অর্থগত ভাবে শব্দসমূহকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়–
১. যৌগিক শব্দ
- যে সব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই, তাদের যৌগিক শব্দ বলে।
- অর্থাৎ, শব্দগঠনের প্রক্রিয়ায় যাদের অর্থ পরিবর্তিত হয় না, তাদেরকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন-
মূল শব্দ | শব্দ গঠন (অর্থ) | অর্থ |
গায়ক | গৈ+অক | যে গান করে |
কর্তব্য | কৃ+তব্য | যা করা উচিত |
বাবুয়ানা | বাবু+আনা | বাবুর ভাব |
মধুর | মধু+র | মধুর মত মিষ্টি গুণযুক্ত |
দৌহিত্র | দুহিতা+ষ্ণ্য (দুহিতা= মেয়ে, ষ্ণ্য= পুত্র) | কন্যার মত, নাতি |
চিকামারা | চিকা+মারা | দেওয়ালের লিখন |
২. নিচের উদাহরণগুলো একটু খেয়াল কর:
হস্তী =>হস্ত+ইন=> গঠন অনুযায়ী অর্থ ‘হাত আছে যার’ কিন্তু ব্যবহৃত হয় => একটি বিশেষ প্রাণী, হাতি অর্থে
গবেষণা => গো+এষণা => গঠন অনুযায়ী অর্থ ‘গো খোঁজা’ কিন্তু ব্যবহৃত হয় => ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা অর্থে
বাঁশি => বাঁশ+ইন => গঠন অনুযায়ী অর্থ ‘বাঁশ দিয়ে তৈরি’ কিন্তু ব্যবহৃত হয় => বিশেষ বাদ্যযন্ত্র অর্থে
এরকম তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ ইত্যাদি।
প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে গঠিত যে সব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ আলাদা হয়, তাদেরকে রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে।
৩. এবার এই শব্দগুলো খেয়াল কর:
পঙ্কজ => পঙ্কে জন্মে যেটি =>কিন্তু ব্যবহৃত হয় পদ্মফুল হিসেবে।
রাজপুত =>রাজার পুত্র => কিন্তু ব্যবহৃত হয় ভারতের একটি জাতি হিসেবে।
মহাযাত্রা =>মহাসমারোহে যাত্রা => কিন্তু ব্যবহৃত হয় মৃত্যু হিসেবে।
জলধি =>জল ধারণ করে যা এমন => কিন্তু ব্যবহৃত হয় সাগর হিসেবে।
সমাস নিষ্পন্ন যে সব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ আর ব্যবহারিক অর্থ আলাদা হয়, তাদেরকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।