছে এ সিন্ডিকেটটি।
বঙ্গোপসাগরের আরেকটি নয়ন মনোহর এবং দৃষ্টিনন্দন সম্পদ হচ্ছে সামুদ্রিক শৈবাল। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বন ও দ্বীপগুলোতে নানা ধরনের শৈবাল দেখা যায়। এর মধ্যে শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৭০ প্রজাতির শৈবাল পাওয়া গেছে। ১৫টির বেশি সামুদ্রিক শৈবাল বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে শৈবালের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় এক হাজার থেকে দুই হাজার মেট্রিক টন।প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে বঙ্গোপসাগরের উপকূল প্রায় ৭১০ কিলোমিটার হলেও লবণ উৎপাদন হয় শুধুমাত্র মহেশখালী, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া চ্যানেলে। এর বাইরে রয়েছে বঙ্গোপসাগরে দ্বীপ কুতুবদিয়ায় সাঙ্গু নামে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র। সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রায় এক ট্রিলিয়ন কিউবিক গ্যাস মওজুদ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।